টেস্ট খেলতে না পারায় হতাশ ম্যাক্সওয়েল। ফাইল ছবি।
টেস্ট ক্রিকেটে আর না-ও দেখা যেতে পারে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। দেশের হয়ে আর টেস্ট খেলার সুযোগ পাবেন না বলে নিজেই মনে করছেন অস্ট্রেলিয়ার এই অলরাউন্ডার। পাঁচ বছর পর টেস্ট দলে ডাক পেয়েও শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলার সুযোগ পাননি।
শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে দু’টি টেস্টেই খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু কোনও টেস্টেই শেষ পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার প্রথম একাদশে জায়গা হয়নি ম্যাক্সওয়েলের। খেলার সুযোগ না পাওয়ায় হতাশ তিনি। ২০১৭ সালে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলা ম্যাক্সওয়েল বলেছেন, ‘‘খেলার সুযোগ পাব না জেনে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলাম। অথচ এক বারও মনে হয়নি ভুল করে আমাকে প্রস্তুত থাকতে বলা হয়েছিল। ভীষণ ভাবে টেস্ট ম্যাচ খেলতে চেয়েছিলাম। আবার টেস্ট খেলার সুযোগ পেলে ভাল লাগবে।’’
ম্যাক্সওয়েল অবশ্য নিজেই জানিয়েছেন, গত দু’বছর টেস্ট খেলার কথা ভাবেননি। অজি অলরাউন্ডার বলেছেন, ‘‘আমি এখন টেস্ট খেলার জন্য প্রস্তুত। নতুন কোচেদের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ পেলে ভাল লাগবে। নতুন নতুন পরিকল্পনা, কৌশল শিখতে পারব। আরও ভাল করে স্পিন বল খেলা শিখতে চাই। আমার বোলিং কী ভাবে আরও কার্যকর করা যায়, তাও জানতে চাই।’’
টেস্ট খেলার সুযোগ না পাওয়ায় হতাশা প্রকাশ করেও ম্যাক্সওয়েল বলেছেন, ‘‘ট্রেভিস হেড ফিটনেস পরীক্ষায় উতরে যাওয়ায় আমি খুশিই হয়েছিলাম। কারণ, আহত কারও পরিবর্তে খেলা আমার পছন্দ নয়। দুর্ভাগ্যজনক হলেও দুটো টেস্টেই আমার সঙ্গে একই ঘটনা ঘটেছে। মনে হয় উইকেট আর একটু খারাপ হলে আমাকে খেলানোর কথা ভাবা হত।’’
উল্লেখ্য, প্রথম টেস্টে আহত হেডের জায়গায় খেলার সম্ভাবনা তৈরি হয় তাঁর। টেস্ট শুরুর আগে হেড ফিটনেস পরীক্ষায় পাশ করে যাওয়ায় খেলা হয়নি ম্যাক্সওয়েলের। দ্বিতীয় টেস্টের আগে অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক প্যাট কামিন্স মিচেল স্টার্কের জায়গায় ম্যাক্সওয়েলকে খেলানোর ইঙ্গিত দেন। যদিও শেষ পর্যন্ত স্টার্কই খেলেন। পর পর দু’টি টেস্টে খেলার সম্ভাবনা তৈরি হলেও মাঠে নামতে পারেননি ম্যাক্সওয়েল। তাতেই বেশি হতাশ তিনি।
২০১৩ সালে ভারতের বিরুদ্ধে টেস্ট অভিষেক হওয়া ম্যাক্সওয়েল এখনও পর্যন্ত অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সাতটি টেস্ট খেলেছেন। ১২১টি এক দিনের ম্যাচ এবং ৮৭টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন ৩৩ বছরের অলরাউন্ডার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy