অশোক ডিন্ডা বড় দায়িত্ব দিতে চাইছে বাংলার ক্রিকেট সংস্থা। —ফাইল চিত্র
নিজের ক্রিকেট কেরিয়ারের শেষ পথে বাংলা ছেড়ে গোয়া চলে গিয়েছিলেন অশোক ডিন্ডা। দীর্ঘ দিন বাংলার বোলিং আক্রমণকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তিনি। মহম্মদ শামি এবং ডিন্ডার জুটি ত্রাস হয়ে উঠেছিল ঘরোয়া ক্রিকেটে। ভারতের জার্সিও পরেছেন ডিন্ডা। সেই অভিজ্ঞ পেসারকে বড় দায়িত্ব দিতে চাইছে বাংলার ক্রিকেট সংস্থা। ক্রিকেটার তুলে আনার জন্য ‘ভিসন ২০২০’ নামে যে প্রকল্প শুরু হয়েছে বাংলাতে, তার বোলিং কোচ হতে পারেন ডিন্ডা।
বাংলার কোচ এখন লক্ষ্মীরতন শুক্ল। অধিনায়ক মনোজ তিওয়ারি। তাঁদের সঙ্গে ডিন্ডাকেও নিয়ে আসতে চাইছে সিএবি। এক সময়ের তিন সতীর্থকে আবার একসঙ্গে দেখা যেতে পারে। রাজনৈতিক দল তাঁদের আলাদা। লক্ষ্মী এক সময় তৃণমূলের বিধায়ক ছিলেন। মনোজ এখন রাজ্যের ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী। ডিন্ডা বিজেপির বিধায়ক। কিন্তু মাঠে নামলে তাঁরা একসঙ্গেই বাংলার ভালর জন্য লড়াই করবেন বলে মনে করছে সিএবি।
মনোজ এ বারের রঞ্জি জিতে ক্রিকেট ছাড়ার কথা বলেছিলেন। কিন্তু বাংলা ফাইনালে হেরে যাওয়ার পর যদিও অবসরের কথা বলেননি মনোজ। আরও এক মরসুম খেলার চেষ্টা করতে পারেন তিনি। রাজনৈতিক এবং ক্রিকেট মাঠের দায়িত্ব একসঙ্গে পালন করছেন মনোজ। ডিন্ডা যদি সিএবি-র প্রস্তাবে রাজি হন তা হলে তাঁকেও দু’টি দায়িত্ব একসঙ্গে পালন করতে হবে। রঞ্জি ফাইনাল দেখতে এসেছিলেন ডিন্ডা। ক্রিকেট মাঠে ফেরার সুযোগ পেলে তিনি পুরো সময় দেওয়ার জন্য তৈরি বলেই জানা গিয়েছে।
ভারতের হয়ে ১৩টি এক দিনের ম্যাচ এবং ন’টি টি-টোয়েন্টি খেলেছেন ডিন্ডা। নিয়েছেন ২৯টি উইকেট। তিন বছরের সংক্ষিপ্ত আন্তর্জাতিক কেরিয়ার ডিন্ডার। আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, রাইজিং পুনে সুপারজায়ান্টসের হয়ে খেলেছিলেন ডিন্ডা। প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে ১১৬ ম্যাচে ৪২০টি উইকেট রয়েছে তাঁর। বাংলার হয়ে ১৪ বছর খেলেন এই পেসার। তরুণ ক্রিকেটারদের সঙ্গে নিজের অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে পারবেন ডিন্ডা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy