Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Dean Elgar

India vs South Africa 2021-22: ‘শরীরের কিছু না ভাঙলে মাঠ থেকে সরাতে পারবে না আমাকে’, বুমরাদের বিরুদ্ধে এলগার

দ্বিতীয় টেস্টে ভারতকে প্রায় একাই হারিয়ে দিয়েছিলেন এলগার। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি।

কঠিন মানসিকতার এলগার।

কঠিন মানসিকতার এলগার। —ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জানুয়ারি ২০২২ ১৭:৫৮
Share: Save:

যশপ্রীত বুমরা, মহম্মদ শামিদের বল ছুটে আসছিল ডিন এলগারের শরীর লক্ষ্য করে। কোনওটা মাথায়, কোনওটা কাঁধে, কোনওটা চোয়ালে, কোনওটা লাগছিল বুকে, পেটে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকার অধিনায়ককে টলানো যায়নি। তিনি নিজের কাজে অবিচল। বাবাকে কথা দিয়েছিলেন যে এলগার।

দক্ষিণ আফ্রিকার টেস্ট অধিনায়কের বাবা রিচার্ড এলগার তেমনটাই জানালেন। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের হয়ে কলম ধরেছিলেন তিনি। সেখানে লেখেন, ‘বুধবার রাতে আমরা যখন কথা বলছিলাম, ও আমাকে বলে, ‘আমাকে আউট করতে হলে, ওদের আমার শরীরের কিছু একটা ভাঙতে হবে। আমার শরীরে বল মেরে কিছু হবে না। কিছুতেই সেটা হবে না।’ সেটা যখন শুনি, বুঝে গিয়েছিলাম এলগার উজ্জীবিত হয়ে আছে।’

দ্বিতীয় টেস্টে ভারতকে প্রায় একাই হারিয়ে দিয়েছিলেন এলগার। দ্বিতীয় ইনিংসে ৯৬ রানে অপরাজিত ছিলেন তিনি। ভারতীয় বোলারদের যে ভাবে সামলেছেন তাকে কুর্নিশ জানিয়েছেন অনেকেই। রিচার্ড জানিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার লক্ষ্য যখন ১০০ রানের নীচে নেমে এল, তখন তাঁর স্ত্রী বলেন, “আজ ওরা (ভারত) এলগারকে আউট করতে পারবে না।” অবাক হয়েছিলেন রিচার্ড। বলেছিলেন, “এখনও তো প্রায় ১০০ রান বাকি।” তাঁর স্ত্রী বলেন, “কোনও ব্যাপার না, এলগার এবং বাকিরা করে দেবে।”

সে দিন এলগারের খেলার ধরন দেখে রিচার্ডের ছেলের ছোটবেলার কথা মনে পড়ে যাচ্ছিল। শরীরে একের পর এক আঘাত নিয়ে খেলে যাচ্ছে ছেলে। বুমরা, শামিদের বল যে ছেলের শরীরে ভালই আঘাত হানছে তা বুঝতে পারছিলেন রিচার্ড। কিন্তু তিনি জানেন, ছোটবেলা থেকে এই ভাবেই খেলে বড় হয়েছে তাঁর ছেলে। ছেলে যে এই আঘাতে ভেঙে পড়বে না তা জানতেন রিচার্ড। তিনি লেখেন, ‘আঘাত এলগারকে আরও কঠিন করে দেয়। মানসিক ভাবে ও আরও কঠিন হয়ে যায়। ছোটবেলাতেই সেটা হত, এখন যে হবে তাতে আর অবাক হওয়ার কী আছে। তবে আমার স্ত্রী খুব চাপে ছিল।’

রিচার্ড জানিয়েছেন, মাত্র পাঁচ বছর বয়সে তাঁর থেকে ছ’বছরের বড় দাদাদের সঙ্গে খেলতেন এলগার। সেই সময়ও তাঁর শরীরে বল লাগত। এলগার বাবাকে বলতেন, “চিন্তা কর না, ওরা আমাকে আউট করতে পারবে না।” জোহানেসবার্গের ম্যাচেও সেটাই বলেছিলেন বাবাকে।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE