অর্ধশতরানের পর ঋদ্ধিমান। ছবি বিসিসিআই
অবশেষে রান পেলেন ঋদ্ধিমান সাহা। দীর্ঘ চার বছর পর তাঁর ব্যাট থেকে এল অর্ধশতরান।
প্রথম ইনিংসে তাঁর কাছে অনেক সময় ছিল। প্রথম দিকে ব্যাটাররা কেউ সফল না হওয়ায় বড় ইনিংস খেলে অনায়াসে নায়ক হতে পারতেন বাংলার এই উইকেটকিপার। কিন্তু মাত্র ১ রান করে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান। তখনই মনে হয়েছিল, টেস্ট দলের কিপার হিসেবে তাঁর দিন হয়তো শেষ হতে চলেছে। তৃতীয় দিন উইকেটকিপিংই করতে পারেননি ঘাড়ে ব্যথা থাকার কারণে। পরিবর্ত হিসেবে নামা কেএস ভরত বরং উইকেটের পিছনে অনেক সাবলীল ছিলেন।
তবে পরিবর্ত ক্রিকেটার ব্যাটিং করতে পারবেন না। ফলে ভারতের দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট হাতে নামতেই হয়েছিল ঋদ্ধিকে। এ বার দলের হাল ছিল আরও খারাপ। ৪০তম ওভারে রবিচন্দ্রন অশ্বিন সাজঘরে ফেরার পর উইকেটে এসেছিলেন ঋদ্ধিমান। ১০৩ রানে দলের ৬ উইকেট পড়ে গিয়েছে। টেস্টে দলকে সুরক্ষিত রাখতে লিড আরও বাড়িয়ে নেওয়া জরুরি ছিল।
ঘাড়ে তখনও ভালই ব্যথা। সে সব উপেক্ষা করেই ক্রিজে দাঁত কামড়ে পড়ে থাকলেন ঋদ্ধিমান। প্রথমে শ্রেয়সের সঙ্গে সপ্তম উইকেটে ৬৪ রানের জুটি গড়লেন। শ্রেয়স ফেরার পর লড়ে গেলেন অক্ষর পটেলের সঙ্গে। অষ্টম উইকেটে দু’জনের জুটিতে এল ৬৮ রান। দল তখন নিরাপদে। তিন ঘণ্টা সাত মিনিট উইকেটে ছিলেন ঋদ্ধিমান। ১২৬ বল খেলে তাঁর অবদান অপরাজিত ৬১ রান। ঋদ্ধির এই ইনিংস না থাকলে দ্বিতীয় ইনিংসে বিপদে পড়তেই পারত ভারত।
তবে চোট এখনও পুরোপুরি সারেনি ঋদ্ধিমানের। ফলে নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে কিপিং করতে নামলেও দু’ওভার পরেই উঠে যান ঋদ্ধিমান। এখন দেখার টেস্টের পঞ্চম দিনে তাঁকে মাঠে দেখতে পাওয়া যায় কিনা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy