হার্দিক পাণ্ড্য। ছবি: টুইটার।
তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়ে ফিরে খুশি হার্দিক পাণ্ড্য। মেনে নিলেন মঙ্গলবারের ম্যাচ তাঁদের কাছে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল। একই সঙ্গে তাঁর দাবি, দু’একটা ম্যাচ হারলে সব কিছু বদলে যায় না। ভারতীয় দলের অধিনায়ক জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন সতীর্থদের।
জয়ের পর হার্দিক বলেছেন, ‘‘এই ম্যাচের গুরুত্ব আমরা জানতাম। সবাই সবার পাশে থাকার চেষ্টা করেছি। দুটো ম্যাচ হারলে বা দুটো ম্যাচ জিতলে কিছু বদলে যায় না। আমরা দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে চলতে চাইছি। মাঠের নেমে ইতিবাচক থাকা এবং নিজেদের দক্ষতা তুলে ধরাই সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ।’’ হার্দিক মেনে নিয়েছেন প্রথম দু’ম্যাচে হারের পর পরিকল্পনায় কিছু পরিবর্তন করে সাফল্য এসেছে। তিনি বলেছেন, ‘‘স্পিনারদের বেশি ব্যবহার করতে চেয়েছিলাম আমরা। বিশেষ করে নিকোলাস পুরানকে আটকানোর দায়িত্ব স্পিনারদের দেওয়া ছিল। আগের ম্যাচে অক্ষর পটেল তেমন করতে করতে পারেনি। মঙ্গলবার ও দারুণ বল করল। সে জন্য কুলদীপ যাদব আর যুজবেন্দ্র চহালকে একটু পরে নিয়ে আসতে পেরেছি। ওরাও পরিকল্পনা মতো দারুণ বল করেছে। আমি আরশদীপ সিংহ এবং মুকেশের কুমারের কথাও বলতে চাই। ওদেরও কৃতিত্ব রয়েছে। সবাই লাইন এবং লেংথ বজায় রেখেছে।’’
তৃতীয় ম্যাচ জেতার পর হার্দিকের আশা সিরিজ়ের শেষটা বেশ উত্তেজক হবে। তিনি বলেছেন, ‘‘এর পর চতুর্থ ম্যাচ। সেটাও গুরুত্বপূর্ণ। দলের আমরা সবাই সবার পাশে রয়েছি এবং থাকব। যেমন আমাদের আট নম্বরে কোনও ব্যাটার নেই। কারণ বোলারেরাও ম্যাচ জেতাতে পারে। উপরের দিকের ব্যাটারেরা রান করতে পারলে আট নম্বরে ব্যাটার দরকার হয় না। সূর্যকুমার যাদব এবং তিলক বর্মা যেমন দারুণ একটা জুটি তৈরি করল। এই জয়ে ওদের অবদান অস্বীকার করা যাবে না। ওদের মধ্যে ভাল বোঝাপড়া রয়েছে। দু’জনেই খুব ভাল ব্যাট করেছে। বিশেষ করে সূর্যকুমারের কথা বলব। ও দলে থাকা বাড়তি সুবিধা। সূর্যকুমার এমন এক জন ক্রিকেটার যে সব সময় চ্যালেঞ্জ নিতে ভালবাসে। দায়িত্ব নিতে ভালবাসে। দলের সবার মধ্যে আত্মবিশ্বাস ছড়িয়ে দিতে পারে।’’
রান পেয়ে অধিনায়কের মতোই খুশি ম্যাচের সেরা সূর্যকুমার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ় সফরে তেমন রান পাচ্ছিলেন না। এ দিন রান পাওয়ায় স্বস্তি পেয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘পাওয়ার প্লেতে আমার মাঠে থাকা জরুরি ছিল। দল চায় আমি যত বেশিক্ষণ সম্ভব ব্যাট করি। সেটাই করার চেষ্টা করেছি।’’ এ দিন বেশ কয়েকটি স্কুপ মারেন সূর্যকুমার। তা নিয়ে বলেছেন, ‘‘অনুশীলনে সময় দিয়েছি। স্কুপ শট খেলার অভ্যাস করেছি। এই শটটা খেলতে আমার বেশ লাগে। আমি শট খেলতে ভালবাসি।’’
সূর্যকমার প্রশংসা করেছেন তরুণ সতীর্থ তিলকের। চাপের মুখে তাঁদের ৮৭ রানের জুটি দলের জয় সহজ করে দিয়েছে। সূর্যকুমার বলেছেন, ‘‘তিলকের সঙ্গে বড় জুটি হয়েছে। আমরা দু’জন পরস্পরকে ভাল বুঝতে পারি। সেটা একটা সুবিধা। তিলক কিন্তু বেশ পরিণত ইনিংস খেলল। আত্মবিশ্বাস নিয়ে ব্যাট করল। ওর ইনিংস আমাকেও ভাল খেলতে সাহায্য করেছে। আমরা দলের বৈঠকে অনেক কিছু আলোচনা করেছিলাম। অধিনায়ক বলেছিল, এক কেউ এগিয়ে এসে দায়িত্ব নিক। সবাই সেই দায়িত্ব নেওয়ার চেষ্টা করেছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy