ট্রেভিস হেড। ছবি: রয়টার্স।
আইসিসি প্রতিযোগিতায় ফাইনাল এবং বিপক্ষে ভারত, তাতেই কি অস্ট্রেলিয়ার ট্রেভিস হেড তেতে ওঠেন? এই বছর ভারতের বিরুদ্ধে দু’টি ফাইনাল খেলল ভারত। প্রথমটি ছিল জুন মাসে। টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে হেডের করা ১৬৩ রানের ইনিংসে হেরেছিল ভারত। রবিবার ৫০ ওভারের বিশ্বকাপের ফাইনালে ভারতকে হারানোর পথে হেড করলেন ১৩৭ রান।
ফাইনালে অস্ট্রেলিয়া যে মাথা উঁচু করে মাঠ ছাড়ল তার বড় কারণ হেড। বিশ্বকাপ শুরুর সময় তাঁর চোট ছিল। কিন্তু অস্ট্রেলিয়া তাঁকে দলে রেখে দেয়। বিশ্বকাপ জিতে হেড বলেন, “এমন দলের অংশ হতে পেরে আমি অভিভূত। ঘরে বসে বিশ্বকাপ দেখার থেকে এটাই ভাল হল। আমার একটু চাপ লাগছিল। কিন্তু লাবুশেন আমার উপর থেকে সব চাপ কাটিয়ে দেয়। বিশ্বকাপের শুরুতে আমার জায়গায় মিচেল মার্শ ওপেন করছিল। ও যে খেলাটা খেলছিল, সেটাই আমাদের আলাদা একটা শক্তি দেয়। আমি সেটা এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছি।”
রবিবার হেড শুধু ব্যাট হাতে নয়, ফিল্ডার হিসাবেও নজর কাড়লেন। রোহিত শর্মার ক্যাচ নেওয়ার সময় কভার থেকে বাউন্ডারির দিকে দৌড় শুরু করেছিলেন তিনি। চোখ ছিল উপরে বলের দিকে। শেষ মুহূর্তে বাঁ দিকে ঝাঁপিয়ে লুফে নেন বলটি। রোহিতের সেই আউটই ভারতকে বড় ধাক্কা দিয়ে যায়। সেখান থেকে ঘুরে দাঁড়ানো কঠিন হয়ে যায় ভারতের জন্য। বাকি কাজটা হেড করলেন ব্যাট হাতে।
রবিবার হেড ১২০ বলে ১৩৭ রান করেন। ১৫টি চার এবং চারটি ছক্কা মারেন গোটা ইনিংসে। ভারতের গোটা দল মেরেছে ১৩টি চার এবং তিনটি ছক্কা। হেডের ইনিংসের শুরুটা ছিল ধীর। জানতেন লক্ষ্য বড় নয়, তাই তাড়াহুড়ো করে উইকেট ছুড়ে আসার কোনও মানে নেই। ক্রিজ়ে থাকলে রান পাবেন। সেটাই করলেন হেড। প্রতি ওভারে একটি করে বাউন্ডারি খুঁজে নেওয়ার চেষ্টা করলেন। না পেলে সিঙ্গলস নিয়ে স্কোর বোর্ড চালু রাখলেন। আর শতরানের পর হাত খুলে মারলেন।
জুন মাসে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট বিশ্ব চ্যাম্পিয়নশিপের ম্যাচে প্রথম ইনিংসে ১৬৩ রান করেছিলেন হেড। ১৭৪ বল খেলে ইনিংস গড়েছিলেন। তাঁর সঙ্গী ছিলেন স্টিভ স্মিথ। রবিবার স্মিথ না পারলেও হেডের সঙ্গী হলেন মার্নাস লাবুশেন। এক জন সঙ্গীই শুধু প্রয়োজন ছিল হেডের। বাকি কাজটা সহজেই করলেন তিনি।
শুধু ফাইনাল নয়, সেমিফাইনালেও ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন হেড। ইডেনে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে তাঁর বল হাতে ২ উইকেট নেওয়া ম্যাচের রং বদলে দিয়েছিল। পরে ব্যাট হাতে করেন ৬২ রান। যা জয় এনে দেয় অস্ট্রেলিয়াকে। রবিবারও বল করেছিলেন হেড। তাঁর করা ২ ওভারে দেন মাত্র ৪ রান। নিয়মিত বোলার না হলেও কাজের কাজটা করে দেন। ভারতের সেরা ব্যাটারদের বিরুদ্ধে বল করেও রান দেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy