চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত। ফাইল ছবি।
স্বপ্নভঙ্গের ২৩ বছরে স্বপ্নপূরণ। ১৯৯৮-৯৯ মরসুমে অধিনায়ক হিসাবে মধ্যপ্রদেশকে রঞ্জি ট্রফি চ্যাম্পিয়ন করতে পারেননি। ফাইনালে উঠেও অধরা ছিল ট্রফি। মধ্যপ্রদেশের কোচ হিসাবে সেই ট্রফি স্পর্শ করার সুযোগ পেলেন চন্দ্রকান্ত পণ্ডিত।
মধ্যপ্রদেশের জয়ের রান আসার আগে পর্যন্ত মুখে হাসি ছিল না পণ্ডিতের। কিন্তু জয়ের রান আসতেই শিশুর মতোই আনন্দে মেতে ওঠেন মধ্যপ্রদেশের কোচ। পণ্ডিতের চোখে জলও দেখা গিয়েছে। পণ্ডিত ভীষণ ভাবে চেয়েছিলেন এ বার রঞ্জি ট্রফি। ক্রিকেটার হিসাবে মধ্যপ্রদেশকে যে ট্রফি দিতে পারেননি, কোচ হিসাবে সেই ট্রফি দিতে চেয়েছিলেন। এর আগেও কোচ হিসাবে ট্রফি জিতেছেন পাঁচ বার। কিন্তু কোনও বারই মধ্যপ্রদেশের কোচ ছিলেন না।
ম্যাচের পর ৯৮-৯৯ মরসুমের প্রসঙ্গ উঠতেই পণ্ডিত বললেন, ‘‘সেটা দুর্দান্ত একটা অভিজ্ঞতা। ২৩ বছর আগের এই মাঠেই আবার ফিরে এলাম। ঈশ্বরের কৃপাতেই এই পর্যন্ত পৌঁছতে পেরেছি আমরা। হ্যাঁ, অধিনায়ক হিসাবে রঞ্জি জিততে না পারার আক্ষেপ রয়েছে। মধ্যপ্রদেশের হয়ে ছয় বছর খেলেও পারিনি।’’
কেন মধ্যপ্রদেশের কোচ হলেন? পণ্ডিত বলেছেন, ‘‘সব সময় নতুন চ্যালেঞ্জ নিতে ভাল লাগে। আরও দু’টো দলের কোচ হওয়ার প্রস্তাব ছিল আমার কাছে। কিন্তু মধ্যপ্রদেশকেই বেছে নিয়েছিলাম। চেয়েছিলাম মধ্যপ্রদেশের ক্রিকেট সংস্কৃতিকে উন্নত করতে। খেলার সুবাদে এই রাজ্যের ক্রিকেট সংস্কৃতির কিছুটা জানা ছিল। তাই এই চ্যালেঞ্জটা নিয়ে ছিলাম।’’ মধ্যপ্রদেশের কোচের মুখে শোনা গিয়েছে আদিত্য শ্রীবাস্তব, রজত পাটীদার, কুমার কার্তিকেয়দের প্রশংসা।
আদিত্য রানের মধ্যে না থাকলেও কেন টানা খেলালেন কড়া মেজাজের কোচ? পণ্ডিত বলেছেন, ‘‘ঠিকই, আদিত্য খুব বেশি রান করতে পারেনি। কিন্তু ও দুর্দান্ত অধিনায়ক। মাঠে ওর ক্রিকেটীয় বুদ্ধি, কৌশল আমাদের অনেক ক্ষেত্রে এগিয়ে দিয়েছে। নেতৃত্বের জন্যই ওকে প্রথম একাদশের বাইরে রাখার কথা ভাবিনি। সাজঘরের পরিকল্পনা মাঠে দারুণ ভাবে বাস্তবায়িত করেছে। ব্যাট হাতে কম রান করলেও ওর অবদান খুবই গুরুত্বপর্ণ। ওর প্রতি সব সময় আস্থা ছিল আমার।’’
পণ্ডিত বলেছেন, তিনি হাল ছাড়তে পছন্দ করেন না। তাঁর দলের ক্রিকেটারদের যথেষ্ট প্রতিভা রয়েছে। তিনি শুধু ক্রিকেট সংস্কৃতি উন্নত করার চেষ্টা করেছেন। আগেও তো পাঁচ বার রঞ্জি জিতেছেন কোচ হিসাবে। এ বারেরটা কেন আলাদা? পণ্ডিত বলেছেন, ‘‘হ্যাঁ তা জিতেছি। এ বারের জয়টাই সবার উপরে থাকবে। কারণ, ক্রিকেটার হিসাবে মধ্যপ্রদেশকে ট্রফি দিতে পারিনি ২৩ বছর আগে। তাই এ বার সুযোগ হারাতে চাইনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy