পরের বার আইপিএলের মিডিয়া স্বত্ব লক্ষ কোটি ছুঁতে পারে ফাইল চিত্র
পাঁচ বছরের জন্য ৪৮,৩৯০ কোটি টাকায় আইপিএলের মিডিয়া স্বত্ব বিক্রি করেছে বিসিসিআই। আগের বারের থেকে টাকার অঙ্ক তিন গুণ। পরের বার, এই অঙ্কটা বেড়ে এক লক্ষ কোটি টাকায় গিয়ে দাঁড়াবে, এমনটাই ধারণা ললিত মোদীর। আইপিএল যাঁর হাতে তৈরি, সেই ললিত জানিয়েছেন, প্রতিযোগিতার জনপ্রিয়তা যেখানে যাচ্ছে, তাতে বিশ্বের এক নম্বর লিগ হতে বেশি দেরি নেই আইপিএলের।
এক সংবাদমাধ্যমে দেওয়া সাক্ষাৎকারে ললিত বলেন, ‘‘আইপিএলের দর্শকদের জন্য এই লিগের জনপ্রিয়তা এতটা বেড়েছে। আমি ২০০৮ সালে বলেছিলাম, পরের বার আইপিএলের মিডিয়া স্বত্ব দ্বিগুণ হবে। গত বারের থেকে এ বার ৯৮ শতাংশ বেশি টাকা পেয়েছে বোর্ড। আমি বলছি, পরের বারও এই টাকার অঙ্ক দ্বিগুণ হবে।’’
আগামী কয়েক বছরের মধ্যে আইপিএল বিশ্বের এক নম্বর লিগ হয়ে উঠবে বলে দাবি ললিতের। তিনি বলেন, ‘‘আইপিএল বিশ্বের সেরা লিগ হবে। কারণ, ওটিটি মাধ্যমে এই প্রতিযোগিতা দেখানো হচ্ছে। ফলে যে কোনও জায়গায় বসে খেলা দেখা যাচ্ছে। ধীরে ধীরে টেলিভিশনকে ছাপিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল মাধ্যম। কিছু দিনের মধ্যেই টেলিভিশনের থেকে ওটিটি মাধ্যমে দর্শকের সংখ্যা বেশি হবে। ফলে ওটিটি মাধ্যম থেকে লাভও বেশি থাকবে। আমার মনে হয়, পরের বার টেলিভিশন স্বত্বের তুলনায় ডিজিটাল স্বত্ব তিন-চার গুণ বাড়তে পারে।’’
আইপিএলকে শুধু প্রতিযোগিতা নয়, বিনোদনের মাধ্যম বলেও উল্লেখ করেছেন ললিত। দর্শকরা খেলা দেখে বিনোদন পাচ্ছেন। তাই দর্শকের সংখ্যা এত বাড়ছে বলে জানিয়েছেন তিনি। ললিত বলেন, ‘‘এখন হয়তো বিশ্বে আইপিএলের দর্শক সব থেকে বেশি। আমি আগেই বলেছিলাম, আইপিএল এক সময় বিনোদনের সেরা মাধ্যম হবে। তখন সবাই হেসেছিল। আমি যে ঠিক ছিলাম, সেটা এখন প্রমাণিত। প্রতি দিন নতুন নতুন দর্শক আসছে। তারা বেশির ভাগই তরুণ। টেলিভিশনের তুলনায় ওটিটি মাধ্যমে খেলা দেখছে তারা। তাই ডিজিটাল মাধ্যমের জনপ্রিয়তা আরও বাড়ছে।’’
তবে এর মধ্যেও বিসিসিআইকে কটাক্ষ করেছেন ললিত। তাঁর অভিযোগ, আইপিএল থেকে বিসিসিআইয়ের ঘরে যে টাকা ঢুকছে সেখান থেকে একটা অংশ ক্রিকেট স্টেডিয়ামের উন্নতির জন্য খরচ করা উচিত। কিন্তু সেটা করছে না সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়, জয় শাহদের বোর্ড। ললিত বলেন, ‘‘আইপিএল থেকে মোট ১ লক্ষ কোটি টাকা পেয়েছে বিসিসিআই। তার মধ্যে গত আট বছরে এসেছে ৫৮ হাজার কোটি টাকা। সেই টাকার ৫০ শতাংশ বোর্ডের কাছে থাকে। বাকি ৫০ শতাংশ ফ্র্যাঞ্চাইজিগুলোর মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হয়। লাভের টাকা থেকে একটা অংশ স্টেডিয়ামগুলোর উন্নতিতে কাজে লাগাতে হবে। অনেক স্টেডিয়াম ভেঙে নতুন করে তৈরি করতে হবে। দর্শকাসন, শৌচাগার, খাবার বন্দোবস্ত, গাড়ি রাখার জায়গা ভাল করতে হবে। তবেই আরও বেশি দর্শক আসবে। কিন্তু সেটা হচ্ছে না।’’
২০০৮ সালে আইপিএল শুরু হওয়ার সময় প্রতিযোগিতার প্রথম চেয়ারম্যান ও কমিশনার ছিলেন ললিত। ২০১০ সাল পর্যন্ত এই পদে থেকেছেন তিনি। ২০০৫ থেকে ২০১০ সাল পর্যন্ত বিসিসিআইয়ের সহ-সভাপতিও ছিলেন তিনি। ২০১০ সালে তাঁর বিরুদ্ধে আয়কর দুর্নীতি ও আর্থিক দুর্নীতির অভিযোগ ওঠে। তাঁকে বরখাস্ত করে বিসিসিআই। ২০১৩ সালে তাঁকে ক্রিকেট প্রশাসন থেকে নিষিদ্ধ করা হয়। ২০১০ সালে ভারত ছেড়ে লন্ডনে চলে যান ললিত। তার পর থেকে তিনি সেখানেই রয়েছেন।
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy