ভারতের একের পর এক পিচ নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। আর তাতে সমস্যায় পড়ছেন রোহিত শর্মারা। —ফাইল চিত্র
ভারতের একের পর এক পিচ নিয়ে বিতর্ক চলছে। নাগপুর, দিল্লির পরে এ বার লখনউ। এই মাঠেই ভারত-নিউ জ়িল্যান্ড দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ হয়েছিল। খেলা শেষে পিচ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন ভারত অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য নিজেই। সেই পিচ নিয়ে এ বার নিজেদের মত জানাল আইসিসি।
ক্রিকেটের সর্বোচ্চ নিয়ামক সংস্থা জানিয়েছে, লখনউয়ের পিচ ‘অ্যাভারেজ’, অর্থাৎ ‘মোটামুটি।’ তার মানে খুব ভাল নয়, আবার খেলার অযোগ্যও নয়। আইসিসির এই সিদ্ধান্তের পরেও চলছে বিতর্ক। আসলে ম্যাচ রেফারির রিপোর্টের উপর নির্ভর করে সিদ্ধান্ত নেয় আইসিসি। সেই ম্যাচের রেফারি ছিলেন জাভাগল শ্রীনাথ। তবে কি তিনি এ যাত্রায় বাঁচিয়ে দিয়েছেন ভারতীয় ক্রিকেটকে? কারণ, পিচ খুব খারাপ হলে তার নেতিবাচক ফল পড়তে পারত। সেটা হয়নি।
লখনউয়ে প্রথমে ব্যাট করে ৮ উইকেটে ৯৯ রান করেছিল নিউ জ়িল্যান্ড। ১ বল বাকি থাকতে কোনও রকমে ম্যাচ জেতে ভারত। ৪০ ওভারের মধ্যে ৩০ ওভার বল করেন স্পিনাররা। গোটা ম্যাচে একটিও ছক্কা হয়নি। খেলা শেষে ভারত অধিনায়ক হার্দিক পিচ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
সিরিজ়ের প্রথম টি-টোয়েন্টি হয়েছিল রাঁচীতে। সেই পিচকেও ‘অ্যাভারেজ’ উল্লেখ করেছে আইসিসি। সেই ম্যাচ জিতেছিল নিউ জ়িল্যান্ড। পিচ নিয়ে দু’দল তেমন ক্ষোভও জানায়নি। কিন্তু সেই পিচ ও লখনউয়ের পিচকে এক সারিতে রেখেছে আইসিসি।
এর আগে ভারত-অস্ট্রেলিয়া প্রথম ও দ্বিতীয় টেস্টের পিচ নিয়েও নিজেদের মতামত জানিয়েছে আইসিসি। দু’টি পিচকেই ‘অ্যাভারেজ’ বলেছে তারা। অর্থাৎ, সাম্প্রতিক সময়ে ভারতের একের পর এক পিচ ‘অ্যাভারেজ’ তকমা পাচ্ছে। এতে কিন্তু সমস্যা বাড়ছে ভারতীয় ক্রিকেটের। কারণ, ক্রমাগত এ ভাবে পিচ খারাপ হতে থাকলে পয়েন্ট কাটা যেতে পারে রোহিত শর্মাদের। খেসারত দিতে হতে পারে দলকে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy