শুভমনের শতরানে জয় ভারতের। ছবি পিটিআই
শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত হাড্ডাহাড্ডি লড়াই। দুর্দান্ত লড়াই সিকান্দার রাজার। কিন্তু জিম্বাবোয়ের হার বাঁচাতে পারলেন না তিনি। ভারতের হাতে এক দিনের সিরিজে চুনকাম হল জিম্বাবোয়ে। তৃতীয় ম্যাচেও হেরে গেল তারা। প্রথমে ব্যাট করে ভারতের তোলা ২৮৯ রানের জবাব জিম্ববোয়ে থেমে গেল ২৭৬ রানে। ভারত জিতল ১৩ রানে।
ভারতের রান তাড়া করতে নেমে জিম্বাবোয়ের শুরুটা ভাল হয়নি। ৩৬ রানের মধ্যে দুই উইকেট হারিয়ে ফেলে তারা। প্রথমে শন উইলিয়ামস লড়াই দেন। ৪৫ রানের মাথায় তিনি ফিরে যাওয়ার পর হাল ধরেন রাজা। সঙ্গে কাউকে পাননি তিনি। উল্টো দিকে থাকা সতীর্থরা একের পর এক সাজঘরে ফেরেন। সাত উইকেটে জিম্বাবোয়ের রান যখন ১৬৯, তখন অনেকেই ধরে নেন আর বেশি ক্ষণ টানতে পারবে না জিম্বাবোয়ে।
তা হয়নি। অষ্টম উইকেটে ব্র্যাড ইভান্সের সঙ্গে জুটি গড়েন রাজা। ইভান্স একটা দিক ধরে রাখেন, সেই মুহূর্তে যেটা সবচেয়ে দরকার ছিল। উল্টো দিকে থাকা রাজা রান তোলার দায়িত্ব নেন। ভারতীয় বোলারদের উপর চেপে বসেন তিনি। শতরানের জুটি তৈরি হয়ে যায়। শেষ তিন ওভারে দরকার ছিল ৩৩ রান। সেই ওভারে আবেশ খানকে দু’টি চার এবং একটি ছয় মেরে দলকে জয়ের আরও কাছাকাছি এনে দেন রাজা এবং ইভান্স। ওভারের শেষ বলে ইভান্স ফিরতেই পতনের শুরু। পরের ওভারে রাজা ফিরতেই জিম্বাবোয়ের জয়ের আশা শেষ হয়ে যায়।
তার আগে এ দিন শুরুতে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন ভারতের অধিনায়ক কেএল রাহুল। প্রথম দু’ম্যাচে টসে জিতে বল করেন। বোলারদের দাপটে সেই দুই ম্যাচ জিতে সিরিজ পকেটে পোরার পর নিয়মরক্ষার ম্যাচে পরীক্ষা-নিরীক্ষার পথে হাঁটেন তিনি। নজর কাড়েন শুভমন গিল। এক দিনের ক্রিকেটে নিজের প্রথম শতরান করেন ভারতের এই তরুণ ওপেনার। অর্ধশতরান আসে ঈশান কিশনের ব্যাট থেকে। প্রথমে ব্যাট করে ৫০ ওভারে ৮ উইকেটে ২৮৯ রান করে ভারত।
দ্বিতীয় ম্যাচে রান পাননি রাহুল। ম্যাচ শেষে বলেছিলেন, আশা করছেন তৃতীয় ম্যাচে পাবেন। এ দিন ওপেনে শিখর ধবনের সঙ্গে নামেন রাহুল। প্রথম দিকে ধরে খেলেন ভারত অধিনায়ক। ফলে প্রথম ১০ ওভারে রানের গতি কম ছিল। ধবনও খুব একটা আক্রমণাত্মক খেলেননি। দুই ওপেনারের মধ্যে ১৫ ওভারে ৬৩ রানের জুটি হয়। ৩০ রানের মাথায় ব্র্যাড ইভান্সের বলে বোল্ড হন রাহুল। এশিয়া কাপের আগে বড় রান এল না তাঁর ব্যাট থেকে। ধবন ৪০ রানের মাথায় ইভান্সের বলেই সাজঘরে ফেরেন।
দুই ওপেনার ফিরে যাওয়ার পরে জুটি বাঁধেন শুভমন ও ঈশান। সাবলীল ব্যাটিং করছিলেন তাঁরা। ফলে রান তোলার গতি বাড়ে। শুভমনকে বেশি আক্রমণাত্মক দেখাচ্ছিল। প্রথমে তিনি অর্ধশতরান করেন। ঝুঁকি না নিয়ে খেলছিলেন তিনি। মাঠের সব দিকে রান আসছিল। শুভমন ও ঈশান ১৪০ রান যোগ করেন। ৫০ রান করে রানআউট হন ঈশান। কিন্তু শুভমন কোনও ভুল করেননি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে মাত্র ২ রানের জন্য তিন অঙ্কে পৌঁছতে পারেননি। এই ম্যাচে ৮২ বলে এক দিনের কেরিয়ারের প্রথম শতরান করলেন তিনি।
ঈশান আউট হওয়ার পরে ফিরে যান দীপক হুডা। সঞ্জু স্যামসন নেমে তাঁর স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে খেলা শুরু করেন। দু’টি বিশাল ছয় মারার পরে তিন নম্বর ছক্কা মারতে গিয়ে আউট হন তিনি। শতরানের পরে আরও বেশি হাত খুলে খেলতে শুরু করেন শুভমন। একের পর এক বড় শট মারছিলেন। শেষ ওভারের প্রথম বলে আউট হন শুভমন। ৯৭ বলে ১৩০ রান করেন তিনি। জিম্বাবোয়ের হয়ে পাঁচ উইকেট নেন ইভান্স।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy