শ্রেয়স, সঞ্জুর জুটিতে এল জয় ছবি টুইটার
অসাধারণ ভারত। অসাধারণ শ্রেয়স আয়ার। সঙ্গী রবীন্দ্র জাডেজা এবং সঞ্জু স্যামসন। দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিল রোহিত শর্মার ভারত। জয় এল ৭ উইকেটে। এক ম্যাচ বাকি থাকতেই সিরিজ রোহিতদের পকেটে।
প্রথম ম্যাচে ইনিংসের প্রথম বলেই উইকেট হারিয়েছিল শ্রীলঙ্কা। কিন্তু শনিবার তাদের অন্য রূপ দেখা গেল। সাধারণত প্রথম দিকের ওভারে ভারতীয় বোলাররা যথেষ্ট চাপে রাখেন প্রতিপক্ষকে। কিন্তু শ্রীলঙ্কার ওপেনাররা যেন ক্রিজ কামড়ে পড়ে থাকার লক্ষ্য নিয়েই নেমেছিলেন। পাওয়ার প্লে-তে কোনও উইকেট পাননি যশপ্রীত বুমরা, ভুবনেশ্বর কুমাররা।
প্রথম ঝটকাটা এল রবীন্দ্র জাডেজার হাত ধরে। তাঁর সেই ওভারের প্রথম তিন বলে দু’টি চার এবং একটি চার মারার পর চতুর্থ বলেও ছয় মারতে গিয়েছিলেন দনুষ্কা গুণতিলকা। কিন্তু এ বার বেঙ্কটেশ আয়ারের দুরন্ত ক্যাচে ফিরতে হল। কয়েক ওভারের ব্যবধানে চরিথ অসলঙ্ক, কামিল মিশারা এবং দীনেশ চন্ডীমালকে হারায় শ্রীলঙ্কা। ১০২ রানে ৪ উইকেট যখন কিছুটা ধুঁকছে তারা, তখনই নিসঙ্কের সঙ্গে জুটি গড়তে এগিয়ে এলেন অধিনায়ক দাসুন শনাকা।
পঞ্চম উইকেটে তাঁরা ৫৮ রান যোগ করলেন। সব থেকে বেশি ভয়ঙ্কর ছিলেন নিসঙ্কই। শুরুটা ধীরগতিতে করলেও, শেষের দিকে এসে তিনি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠলেন। ৫৩ বলে ৭৫ করে তিনি ফেরার পর বাকি কাজটা করলেন শনাকা। ১৭ থেকে ২০ — এই চার ওভারে শ্রীলঙ্কা তুলল ৭২ রান। ডেথ ওভারে টি-টোয়েন্টির ইতিহাসে সর্বোচ্চ। এর আগে ২০১২ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা ৭১ তুলেছিল। ১৮৩ তুলে ফেলে শ্রীলঙ্কা, এই মাঠে যা ভারতকে চাপে ফেলার জন্য যথেষ্ট ছিল।
ভারতের শুরুটাও ভাল হয়নি। ১ রানেই ফিরে যান রোহিত। ঠকে যান দুষ্মন্ত চামিরার বলে। আট বারের সাক্ষাতে পাঁচ বারই রোহিতকে আউট করলেন চামিরা। আগের ম্যাচে ঝড় তোলা ঈশান কিশনও টিকতে পারলেন না বেশিক্ষণ। শটের টাইমিংয়ে গণ্ডগোল থাকায় ১৬ রানের মাথায় ক্যাচ তুলে দিলেন। আগের ম্যাচে চারে রবীন্দ্র জাডেজাকে নামানো হলেও শনিবার সেই ঝুঁকি নেননি রোহিত। সঞ্জু স্যামসনকেই নামানো হল জোড়া ধাক্কা সামাল দেওয়ার জন্য।
প্রথম দিকে সঞ্জুকে একটু সমস্যায় দেখাচ্ছিল। সে সময় সতীর্থের থেকে সমস্ত চাপ কেড়ে নেন শ্রেয়স। একার হাতেই ইনিংস এগোতে থাকেন। এক সময় অর্ধশতরানও পূরণ করে ফেলেন। সঞ্জুর সেরা সময় এল ১৩তম ওভারে। কুমারাকে একটি ওভারে তিনটি ছয় এবং একটি চার মারলেন। কিন্তু ষষ্ঠ বলে ফিরতে হল বিনুরা ফের্নান্দোর দুরন্ত ক্যাচে। বিনুরা ক্যাচ না নিলে সেটিও চার হতে পারত।
পাঁচে নামলেন জাডেজা। শুরুটাই করলেন চার মেরে। তারপর তাঁর ব্যাট থেকে বেরল একের পর এক দর্শনীয় শট। এক সময় ভারতের লক্ষ্যমাত্রার থেকে বল অনেকটাই কম ছিল। কিন্তু জাডেজার দাপটে তা কিছুক্ষণের মধ্যেই আয়ত্তে চলে এল। চামিরার এক ওভারে নিলেন ২১ রান। ম্যাচ দখলে চলে এল ওই ওভারেই। শ্রেয় ৭৪ রানে এবং জাডেজা ৪৫ রানে অপরাজিত থাকলেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy