—প্রতিনিধিত্বমূলক চিত্র।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলায় নির্বাচকদের নজরে পড়েছিলেন তিনি। সুযোগ পেয়েছিলেন ভারতীয় দলে। কিন্তু জাতীয় দলে তাঁর কেরিয়ার ছিল খুব ছোট। মাত্র দু’টি ম্যাচ খেলতে পেরেছিলেন জ্ঞানেন্দ্র পাণ্ডে। সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, রাহুল দ্রাবিড়ের সতীর্থ এখন ব্যাঙ্কে এজেন্টের কাজ করেন।
ঘরোয়া ক্রিকেটে ১৯৯টি প্রথম শ্রেণি ও লিস্ট এ ম্যাচে ২৫৪টি উইকেট নিয়েছেন পাণ্ডে। ৯৭টি রঞ্জি ম্যাচে ৪৪২৫ রান করেছেন তিনি। নিয়েছেন ১৪৮টি উইকেট। সেই কারণে ১৯৯৯ সালে পেপসি কাপে ভারতীয় দলে ডাক পান তিনি। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অভিষেক হয় তাঁর। শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধেও একটি ম্যাচ খেলেন। সেই শেষ। আর সুযোগ পাননি জাতীয় দলে।
একটি সাক্ষাৎকারে নিজের ক্রিকেট জীবনের কথা বলেছেন পাণ্ডে। তিনি বলেন, “১৯৯৭ সালে ঘরোয়া ক্রিকেটে ভাল খেলেছিলাম। দলীপ ট্রফির ফাইনালে ৪৪ রান করেছিলাম। তিনটে উইকেট নিয়েছিলাম। দেওধর ট্রফিতেও উত্তরাঞ্চলের হয়ে ভাল খেলেছিলাম। সেই দলে বিক্রম রাঠৌর, বীরেন্দ্র সহবাগ, নবজ্যোৎ সিংহ সিধুরা ছিল। পশ্চিমাঞ্চলের বিরুদ্ধে পাঁচ উইকেট ও ২৩ রান, পূর্বাঞ্চলের বিরুদ্ধে ৮৯ রান ও তিন উইকেট এবং দক্ষিণাঞ্চলের বিরুদ্ধে ৩০ রান ও তিন উইকেট নিয়েছিলাম। সকলে আমার খুব প্রশংসা করেছিল।”
চ্যালেঞ্জার ট্রফিতে ভাল খেলার পরে সে বছরই ভারতীয় দলে ডাক পান পাণ্ডে। তখন সৌরভ, দ্রাবিড়েরা জাতীয় দলে খেলেন। অধিনায়ক মহম্মদ আজহারউদ্দিন। তাঁদের সঙ্গে সাজঘর ভাগ করে নিলেও বেশি দিন খেলতে পারেননি তিনি। কিন্তু সেই সময়ের বোর্ড সচিব জয়বন্ত লেলে তাঁকে চাননি বলে অভিযোগ করেছেন পাণ্ডে। তিনি বলেন, “লেলে স্যর আমার কথা ভাবেননি। উনি এক জন আম্পায়ার ছিলেন। ওঁর উচিত ছিল আমার খেলা দেখা। আমি ভিতরের রাজনীতি বুঝতাম না। সেই সময় সংবাদমাধ্যমও আমার পাশে দাঁড়ায়নি। কেউ আমাকে সাহায্য করেনি। তাই বাদ পড়েছি।”
জাতীয় দল থেকে বাদ পড়ার পরে খেলা ছেড়ে দেন পাণ্ডে। তার পর থেকে বিভিন্ন কাজ করেছেন। এখন ভারতীয় স্টেট ব্যাঙ্কে পিআর এজেন্ট হিসাবে কাজ করেন তিনি। খেলার দুনিয়া থেকে অনেক দূরে চলে গিয়েছেন সৌরভ, দ্রাবিড়ের সতীর্থ। তবু মাঝেমাঝে মনে পড়ে পুরনো দিনের কথা। জাতীয় দলের হয়ে খেলা তাঁর দু’টি ম্যাচের কথা। সেই সময় কিছুটা হলেও হতাশ হয়ে পড়েন পাণ্ডে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy