যাবতীয় সমালোচনার জবাব দিয়েছেন গৌতম গম্ভীর। কোচ হিসাবে নিজের প্রথম আইসিসি প্রতিযোগিতায় দলকে চ্যাম্পিয়ন করেছেন তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জেতার পর ভারতের কোচ গৌতম গম্ভীর তাঁর পরের লক্ষ্য ঠিক করে নিয়েছেন। বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মাদের পাশাপাশি অন্য এক দলের সঙ্গে বিদেশ সফরে যাবেন তিনি।
এখন আগামী তিন মাস আন্তর্জাতিক ম্যাচ নেই রোহিত, কোহলিদের। শুরু হবে আইপিএল। কিন্তু বসে থাকতে চাইছেন না গম্ভীর। এই সময়ে নিজের পরিকল্পনা এগিয়ে রাখতে চাইছেন তিনি। আপাতত আগামী বছর দেশের মাটিতে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ রয়েছে। তার পরের বছর বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপ ও এক দিনের বিশ্বকাপ। এই তিনটি প্রতিযোগিতার জন্য দল তৈরি রাখতে চাইছেন গম্ভীর।
একটি ইংরেজি দৈনিকের খবর, ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাচক অজিত আগরকরের সঙ্গে কথা হয়েছে গম্ভীরের। ভারতের ‘এ’ দলকে গুরুত্ব দিতে চাইছেন গম্ভীর। রাহুল দ্রাবিড় যখন ‘এ’ দলের কোচ ছিলেন তখন অনেক বিদেশ সফর হত। কিন্তু দ্রাবিড় ভারতীয় দলের কোচ হওয়ার পর থেকে ‘এ’ দলের কোনও নির্দিষ্ট কোচ নেই। কখনও জাতীয় ক্রিকেট অ্যাকাডেমির প্রধান কোচ ভিভিএস লক্ষ্মণ, আবার কখনও অন্য কোনও কোচ দায়িত্ব সামলান।
আরও পড়ুন:
জুলাই মাসে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্টের সিরিজ় রয়েছে ভারতের। তার আগে ২০ জুন থেকে ইংল্যান্ডে সিরিজ় ভারত ‘এ’ দলের। সেই দলের সঙ্গে যাবেন গম্ভীর। তিনি ইতিমধ্যেই বোর্ডকে সে কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তেমনটা হলে এই প্রথম বার জাতীয় দলের কোনও কোচ ‘এ’ দলের সঙ্গে বিদেশ সফরে যাবেন। তবে গম্ভীর হয়তো শুধুই ‘এ’ দলের ক্রিকেটারদের দেখে নেওয়ার জন্যই যাবেন। কোচ হিসাবে দলের সঙ্গে যেতে পারেন লক্ষ্মণও।
গম্ভীর চাইছেন, টি-টোয়েন্টি, টেস্ট ও এক দিনের জন্য আলাদা আলাদা দল তৈরি রাখতে। কয়েক জন হয়তো তিন ফরম্যাটেই খেলবেন। কিন্তু বাকিরা সেই ফরম্যাটেই বিশেষজ্ঞ হবেন। সেই কারণে ‘এ’ দলের ভূমিকা গুরুত্বপূর্ণ। জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার আগে ‘এ’ দলেই খেলেন ক্রিকেটারেরা। যেমন ভারতের টেস্ট দলে রোহিত, কোহলি কত দিন খেলবেন তা বোঝা যাচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে অভিমন্যু ঈশ্বরণ, সরফরাজ় খান, করুণ নায়ারদের তৈরি রাখতে চান গম্ভীর। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে পাঁচ টেস্টের সিরিজ়ে মহম্মদ শামি বা জসপ্রীত বুমরাহের পক্ষে পুরো ধকল সামলানো কঠিন। ফলে বাকি পেসারদেরও তৈরি রাখতে হবে।
২০২৭ সালে এক দিনের বিশ্বকাপ পর্যন্ত দলে অনেক বদল হতে পারে। যাতে মসৃণ ভাবে সেই বদল করা যায় ও বিশ্বকাপ আসতে আসতে দল তৈরি হয়ে যায় সেই লক্ষ্য স্থির করেছেন গম্ভীর। সেই জন্যও রিজ়ার্ভ বেঞ্চ দেখে নেওয়া খুব দরকার। আবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য আইপিএলকে গুরুত্ব দিচ্ছেন ভারতের প্রধান কোচ। সব মিলিয়ে বলা যেতে পারে, আগামী তিন মাস খেলা না থাকলেও ব্যস্ত গম্ভীর। ভবিষ্যতের পরিকল্পনা শুরু করে দিয়েছেন তিনি।