ছয় উইকেট নিলেন ওবেড ম্যাকয় ছবি পিটিআই।
ওবেড ম্যাকয়ের দুরন্ত বোলিং এবং ব্রেন্ডন কিংয়ের সাহসী ব্যাটিংয়ের জেরে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতে ভারতকে পাঁচ উইকেটে হারিয়ে সিরিজে সমতা ফেরাল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। নির্ধারিত ওভারের দু’বল আগেই ১৩৮ রানে অলআউট হয়ে যায় ভারত। জবাবে চার বল বাকি থাকতে জয়ের প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয় ক্যারিবিয়ানরা।
ম্যাচের ফল দেখে অবশ্য বোঝা যাবে না কতটা তীব্র লড়াই হয়েছে। কম রানের লক্ষ্যমাত্রা থাকলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে জেতার জন্য অপেক্ষা করতে হল শেষ ওভার পর্যন্ত। ভারতীয় বোলারদের নিয়ন্ত্রিত বোলিংয়ের সামনে একমাত্র ব্রেন্ডন কিং (৬৮) লড়াই করেন। শেষের দিকে ডেভন টমাস মারকুটে খেলে ম্যাচ বের করে দেন। তার আগে আইপিএলের সফল বোলার ম্যাকয়ের বলে বিধ্বস্ত হন রোহিতরা। ভারত অধিনায়ক নিজে তো বটেই, তাঁর দলের আরও পাঁচ জন আউট হন ম্যাকয়ের বলে। ছ’উইকেট নেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই জোরে বোলার।
ভারতের শুরুটা এ দিন একেবারেই ভাল হয়নি। ওপেন করতে নেমেছিলেন রোহিত এবং সূর্যকুমার যাদব। ম্যাকয়ের প্রথম বলেই আকিল হোসেনের হাতে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান রোহিত। ১৭ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের পতন। ছয় মেরে শুরুটা ভাল করেছিলেন সূর্যকুমার যাদব। তিনিও ম্যাকয়ের বলে আউট হন।
তিনে নামা শ্রেয়সকে তুলে নেন আলজারি জোসেফ। একটি চার এবং দু’টি ছক্কা মেরে আক্রমণাত্মক মেজাজে শুরু করেছিলেন ঋষভ পন্থ। তাঁকে ফেরান আকিল হোসেন। মাত্র ৬.৩ ওভারে ৬১ রানে চার উইকেট পড়ে যাওয়ায় কাউকে ধরে খেলতেই হত। সেই কাজটাই করলেন হার্দিক পাণ্ড্য এবং রবীন্দ্র জাডেজা। হার্দিক ৩১ করেন ৩১ বল খেলে। জাডেজার ২৭ রান আসে ৩০ বলে। এই দু’জন আউট হতে বোঝা যায়, ভারতের স্কোরবোর্ডে বেশি রান উঠবে না। শেষ পর্যন্ত ১৯.৪ ওভারে ১৩৮ রানে গুটিয়ে যায় রোহিতের দল। ম্যাকয় ১৭ রানে ছয় উইকেট নেন। দু’টি উইকেট জেসন হোল্ডারের।
রান তাড়া করতে নেমে শুরু থেকেই ভাল খেলতে থাকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। কার্যত একার হাতে ম্যাচ জেতানোর দায়িত্ব নিয়ে নেন ব্রেন্ডন। উল্টো দিকে থাকা কাইল মেয়ার্সকে (৮) ফেরান হার্দিক। নিকোলাস পুরান (১৪), শিমরন হেটমায়ারও (৬) সফল হতে পারেননি। তবে ব্রেন্ডন যত ক্ষণ ক্রিজে ছিলেন, তত ক্ষণ ওয়েস্ট ইন্ডিজকে চিন্তা করতে হয়নি।
ক্যারিবিয়ানরা সামান্য চাপে পড়েছিল ব্রেন্ডন ফেরার পর। দলের ১০৭ রানের মাথায় আবেশ খানের বল বুঝতে না পেরে ফিরে যান ব্রেন্ডন। ৫২ বলে ৬৮ করেন তিনি। ওয়েস্ট ইন্ডিজের রান তোলার গতি এর পরে বেশ খানিকটা কমে যায়। চাপে রাখার চেষ্টা করছিলেন হার্দিক এবং অর্শদীপ সিংহ।
তবে শেষ রক্ষা হয়নি। শেষ ওভারে দরকার ছিল ১০ রান। আবেশের প্রথম ডেলিভারিই ‘নো বল’ হয়। তার পরের দু’টি বলে ছয় এবং চার মেরে ম্যাচ শেষ করে দেন টমাস।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy