আইপিএলের দু’দিন আগে বিবাহবিচ্ছেদ চূড়ান্ত হয়ে গেল ভারতীয় ক্রিকেটার যুজবেন্দ্র চহল ও ধনশ্রী বর্মার। বৃহস্পতিবার মুম্বইয়ের একটি পরিবার আদালত এই বিচ্ছেদে সিলমোহর দিয়েছে।
বুধবার বম্বে হাই কোর্ট বান্দ্রার একটি পরিবার আদালতকে নির্দেশ দিয়েছিল, ২০ মার্চের মধ্যে চহলের বিবাহবিচ্ছেদের মামলার শুনানি শেষ করে রায়দান করতে। সেই নির্দেশ মেনে বৃহস্পতিবার চহল ও ধনশ্রী দু’জনেই বান্দ্রার সেই আদালতে যান। দু’জনের মুখেই ছিল মাস্ক। সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কথা বলতে চাননি তাঁরা। তাড়াতাড়ি আদালতের মধ্যে ঢুকে যান। কয়েক ঘণ্টা পরে আবার আদালত থেকে বেরিয়ে যান তাঁরা।
৫ ফেব্রুয়ারি প্রথম বার বিবাহবিচ্ছেদের আবেদন করেছিলেন চহল ও ধনশ্রী। হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩বি (২) ধারা অনুযায়ী, দুই পক্ষ বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়ার পর ছ’মাস সময় দেয় কোর্ট। সেই সময় দেওয়া হয়েছিল চহল এবং ধনশ্রীকে। এ বার পুরো প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হল। বম্বে হাই কোর্ট বুধবার নির্দেশ দিয়েছিল, খোরপোশ হিসাবে চহলকে ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। চহল এখনও পর্যন্ত ২ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে।
আরও পড়ুন:
২০২০ সালে বিয়ে হয়েছিল চহল ও ধনশ্রীর। কিন্তু ২০২২ সালের জুন মাস থেকে আলাদা থাকছেন তাঁরা। চহল এবং ধনশ্রী, দুই পক্ষই বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়ার পর ধনশ্রীকে খোরপোশ হিসেবে ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দেওয়ার নির্দেশ দেয় আদালত। কিন্তু চহল পুরোটা দেননি। আদালত সেটা ভাল ভাবে নেয়নি। তার পরেই বম্বে হাই কোর্ট পরিবার আদালতকে নির্দেশ দেয় বৃহস্পতিবারের মধ্যে পুরো প্রক্রিয়া শেষ করতে। সামনে আইপিএল থাকায় তাড়াতাড়ি বিষয়টি মিটিয়ে ফেলতে বলা হয়। সেই প্রক্রিয়া এ বার সম্পূর্ণ হল।
ভারতীয় দল থেকে দীর্ঘ দিন ব্রাত্য চহল। কোনও ফরম্যাটেই আর সুযোগ পান না। কিন্তু আইপিএলে তাঁর কদর রয়েছে। এ বারের নিলামে ১৮ কোটি টাকায় চহলকে কিনেছে পঞ্জাব কিংস। আইপিএলের ইতিহাসে সবচেয়ে দামি ভারতীয় স্পিনার তিনি। ২৫ মার্চ গুজরাত টাইটান্সের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচ খেলবে পঞ্জাব। তার আগে ব্যক্তিগত জীবনে একটি বড় ঘটনা ঘটল চহলের।