(বাঁদিকে) বাবর আজ়ম এবং রোহিত শর্মা। — ফাইল চিত্র।
২০২৮ সালে লস অ্যাঞ্জেলস অলিম্পিক্সে হবে ক্রিকেট। তার আগেই আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ক্রিকেটের স্বাদ পাবেন আমেরিকার ক্রীড়াপ্রেমীরা। এ বারের বিশ্বকাপের অন্যতম আয়োজক আমেরিকায় হবে ভারত-পাকিস্তান লড়াই। আগামী ৯ জুনের সেই ম্যাচের জন্য প্রায় প্রস্তুত নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়াম। কাজ অল্প কিছু বাকি থাকলেও বৃহস্পতিবার নতুন স্টেডিয়ামের উদ্বোধন করলেন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম দূত উসেইন বোল্ট।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজনে কোনও রকম খামতি রাখছে না ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) এবং আমেরিকার ক্রিকেট সংস্থা। গত ছ’মাস ধরে চলেছে ক্রিকেট স্টেডিয়াম তৈরির কাজ। ৩৪ হাজার দর্শক মাঠে বসে দেখতে পাবেন রোহিত শর্মার দলের সঙ্গে বাবর আজ়মের দলের লড়াই। স্টেডিয়ামের সামান্য কিছু কাজ বাকি থাকলেও উদ্বোধন হয়ে গেল বৃহস্পতিবার। বিশ্বের দ্রুততম পুরুষ এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের অন্যতম দূত। সেই বোল্টের হাতেই উদ্বোধন হল নতুন স্টেডিয়ামের। নাসাউ কাউন্টি স্টেডিয়ামে ভারতের তিনটি ম্যাচ-সহ বিশ্বকাপের মোট আটটি ম্যাচ হওয়ার কথা।
নতুন স্টেডিয়াম উদ্বোধনের পর আইসিসির হেড অফ ইভেন্টস ক্রিস টেটলি বলেছেন, ‘‘নতুন কোনও স্টেডিয়াম তৈরি হলে, মানুষের মনে অনেক প্রশ্ন থাকে। বিশেষ করে মাঠের আয়তন নিয়ে নানা প্রশ্ন থাকে ক্রীড়াপ্রেমীদের। নাসাউ ক্রিকেট স্টেডিয়াম কিন্তু ছোট নয়। মাঝ খান থেকে পূর্ব-পশ্চিমে মাঠটি ৭৫ গজ। আর উত্তর-দক্ষিণে ৬৭ গজ। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সমান মাপের মাঠ রয়েছে নাসাউয়ে। স্টেডিয়ামের জল নিকাশি ব্যবস্থাও বিশ্বমানের।’’
কয়েক মাস আগেই স্থানীয় পুরসভার একটি পার্ক ছিল নাসাউ স্টেডিয়াম। যুদ্ধকালীন তৎপরতায় আইসিসি ক্রিকেট স্টেডিয়াম গড়ে তুলেছে। ম্যাচের জন্য চারটি পিচ রয়েছে। অনুশীলনের জন্য রয়েছে আরও ছ’টি পিচ। অস্ট্রেলিয়ার অ্যাডিলেডের প্রধান পিচ প্রস্তুতকারী ড্যামিয়েন হফের নেতৃত্ব ফ্লোরিডায় তৈরি করা হয়েছে ‘ড্রপ-ইন’ পিচ (অন্য জায়গায় তৈরি করে এনে মাঠের নির্দিষ্ট স্থানে বসিয়ে দেওয়া হয়)। ট্রাকে করে পিচগুলিকে নিয়ে আসা হয়েছে নিউ ইয়র্কে। হফ বলেছেন, ‘‘পিচে ভাল গতি এবং বাউন্স থাকবে। ব্যাটে বল ভাল ভাবে আসবে। এই ধরনের পিচ পছন্দ করে ক্রিকেটারেরা। আমরা এমন পিচ তৈরি করতে চেয়েছিলাম, যার মান ভাল হবে এবং গোটা প্রতিযোগিতায় ঠিক থাকবে। আশা করব ক্রিকেটারেরা এই পিচ উপভোগ করবেন।’’
স্টেডিয়ামের গ্যালারিগুলি অবশ্য অস্থায়ী। প্রতিযোগিতার পর খুলে ফেলা হবে। লাস ভেগাসের ফর্মুলা ওয়ান ট্র্যাকের গ্যালারি খুলে এনে ক্রিকেট স্টেডিয়ামে ব্যবহার করা হয়েছে। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ শেষ হলে ক্রিকেট স্টেডিয়ামটি খুলে ফেলা হবে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy