মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। —ফাইল চিত্র।
আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে নজর কাড়ার পরেও ভারতীয় দল থেকে দূরে চলে গিয়েছেন দীপক চাহার। তাঁকে দূরে ঠেলে দিয়েছে চোট-আঘাত। জায়গা হয়নি এশিয়ান গেমসের দলেও। অনেকটা পিছিয়ে পড়লেও আবার ভারতীয় দলে ফেরার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী তরুণ জোরে বোলার।
হ্যামস্ট্রিংয়ের দোসর পিঠের ব্যথা। জোড়া চোটে কাবু চাহারকে ক্রিকেট মাঠ থেকেই দূরে থাকতে হয়েছিল। ৩১ বছরের ক্রিকেটার এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। মাঠে ফিরেছেন। এ বার লক্ষ্য ভারতীয় দলে প্রত্যাবর্তন। চোটের জন্য গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ খেলতে পারেননি। চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে আইপিএলেও খেলা হয়নি। এখন সামনে তাকাতে চান তিনি। চাহার বলেছেন, ‘‘চোট পেলে এক জন খেলোয়াড়ের হতাশ হওয়া উচিত নয়। কারণ এটা কারও হাতে থাকে না। এখন আমার এক মাত্র লক্ষ্য ফিট থাকা এবং দলে সুযোগ পাওয়া। সব ম্যাচে নিজের ১০০ শতাংশ দিতে চাই।’’
চোট-আঘাত যে অনেকটা পিছিয়ে দিয়েছে, তা অজানা নয় চাহারের। এ নিয়ে বলেছেন, ‘‘বলতে পারেন, আমি খারাপ সময়ের মধ্যে ছিলাম। গত বছর পিঠে চোট পেয়েছিলাম। এই ধরনের চোট জোরে বোলারদের ক্ষেত্রে খুব গুরুতর। এখন আমি সম্পূর্ণ সুস্থ। নিজের বোলিং নিয়েও সন্তুষ্ট। জাতীয় দলে ফেরার চেষ্টা করছি। কিছু দিন আগে রাজস্থান প্রিমিয়ার লিগে খেললাম। রবিবার পর্যন্ত জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমিতে ছিলাম। এশিয়ান গেমসের ভারতীয় দলের সঙ্গে অনুশীলন করছিলাম।’’ উল্লেখ্য, এশিয়ান গেমসের জন্য স্ট্যান্ড বাই হিসাবে রাখা হয়েছে চাহারকে।
বিশ্বকাপ খেলতে না পারার আক্ষেপ রয়েছে চাহারের। তিনি বলেছেন, ‘‘এক জন ক্রিকেটারের স্বপ্ন থাকে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ জেতা। সুযোগ পেলে এই স্বপ্ন পূরণ করার চেষ্টা করব। কয়েকটা প্রতিযোগিতা জেতার সুযোগ হয়েছে আমার। ২০১৮ সালে এশিয়া কাপ জিতেছিলাম। পাঁচ বার আইপিএল ফাইনাল খেলেছি। তিন বারের চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্য আমি। তবে এখনও কোনও বিশ্বকাপে খেলার সুযোগ পাইনি। সুযোগ পেলে অবশ্যই দলের জয়ে অবদান রাখার চেষ্টা করব।’’ উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত ১৩টি এক দিনের ম্যাচ খেলে ১৬টি উইকেট এবং ২৪টি টি-টোয়েন্টি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলে ২৯টি উইকেট নিয়েছেন চাহার।
মহেন্দ্র সিংহ ধোনির নেতৃত্বে আইপিএল খেলার সুযোগ পেয়ে উচ্ছ্বসিত চাহার। তিনি মনে করেন, ধোনির পরামর্শ ক্রিকেটার হিসাবে তাঁকে উন্নত হওয়ার সুযোগ দিয়েছে। চাহার বলেছেন, ‘‘আমি ভাগ্যবান। মাহি (ধোনি) ভাইয়ের সঙ্গে অনেক সময় কাটানোর সুযোগ পেয়েছি। অনেকগুলো বছর তাঁর সঙ্গে খেলেছি। তাঁকে আমি নিজের বড় ভাই বলে মনে করি। আমার আদর্শও মাহি ভাই। এক জন খেলোয়াড় এবং মানুষ হিসাবে ভীষণ সম্মান করি। মাহি ভাইয়ের কাছে অনেক কিছু শিখেছি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy