হরমনপ্রীত কৌর। — ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে হেরেছিল ভারতের মহিলা দল। শেষ ম্যাচে হারের পর অধিনায়ক হরমনপ্রীত কৌরের বিভিন্ন আচরণে উঠেছিল সমালোচনার ঝড়। সেই নিয়ে অবশেষে মুখ খুললেন হরমন। জানালেন, ওই আচরণের জন্যে কোনও অনুশোচনা নেই তাঁর। মনে করেন, যা করেছেন ঠিক করেছেন।
সেই ম্যাচে নিজের আউট নিয়ে ক্ষুব্ধ ছিলেন হরমনপ্রীত। মাঠেই আম্পায়ারের উদ্দেশে গালিগালাজ করেন। পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের সময় অপমান করেন বাংলাদেশের মহিলা ক্রিকেটারদেরও। সেই প্রসঙ্গে ‘দ্য ক্রিকেট’ সংবাদপত্রে এক সাক্ষাৎকারে হরমনপ্রীত বলেছেন, “ওই ঘটনার পরে আমার কোনও আক্ষেপ রয়েছে এ কথা বলবই না। ক্রিকেটার হিসাবে আমি সব সময় চাই মাঠে যা হচ্ছে সেটা সঠিক হোক। নিজের মতামত জানানোর অধিকার আমার রয়েছে।”
হরমনপ্রীতের সংযোজন, “মনে হয় না আমি কোনও ব্যক্তি বা কোনও ক্রিকেটারের উদ্দেশে খারাপ কোনও কথা বলেছি। মাঠে যা হয়েছে সেটা নিয়েই মুখ খুলেছি। আমার কোনও আক্ষেপ নেই।”
গত ২২ জুলাই বাংলাদেশের বিরুদ্ধে ম্যাচের মধ্যেই আম্পায়ারদের সঙ্গে বিতর্কে জড়ায়েছিলেন হরমনপ্রীত। ভারতীয় দলের ইনিংসের ৩৪ ওভারের মাথায় ঘটনাটি ঘটেছিল। বাংলাদেশের নাহিদা আখতারের বলে সুইপ করতে গিয়েছিলেন। বল তাঁর ব্যাটে বা প্যাডে লেগে স্লিপে ফাহিমা খাতুনের হাতে জমা পড়ে। বোলার এলবিডব্লিউয়ের আবেদন করার সঙ্গে সঙ্গে আম্পায়ার আঙুল তুলে দেন। হরমনপ্রীত সঙ্গে সঙ্গে ক্ষোভে ফেটে পড়েন। তাঁর দাবি, বল ব্যাটে লেগেছে। কোনও ভাবেই তাঁর প্যাডে লাগেনি। আম্পায়ার আউট দেওয়ায় প্রথমে ব্যাটে একটি ঘুষি মারেন হরমনপ্রীত। তার পরে ব্যাট দিয়ে উইকেট ভেঙে দেন। সাজঘরে ফেরার পরে আম্পায়ারের উদ্দেশে কিছু বলতেও দেখা যায় তাঁকে। হরমন আউট হওয়ার পর দর্শকেরা ব্যাপক উল্লাস করছিলেন। তাঁদের দিকে তাকিয়েও আঙুল তুলে ব্যঙ্গ করেন ভারতের অধিনায়ক। যদিও হরমনপ্রীতকে ক্যাচ আউট-ই দেওয়া হয় সে দিনের ম্যাচে। হরমনপ্রীতের আচরণের সমালোচনা করেছেন মদন লালের মতো বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার।
শুধু তাই নয়, ট্রফি জয়ের পর যখন দু’দলের ক্রিকেটারের ছবি তোলার জন্য তৈরি হচ্ছিলেন তখনই বাংলাদেশের অধিনায়ক নিগার সুলতানাকে হরমনপ্রীত বলেন, ‘‘আম্পায়ারদেরও ডেকে নাও। কেন শুধু তোমরা এখানে? তোমরা তো ম্যাচ টাই করোনি। আম্পায়ারেরা তোমাদের হয়ে করে দিয়েছে। তাই ওদের সঙ্গেও আমরা ছবি তুলব।’’ ভারত অধিনায়কের এই কথা ভাল ভাবে নেননি বাংলাদেশ দল। অধিনায়ক সুলতানা গোটা দলকে নিয়ে সাজঘরে চলে যান। দেখে বোঝা যাচ্ছিল, হরমনের আচরণে যথেষ্ট বিরক্ত তাঁরা। পরে সাংবাদিক বৈঠকে ভারত অধিনায়কের আচরণের সমালোচনা করেন বাংলাদেশের অধিনায়ক।
বাংলাদেশের বিরুদ্ধে গত শনিবারের ম্যাচে আউট হওয়ার পর ব্যাট দিয়ে উইকেট ভেঙে দিয়েছিলেন হরমনপ্রীত। সেটার জন্য তাঁকে তিনটি ডিমেরিট পয়েন্ট দেওয়া হয় এবং ম্যাচ ফি কেটে নেওয়া হয়। পরে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রকাশ্যে আম্পায়ারদের সমালোচনা করেন হরমনপ্রীত। সেই কারণে তাঁর ম্যাচ ফি-র আরও ২৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে। অর্থাৎ ম্যাচ ফি-র মোট ৭৫ শতাংশ কেটে নেওয়া হয়েছে হরমনপ্রীতের। সেই সঙ্গে দু’টি ডিমেরিট পয়েন্ট পেয়েছেন তিনি। এর ফলে একটি টেস্ট অথবা দু’টি এক দিনের ম্যাচ বা টি-টোয়েন্টি থেকে নির্বাসিত হরমনপ্রীত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy