টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ট্রফি। — ফাইল চিত্র।
পরের বছরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্যে আমেরিকার তিনটি মাঠের কথা আগেই জানানো হয়েছিল। এ বার ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের কোন মাঠগুলিতে খেলা হবে সেটাও জানিয়ে দিল আইসিসি। আমেরিকা এবং ওয়েস্ট ইন্ডিজ় যুগ্ম ভাবে পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজন করছে। ৪-৩০ জুন প্রতিযোগিতা হবে।
আইসিসি ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জের যে সাতটি এলাকার মাঠ বেছেছে সেগুলি হল: অ্যান্টিগা ও বারবুডা, বার্বাডোজ়, ডোমিনিকা, গায়ানা, সেন্ট লুসিয়া, সেন্ট ভিনসেন্ট ও গ্রেনাডাইনস এবং ত্রিনিদাদ ও টোবাগো। এ ছাড়াও আমেরিকার ডালাস, ফ্লোরিডা এবং নিউ ইয়র্কে খেলা হবে।
আইসিসি-র মুখ্য কর্তা জিওফ অ্যালার্ডাইস বলেছেন, “সবচেয়ে বড় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ আয়োজিত হতে চলেছে পরের বছর। তার জন্যে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়ের সাতটি মাঠ বেছে নিলাম আমরা। ২০টি দল একটি ট্রফির জন্যে লড়াই করবে। যে মাঠগুলি বেছে নেওয়া হয়েছে সবক’টি জনপ্রিয় এবং বৈচিত্রে ভরপুর।”
তাঁর সংযোজন, “এই নিয়ে তিনটি বিশ্বকাপ আয়োজন করতে চলেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ়। প্রতিটি ম্যাচেই দর্শকরা যাতে সমান আনন্দ পান তার দিকে খেয়াল রাখা হবে। বিশ্বমানের প্রতিযোগিতা আয়োজন করতে আমরা তৈরি।”
এ দিকে, সেই বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ হতে পারে নিউ ইয়র্কে। শহরের কেন্দ্রস্থল থেকে ৩০ মাইল দূরে আইজেনহাওয়ার পার্কে একটি নতুন স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হবে। প্রায় ৯৩০ একর জুড়ে স্টেডিয়ামের এলাকা থাকবে। প্রথমে আইসিসি চেয়েছিল একই রকম একটি স্টেডিয়াম ব্রঙ্কের ভ্যান কোর্টল্যান্ড পার্কে তৈরি করতে। কিন্তু স্থানীয় মানুষেরা নতুন স্টেডিয়াম তৈরির বিরুদ্ধে প্রবল প্রতিবাদ করেন। পাশাপাশি সেই মাঠ ছাড়তে রাজি হয়নি স্থানীয় একটি ক্লাবও। বাধ্য হয়ে আইজেনহাওয়ার পার্কের মালিক নাসাউ কাউন্টির সঙ্গে যোগাযোগ করে আইসিসি। তারা সঙ্গে সঙ্গে স্টেডিয়ামের জন্য এলাকা দিতে রাজি হয়ে গিয়েছে।
নতুন স্টেডিয়ামে ফ্লাডলাইট থাকবে। আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম গড়ে তোলা হবে। এখনও পর্যন্ত আমেরিকায় মাত্র দু’টি ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে। ডালাস এবং মায়ামিতে। এই দু’টি মাঠেই মেজর লিগ ক্রিকেট আয়োজন করা হয়েছে। কিন্তু ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ আয়োজন করার মতো পরিকাঠামো দু’টির কোনওটারই নেই। দর্শকাসনও কম।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy