আইপিএল শুরু হওয়ার আগে ঘোষণা হয়ে গেল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর (আরসিবি) অধিনায়কের নাম। আগামী মরসুমের অধিনায়ক হচ্ছেন রজত পাটীদার। বৃহস্পতিবার এক সাংবাদিক বৈঠকে ঘোষণা করা হয়েছে তাঁর নাম।
গত বছরের মহানিলামের পর থেকে জল্পনা চলছিল আরসিবি-র সম্ভাব্য অধিনায়ককে নিয়ে। বিরাট কোহলি ২০২১ সালে দায়িত্ব ছেড়ে দেওয়ার পর ফাফ ডুপ্লেসিকে অধিনায়ক করা হয়েছিল। তাঁকে ২০২২ মহানিলামে কেনাই হয়েছিল অধিনায়ক করা হবে বলে। তবে মহানিলামের আগে ডুপ্লেসিকে ছেড়ে দেওয়া হয়। এমন কোনও ক্রিকেটারকেও নেওয়া হয়নি যিনি ভবিষ্যতের অধিনায়ক হতে পারেন।
হঠাৎ করেই জল্পনা ওঠে কোহলির নাম নিয়ে। শোনা যায়, কোহলি আবার নেতৃত্ব দিতে রাজি হয়েছেন। তবে প্রাক্তন অধিনায়ক নিজে থেকে কিছুই বলেননি। বৃহস্পতিবার আনুষ্ঠানিক ঘোষণার আগে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন এটাও পরিষ্কার হয়ে যায় যে, কোহলি নেতৃত্বের দৌড়ে নেই। সেটাই হয়েছে। পাটীদার অধিনায়ক হওয়ার পর কোহলি বলেছেন, “তোমাকে অসংখ্য অভিনন্দন। যে ভাবে এই দলের হয়ে তুমি নিজের সেরাটা দিয়েছ তা মনে রাখার মতো। দলকে অনেক উঁচুতে নিয়ে যাবে এই আশা করি। আমি এবং বাকি সতীর্থ সব সময়ে তোমার পাশে থাকব। তোমার জন্য প্রচণ্ড খুশি। তুমি এই সম্মানের যোগ্য। নিজেই এটা আদায় করে নিয়েছ।”

রজত পাটীদার। ছবি: পিটিআই।
মহানিলামের আগে যে তিন ক্রিকেটারকে ধরে রেখেছিল বেঙ্গালুরু, তার একজন পাটীদার। ঘরোয়া ক্রিকেটে সৈয়দ মুস্তাক আলি এবং বিজয় হজারে ট্রফিতে রাজ্য দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে তাঁর। তিনি মধ্যপ্রদেশকে সৈয়দ মুস্তাকের ফাইনালেও তুলেছিলেন। তবে আইপিএলে অধিনায়কত্ব করেননি। কী ভাবে তারকা ক্রিকেটারদের সামলে দলকে সাফল্য এনে দেবেন, সে দিকে নজর থাকবে।
আরও পড়ুন:
আরসিবি-র প্রথম অধিনায়ক হয়েছিলেন রাহুল দ্রাবিড়। ২০০৮ সালে দলকে ১৪টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। পরের বছর কেভিন পিটারসেন মাত্র ছ’টি ম্যাচে দলকে নেতৃত্ব দেওয়ার পর অপসারিত হন। এর পর ২০১০ পর্যন্ত অনিল কুম্বলে নেতৃত্ব দেন। তিনি ৩৫টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন। ২০১১-১২ সালে দলকে মোট ২৮টি ম্যাচে নেতৃত্ব দেন ড্যানিয়েল ভেট্টোরি। এর পর ২০১১-২০২৩— ১২ বছর আরসিবি-কে নেতৃত্ব দিয়েছেন কোহলি। এক বার ফাইনালে তুললেও দলকে ট্রফি জেতাতে পারেননি। ১৪৩টি ম্যাচে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ২০২২-২৪ পর্যন্ত ৪২টি ম্যাচে বেঙ্গালুরুকে নেতৃত্ব দিয়েছেন ডুপ্লেসি। এ বার আরসিবি-তে শুরু হল পাটীদারের যুগ।