রোহিত শর্মা। ছবি: পিটিআই।
ম্যাচটা শেষের পর ডাগআউটের দিকে নিজের শরীরটাকে কোনও মতে টেনে নিয়ে যাচ্ছিলেন। এতটা হতাশ মুখ আগে কখনও দেখা যায়নি। চোখের কোণে স্পষ্ট চিকচিক করছিল জল। ১৪০ কোটি ভারতবাসীর যে প্রত্যাশার চাপ কাঁধের উপর ছিল তা পূরণ করতে পারলেন না রোহিত শর্মারা। টানা দশ ম্যাচ জিতে ঠিক ফাইনালে গিয়েও হেরে গেল ভারতীয় দল। রোহিত ম্যাচের পর অবশ্য কোনও অজুহাত দিতে রাজি হলেন না। স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, দলকে নিয়ে গর্বিত।
সঞ্চালক রবি শাস্ত্রীকে রোহিত বলেন, “আমরা জানি যে ভাল খেলতে পারিনি। কিন্তু প্রথম ম্যাচ থেকে যে ভাবে খেলেছি তার জন্যে গর্বিত। আজ দিনটা আমাদের ছিল না। আমরা যতটা পেরেছি চেষ্টা করেছি। কিন্তু যা চেয়েছিলাম তা হয়নি।”
আগে ব্যাট করলে কী ভাবে এই ম্যাচ জেতা যেত? রোহিতের উত্তর, “২০-৩০ রান আরও করলে হয়তো ম্যাচের ফল অন্য রকম হত। ২৫-৩০ ওভার নাগাদ যখন কোহলি-রাহুল ব্যাট করছিল তখন ভেবেছিলাম লম্বা জুটি তৈরি হতে চলেছে। ওদের বলেছিলাম যত দূর সম্ভব ব্যাটিং চালিয়ে যেতে। সেই মুহূর্তে ২৭৫-২৮০ রান উঠে যাবে ভেবেছিলাম। তার পরে একের পর এক উইকেট হারাতে থাকি। লম্বা জুটি হচ্ছিল না। অস্ট্রেলিয়া ঠিক সেটাই করল। ওরা লম্বা জুটি তৈরি করে ম্যাচটা জিতে নিল।”
ফাইনালের আগে সবাই প্রথমে ব্যাট করার পক্ষে মত দিয়েছিলেন। তা হলে কেন পরে ব্যাট করেও জিতে গেল অস্ট্রেলিয়া। রোহিত বলেছেন, “আমরা চেয়েছিলাম ওদের উইকেটগুলো যত দ্রুত সম্ভব তুলে ফেলতে। শুরুতে সেটা পেরেওছিলাম। কিন্তু পরের দিকে সেটা সম্ভব হয়নি। ট্রেভিস হেড এবং মার্নাস লাবুশেনকে অনেক শুভেচ্ছা। ওদের লম্বা জুটি আমাদের ম্যাচ থেকেই ছিটকে দিল। আবারও বলছি, যতটা পেরেছি করেছি। তবে আমার মনে হয়, ফ্লাডলাইডের আলোয় ব্যাট করা অনেক সহজ হয়ে গিয়েছিল।”
পিচ নিয়েও কোনও অজুহাত দিতে চাননি রোহিত। বলেছেন, “আমরা পরে বুঝতে পেরেছিলাম আলোর নীচে ব্যাট করা সহজ হবে। চাই না এটা নিয়ে কোনও অজুহাত দিতে। আমরাই আগে ব্যাট করে বেশি রান করতে পারিনি। পেসারেরা তিনটে উইকেট নিয়ে আমাদের সুবিধা করে দিয়েছিল। কিন্তু ওই হেড-লাবুশেনের জুটিই আমাদের শেষ করে দিল।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy