বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র।
চার মাস ধরে বেতন পাচ্ছেন না বাবর আজ়ম, শাহিন আফ্রিদিরা। তাঁদের ম্যাচ ফি দিতে পারছে না পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ড (পিসিবি)। এশিয়া কাপের আগেই এ নিয়ে বোর্ড কর্তাদের ক্ষোভ জানিয়েছিলেন বাবরেরা। সমস্যা না মেটায় বিশ্বকাপকে প্রতিবাদের মঞ্চ হিসাবে বেছে নিতে পারেন পাক ক্রিকেটারেরা। পরিস্থিতি সামলাতে বাবরদের একাধিক দাবি মেনে নিল পিসিবি।
বিভিন্ন কারণে বোর্ড কর্তাদের উপর ক্ষুব্ধ পাকিস্তানের ক্রিকেটারেরা। তার উপর চার মাস ধরে ম্যাচ ফি বকেয়া থাকায় ক্ষোভের পারদ আরও চড়েছে। বিশ্বকাপের সময় স্পনসরের লোগো জার্সি থেকে খুলে ফেলার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তাঁরা। বাবরেরা সত্যিই ভারতের মাটিতে প্রতিবাদে সামিল হলে মুখ পুড়বে পাকিস্তানের। এই পরিস্থিতিতে প্রধান নির্বাচক ইনজামাম উল হকের মধ্যস্থতায় বাবরদের একাধিক আর্থিক দাবি মেনে নিয়েছেন পাক কর্তারা। তাতেও অবশ্য সুর নরম করার ইঙ্গিত দেননি পাক ক্রিকেটারেরা। আশ্বাস নয়, হাতে টাকা চান বাবরেরা।
ইনজামামের মধ্যস্থতায় নতুন চুক্তি অনুযায়ী, তিন ধরনের ক্রিকেট খেলেন প্রথম সারির এমন কয়েক জন ক্রিকেটার মাসে ৪৫ লক্ষ পাকিস্তানি টাকা (ভারতের প্রায় ১৩ লক্ষ টাকা) পান। তবে কর বাদ দিয়ে বাববেরা হাতে পান ২৩ লক্ষ পাকিস্তানি টাকা (ভারতের প্রায় সাড়ে ৬ লক্ষ টাকা) মতো। এই টাকা বাবর ছাড়াও পাবেন শাহিন আফ্রিদি, মহম্মদ রিজ়ওয়ান। পরের স্তরে থাকা ক্রিকেটারেরা পাবেন মাসে ৩০ লক্ষ পাকিস্তানি টাকা।
বিভিন্ন সূত্র থেকে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের মাসিক আয় ৯৮০ কোটি পাকিস্তানি টাকা (ভারতের প্রায় ২৮৩ কোটি টাকা)। যার মধ্যে রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল থেকে পাওয়া লভ্যাংশও। বাবরদের দাবি, আইসিসি থেকে পাওয়া লভ্যাংশের একটা অংশ তাঁদের দিতে হবে। বিশ্বকাপের আগে বাবরদের শান্ত করতে আইসিসির কাছ থেকে পাওয়া লভ্যাংশের ভাগ দিতে রাজি হয়েছেন পিসিবি কর্তারা। ইনজামামের মধ্যস্থতাতেই এই টাকার তিন শতাংশ ক্রিকেটারদের দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
জাকা আশরফ পিসিবি চেয়ারম্যান হওয়ার তাঁর বাড়িতে একটি বৈঠক করেছিলেন বাবর। সেখানে ক্রিকেটারদের দাবিদাওয়ার কথা বলেন তিনি। আশরফ তাঁদের দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিলেও তেমন কিছুই হয়নি। এ বার ফল চান বাবরেরা। না হলে বিশ্বকাপকেই প্রতিবাদের মঞ্চ হিসাবে ব্যবহার করতে পারেন তাঁরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy