আইপিএলের মহানিলামে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো কোনও ক্রিকেটারকে না কেনার মাধ্যমেই ইঙ্গিতটা দিয়েছিল আরসিবি। জল্পনা চলছিল, আরসিবি অধিনায়ক হিসাবে ফিরতে পারেন বিরাট কোহলি। সবাইকে চমকে দিয়ে বৃহস্পতিবার নতুন অধিনায়ক হিসাবে ঘোষণা করা হল রজত পাটীদারের নাম। তবে কোহলি যে নেতৃত্বের লড়াইয়ে ছিলেন। সে কথা অস্বীকার করা হয়নি। বিশেষ কিছু গুণের কারণেই বিরাটকে টপকে নেতৃত্বের দায়িত্ব পেয়েছেন পাটীদার। খোদ কোহলিই সে কাজে দলকে সাহায্য করেছেন।
এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে কোচ অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার বলেন, “রজতের মধ্যে যে শান্ত এবং সরল ভাব রয়েছে সেটাই আইপিএলে ওকে এগিয়ে দেবে। ও সাধারণত চুপচাপ স্বভাবের ক্রিকেটার। কিন্তু সাজঘরে যারা ওকে ঘিরে থাকে তাদের সকলের খেয়াল রাখতে জানে। নেতা হিসাবে এই গুণগুলো গুরুত্বপূর্ণ।”
কোহলি যে অধিনায়কত্বের জন্য একটি বিকল্প ছিলেন সেটা স্বীকার করে নিয়েছেন ক্রিকেট ডিরেক্টর মো বোবাট। বলেছেন, “রজত অনেক আগে থেকেই নেতৃত্বের দায়িত্ব নিতে উৎসাহী ছিল। বয়সের কারণে ফাফকে ছেড়ে দেওয়ার সিদ্ধান্তটা খুব কঠিন ছিল। তবে বিরাট এবং রজত দু’জনই নেতা হিসাবে বিকল্প ছিল আমাদের কাছে। আমরা অধিনায়ক নেওয়ার পরিকল্পনা করে নিলামে যাইনি। চেয়েছিলাম শক্তিশালী দল গড়তে। ক্রুণাল, ভুবি, জিতেশের মধ্যে সেই দক্ষতা এবং ক্ষমতা রয়েছে।”
বোবাটের সংযোজন, “আমরা দীনেশ কার্তিকের সঙ্গে আলোচনা করেছি। রজতের সঙ্গে বিরাট নিজে আলোচনা করেছে। ওর একপ্রকার সাক্ষাৎকারই নিয়েছে। তখনই বোঝা গিয়েছিল রজত নেতৃত্ব দিতে কতটা উৎসাহী। আমরা সৈয়দ মুস্তাকে খুব কাছ থেকে রজতের নেতৃত্ব দেখেছি। শুধু অধিনায়কত্ব নয়, চাপের মুখে কী ভাবে খেলে সেটাও লক্ষ করেছি। কোহলির পরামর্শ শুনে নিজেদের মধ্যে আলোচনা করেছি। তার পরেই রজতকে অধিনায়ক করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।”
আরও পড়ুন:
কোহলিকে কেন দায়িত্ব দেওয়া হল না? বোবাটের জবাব, “আমরা একজন ভারতীয় অধিনায়কই চাইছিলাম। বিরাট নিঃসন্দেহে একটা বিকল্প ছিল। তবে আলাদা করে ওকে অধিনায়ক করতেই হবে এমন ব্যাপার নেই। ও এমনিতেই দলের নেতা। ব্যাট হাতে দলকে সব সময় নেতৃত্ব দেয়। মাঠে নিজের পেশাদারিত্ব দিয়ে দলকে এগিয়ে নিয়ে যায়। তবে আমাদের মনে হয়েছে, রজতের হাতে দায়িত্ব তুলে দেওয়ার এটাই সেরা সময়।”