এক দিনের বিশ্বকাপের ট্রফি। —ফাইল চিত্র।
আসন্ন বিশ্বকাপের জন্য ১৫ জনের চূড়ান্ত দল ঘোষণা করে দিল শ্রীলঙ্কা। দাসুন শনাকার নেতৃত্বেই বিশ্বজয়ের লড়াইয়ে নামবে ১৯৯৬ সালের চ্যাম্পিয়নেরা। চোটের জন্য দুই গুরুত্বপূর্ণ ক্রিকেটারকে পাচ্ছেন না শনাকারা।
চোটের জন্য শ্রীলঙ্কা পাবে না দুষ্মন্ত চামিরা এবং ওয়ানিন্দু হাসরঙ্গকে। বিশ্বকাপের আগে দু’জনেরই মাঠে ফেরার কোনও সম্ভাবনা নেই। লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগ খেলার সময় চোট পেয়েছিলেন তাঁরা। এশিয়া কাপের মূল দলে দু’টি পরিবর্তন করা হয়েছে। বিশ্বকাপের দলে এসেছেন দিলসান মদুশঙ্ক এবং লাহিরু কুমার। বাদ দেওয়া হয়েছে প্রমোদ মদুশান এবং বিনুরা ফার্নান্দোকে। ১৫ জনের দল হলেও এক জন অতিরিক্ত ক্রিকেটারকে নিয়ে ভারতে আসবে শ্রীলঙ্কা। সতর্কতা হিসাবে রিজার্ভ সদস্য হিসাবে আসবেন চামিকা করুণারত্নে।
চামিরা বিশ্বকাপের যোগ্যতা অর্জন পর্বে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে শেষ খেলেছিলেন দেশের হয়ে। তার পর লঙ্কা প্রিমিয়ার লিগে চোট পাওয়ার জন্য আর দেশের হয়ে খেলতে পারেননি ৩১ বছরের জোরে বোলার। চোটের জন্য গত বছর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও খেলতে পারেননি তিনি। হাসরঙ্গর বিশ্বকাপ খেলার আশা অবশ্য এক দম শেষ নয়। প্রতিযোগিতার মধ্যে তিনি ম্যাচ ফিট হয়ে গেলে এবং কোনও ক্রিকেটার চোট পেলে তাঁকে পরিবর্ত হিসাবে দলে নেওয়া হতে পারে।
এশিয়া কাপে হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন মাহিশ থিকসানা। খেলতে পারেননি ফাইনাল। বিশ্বকাপ শুরুর আগেই তিনি ম্যাচ ফিট হয়ে যাবেন। তাই তাঁকে ১৫ জনের চূড়ান্ত দলে রাখা হয়েছে। চোট সারিয়ে দলে ফিরেছেন লাহিরু কুমারা এবং দিলসান মদুশঙ্ক। এক সঙ্গে এত জন ক্রিকেটারের চোট থাকায় বিশ্বকাপের দল নির্বাচন নিয়ে সমস্যায় পড়েছিল শ্রীলঙ্কা। তিন ক্রিকেটার সুস্থ হয়ে যাওয়ায় কিছুটা হলেও স্বস্তি পাবেন শনাকা।
শ্রীলঙ্কা বিশ্বকাপ অভিযান শুরু করবে ৭ অক্টোবর। দিল্লিতে তাদের প্রতিপক্ষ দক্ষিণ আফ্রিকা। তার আগে ২৯ সেপ্টেম্বর এবং ৩ অক্টোবর বাংলাদেশ এবং আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে দু’টি প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে শ্রীলঙ্কা।
শ্রীলঙ্কার বিশ্বকাপের দল: দাসুন শনাকা (অধিনায়ক), কুশল মেন্ডিস (সহ-অধিনায়ক), পাথুম নিশঙ্ক, কুশল পেরেরা (উইকেটরক্ষক), দিমুথ করুণারত্নে, চরিথ আশালঙ্কা, ধনঞ্জয় ডি সিলভা, সাদিরা সমরবিক্রম (উইকেটরক্ষক), দাসুন হেমন্ত, মাহিশ থিকসানা, দুনিথ ওয়েল্লালাগে, কাসুন রাজিথা, দিলসান মদুশঙ্ক, মাথিশা পাতিরানা, লাহিরু কুমারা। রিজার্ভ সদস্য চামিকা করুণারত্নে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy