এ বার মুম্বইকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন মধ্যপ্রদেশ ছবি: পিটিআই
মুম্বইকে হারিয়ে প্রথম বারের জন্য রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে মধ্যপ্রদেশ। দলে বড় তারকা তেমন নেই। স্বাভাবিক ভাবেই প্রতিযোগিতা শুরুর সময় চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের দলকে সম্ভাব্য চ্যাম্পিয়ন হিসাবে ধরা হয়নি। কিন্তু একের পর এক ম্যাচ জিতে নিজেদের প্রমাণ করেছেন রজত পাটীদাররা। এটাই প্রথম নয়। এর আগেও তিন বার এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে, যেখানে খাতায়কলমে পিছিয়ে থাকা দল শেষ পর্যন্ত রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়েছে।
গুজরাত (২০১৬-১৭)— ফাইনালে মুম্বইকে হারিয়ে রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল গুজরাত। প্রতিযোগিতার শুরু থেকে ভাল খেলেছিল তারা। কিন্তু রঞ্জি শুরুর আগে কেউ তাদের ধর্তব্যের মধ্যে রাখেনি। গ্রুপ পর্বে ২৬ পয়েন্ট নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে শেষ করেছিল তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে ওড়িশা ও সেমিফাইনালে ঝাড়খণ্ডকে হারিয়েছিল পার্থিব পটেলের নেতৃত্বাধীন গুজরাত। ফাইনালে প্রথম ইনিংসে ২২৮ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল মুম্বই। জবাবে গুজরাত প্রথম ইনিংসে করেছিল ৩২৮ রান। দ্বিতীয় ইনিংসে মুম্বই করেছিল ৪১১ রান। গুজরাতের সামনে লক্ষ্য ছিল ৩১২ রান। চতুর্থ ইনিংসে ১৪৩ রানের ম্যাচ জেতানো ইনিংস খেলেছিলেন পার্থিব। রঞ্জির ইতিহাসে চতুর্থ ইনিংসে সর্বোচ্চ রান তাড়া করে জেতার নজির গড়েছিল গুজরাত।
বিদর্ভ (২০১৭-১৮)— মধ্যপ্রদেশের এখনকার কোচ চন্দ্রকান্ত পণ্ডিতের কোচিংয়েই সে বার প্রথম রঞ্জি চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বিদর্ভ। ৩১ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্বে শীর্ষে শেষ করেছিল তারা। কোয়ার্টার ফাইনালে তারা হারিয়েছিল কেরলকে। সেমিফাইনালেই বিদর্ভ ছিটকে যাবে মনে করেছিলেন অনেকেই। কারণ, বিপক্ষে ছিল শক্তিশালী কর্নাটক। জিতে যায় বিদর্ভ। ফাইনালে প্রতিপক্ষ ছিল দিল্লি। গৌতম গম্ভীর, নীতীশ রাণা, ঋষভ পন্থ সমৃদ্ধ দিল্লি প্রথম ইনিংসে ২৯৫ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল। বিদর্ভের বোলার রজনীশ গুরবানি ৬ উইকেট নিয়েছিলেন। রঞ্জির ফাইনালে হ্যাটট্রিক করা প্রথম বোলার তিনি। প্রথম ইনিংসে ৫৪৭ রান করেছিল বিদর্ভ। শতরান করেছিলেন রজনীশ ওয়াদেকর। দিল্লি দ্বিতীয় ইনিংসে ২৮০ রান করেছিল। চতুর্থ ইনিংসে জয়ের জন্য মাত্র ৩২ রান করতে হত বিদর্ভকে। সহজেই ম্যাচ জিতেছিল তারা।
হরিয়ানা (১৯৯০-৯১)— সে বার মুম্বই দলে সচিন তেন্ডুলকর, সঞ্জয় মঞ্জরেকর, দিলীপ বেঙ্গসরকার, বিনোদ কাম্বলির মতো তারকা। স্বাভাবিক ভাবেই রঞ্জি জেতার সব থেকে বড় দাবিদার ছিল মুম্বই। কিন্তু ফাইনালে তাদের হারিয়ে চমক দিয়েছিল কপিল দেবের হরিয়ানা। ফাইনালে প্রথম ইনিংসে ৫২২ রান করেছিল হরিয়ানা। ১৯৯ রান করেছিলেন দীপক শর্মা। জবাবে প্রথম ইনিংসে ৪১০ রান করেছিল মুম্বই। দ্বিতীয় ইনিংসে ২৪২ রানে অলআউট হয়ে গিয়েছিল হরিয়ানা। চতুর্থ ইনিংসে ৩৫৫ রান করতে হত মুম্বইকে। ৩৫২ রান করতে পেরেছিলেন তাঁরা। রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে শেষ হাসি হেসেছিলেন কপিল দেব।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy