Advertisement
২৩ নভেম্বর ২০২৪
mayank agarwal

India tour of South Africa: মায়াঙ্ক-নাটক ফের উস্কে দিল প্রযুক্তি বিতর্ক

দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার লুনগি এনগিডির বলে মায়াঙ্কের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন প্রথমে নাকচ করে দেন মাঠের আম্পায়ার।

ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২৮ ডিসেম্বর ২০২১ ০৪:৫৭
Share: Save:

সেঞ্চুরিয়ন টেস্টে বৃষ্টিতে ভেস্তে যাওয়া দ্বিতীয় দিনেও আলোচনার বিষয় হয়ে উঠেছিল প্রথম দিনের একটা ঘটনা। মায়াঙ্ক আগরওয়াল এলবিডব্লিউ ছিলেন কি না।

দক্ষিণ আফ্রিকার পেসার লুনগি এনগিডির বলে মায়াঙ্কের বিরুদ্ধে এলবিডব্লিউয়ের আবেদন প্রথমে নাকচ করে দেন মাঠের আম্পায়ার। এর পরে ‘ডিআরএস’-এর সাহায্য চায় দক্ষিণ আফ্রিকা। আপাত দৃষ্টিতে দেখে মনে হচ্ছিল, বল স্টাম্পের ওপর দিয়ে চলে যাচ্ছিল। কিন্তু বল ট্র্যাকিং অন্য রকম দেখায়। প্রযুক্তির রায় ছিল, বল স্টাম্পে লাগছে। যার পরে তৃতীয় আম্পায়ার মায়াঙ্ককে আউট দেন। বিস্মিত ভারতীয় ওপেনার মাথা নাড়তে নাড়তে বেরিয়ে যান। গণমাধ্যমেও ঝড় ওঠে। ক্রিকেট ভক্তরা টুইটারে ছবি তুলে দিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেন, কী ভাবে ওই বল স্টাম্পে লাগতে পারে? মায়াঙ্কও যে আউটটা ঠিক মেনে নিতে পারেননি, তাঁর ইঙ্গিত দিয়ে যান দিনের শেষে সাংবাদিক বৈঠকে এসে। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়েছিল, আপনার আউট নিয়ে কী বলবেন? মায়াঙ্ক জবাব দেন, ‘‘আমার কাছে অনুমতি নেই নিজের মতটা জানানোর। তাই ব্যাপারটা নিয়ে আর কিছু বলতে চাই না। তা না হলে আমি চিহ্নিত হয়ে যাব আর আমার ম্যাচ ফি-ও কাটা যেতে পারে।’’ কিছু বলতে না চেয়েও মায়াঙ্ক অবশ্য অনেক কিছুই অবশ্য বুঝিয়ে দিতে পেরেছেন।

গত এক বছরে বারবার করে সামনে চলে এসেছে ডিআরএস বিতর্ক। বিরাট কোহলি থেকে জো রুট— তারকারা নানা ভাবে জড়িয়েছেন এই বিতর্কে। কেন এত সমস্যা হচ্ছে? কেন তৃতীয় আম্পায়াররা এই ব্যাপারে আরও নিখুঁত হতে পারছেন না? ভারতীয় আম্পায়ারিং মহলে খোঁজ নিয়ে জানা যাচ্ছে সমস্যাটা। আম্পায়াররা আঙুল তুলছেন প্রযুক্তির দিকেই। এক আম্পায়ারের কথায়, ‘‘কোনও দল ডিআরএস নেওয়ার পরে টিভি ডিরেক্টরের সঙ্গে কথা বলে তৃতীয় আম্পায়ার। ডিরেক্টরের কাছে কুড়িটা ক্যামেরার অ্যাঙ্গল থাকে। এ বার তৃতীয় আম্পায়ার যা দেখতে চায়, সেটা তাকে দেখিয়ে দেওয়া হয়।’’

কিন্তু প্রযুক্তির সাহায্য নেওয়ার পরেও কেন বিতর্ক হচ্ছে? মায়াঙ্কের ক্ষেত্রে যেমন মনে হচ্ছিল বলটা অনেক উঁচুতে লেগেছে। আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলানোর অভিজ্ঞতা থাকা ওই আম্পায়ারের মন্তব্য, ‘‘মনে হয়েছিল বলেই মাঠের আম্পায়ার নট আউট দেন। কিন্তু ডিআরএস যদি আউট দেখায়, তৃতীয় আম্পায়ারের কিছু করার থাকে না।’’ ভারতীয় বোর্ডের অনুমোদিত আম্পায়ার, বাংলার প্রেমদীপ চট্টোপাধ্যায়ও প্রায় একই কথা বললেন। তাঁর কথায়, ‘‘ডিআরএস নেওয়ার পরে যন্ত্র যদি তিনটি লাল চিহ্ন দেখায়, তা হলে তৃতীয় আম্পায়ার বাধ্য থাকবে আউট দিতে।’’ আম্পায়ারদের বক্তব্য হল, বল ট্র্যাকিং দেখানো হয় বিশেষ সফ্টওয়্যারের মাধ্যমে। কম্পিউটার যে ভাবে বলের গতিপথ দেখাবে, আম্পায়ারকেও সেটা মানতে হবে। সেখানে তাঁর ব্যক্তিগত মত প্রাধান্য পাবে না। শেষ কথা বলবে প্রযুক্তিই।

সব মিলিয়ে যা পরিস্থতি, তাতে একটা কথা পরিষ্কার। প্রযু্ক্তি নিখুঁত না হলে এবং কয়েকটা ক্ষেত্রে আইন সংশোধিত না হলে ডিআরএস বিতর্ক থামবে না।

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy