শতরান করলেন অভিষেক শর্মা। মাত্র ৩৭ বলে। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পঞ্চম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলতে নেমে ঝড় তুললেন তিনি। অল্পের জন্য রক্ষা পেল রোহিত শর্মার রেকর্ড। ৩৫ বলে শতরান করেছিলেন তিনি। টি-টোয়েন্টিতে এটি অভিষেকের দ্বিতীয় শতরান। এর আগে জ়িম্বাবোয়ের বিরুদ্ধে ৪৭ বলে ১০০ রান করেছিলেন তিনি।
সিরিজ়ের প্রথম ম্যাচে ইডেনে ৭৭ রান করেছিলেন অভিষেক। কিন্তু পরের তিনটি ম্যাচে রান পাননি তিনি। ওয়াংখেড়েতে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক অভিষেক। পেসারদের বিরুদ্ধে হাত খোলেন তিনি। একের পর এক বড় শট মারেন। উইকেটের চার দিকে বড় শট মারছিলেন অভিষেক। ফলে তাঁর জন্য ফিল্ডার সাজাতে সমস্যায় পড়েন ইংরেজ অধিনায়ক জস বাটলার। মাত্র ১৭ বলে ৫০ রান করেন তিনি।
অর্ধশতরানের পরেও থামেননি অভিষেক। পাওয়ার প্লে চলাকালীন যেমন খেলছিলেন, ফিল্ডিং ছড়িয়ে যাওয়ার পরেও একই ভাবে খেলেন। ওয়াংখেড়ের মাঠ ছোট। তা কাজে লাগানে এই বাঁহাতি ওপেনার। চারের থেকে বেশি ছক্কা মারেন অভিষেক। নিয়মরক্ষার ম্যাচেও বিনোদন এনে দেন তিনি। উইকেটের সামনে বেশির ভাগ ছক্কা মারেন অভিষেক। ছক্কা মারার সময় পেশি শক্তির বদলে টাইমিংয়ের উপর জোর দেন তিনি। ফলে তাঁর ছক্কাগুলি দেখতেও খুব ভাল লাগছিল।
আরও পড়ুন:
একটা সময় মনে হচ্ছিল রোহিতের রেকর্ড ভেঙে যাবে। কিন্তু তা হয়নি। ৩০ বলের পর কয়েকটি বল নষ্ট করেন তিনি। ফলে শতরান করতে দু’বল দেরি হয় তাঁর। শেষ পর্যন্ত ৩৭ বলে তিন অঙ্কে পৌঁছন অভিষেক। শতরানের পথে পাঁচটি চার ও ১০টি ছক্কা মারেন তিনি। অভিষেকের বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, ভাল শুরু করেও উইকেট ছুড়ে দিয়ে আসেন তিনি। এই ম্যাচে অন্তত তেমনটা করলেন না পঞ্জাবের ব্যাটার।
১০.১ ওভারে নিজের শতরান পূর্ণ করেন অভিষেক। সবচেয়ে কম ওভারের মধ্যে শতরান করার রেকর্ড করেছেন তিনি। এর আগে ২০২৩ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের বিরুদ্ধে ১০.২ ওভারে শতরান করেছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ব্যাটার কুইন্টন ডি’কক। সেই রেকর্ড ভাঙলেন অভিষেক। আইসিসির পূর্ণ সদস্যের দেশগুলির ব্য়াটারদের মধ্যে দ্বিতীয় দ্রুততম টি-টোয়েন্ট শতরান করলেন অভিষেক।
রোহিতের একটি রেকর্ড ভেঙেছেন অভিষেক। ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে এক ইনিংসে সর্বাধিক ছক্কা মারার রেকর্ড করেছেন তিনি। রোহিত মেরেছিলেন ১০টি। অভিষেক মেরেছেন ১৩টি। শেষ পর্যন্ত ৫৪ বলে ১৩৫ রান করে আদিল রশিদের বলে আউট হন অভিষেক।
ভারতীয় ব্যাটারদের মধ্যে টি-টোয়েন্টিতে দ্রুততম অর্ধশতরানের রেকর্ড রয়েছে যুবরাজ সিংহের। ১২ বলে ৫০ করেছিলেন তিনি। অভিষেক করেছেন ১৭ বলে। যুবরাজ তাঁর মেন্টর। তিনি সবসময় চেয়েছেন ওপেন করতে নেমে শেষ পর্যন্ত খেলুন অভিষেক। এই ম্যাচে সেটা হয়েছে। শিষ্যের ব্যাটিং দেখে গুরু খুশি হবেন বলেই মনে করেন ম্যাচের সেরা অভিষেক। তিনি বলেন, “যুবি ভাই এই ম্যাচের পর খুশি হবেন। উনি সবসময় চেয়েছেন আমি শেষ পর্যন্ত খেলি। বড় রান করি। এই ম্যাচে সেটা করার চেষ্টা করেছি। আগামী দিনেও করব।”