অপেক্ষা: অশ্বিনকে কি দেখা যাবে ভারতের প্রথম একাদশে? ফাইল চিত্র।
রবিবার নিউজ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে কার্যত মরণ-বাঁচন ম্যাচ। তার আগে যাবতীয় চর্চা বিরাট কোহালিদের প্রথম একাদশ নির্বাচন নিয়ে। ভারতীয় দল এ দিন ক্রিকেট থেকে ছুটি নিয়ে বিচ ভলিবল খেলে সময় কাটিয়েছে। নতুন খেলা বেশ উপভোগই করলেন ক্রিকেটারেরা।
তার মধ্যেও থামছে না প্রথম একাদশ নিয়ে কৌতূহল। হার্দিক পাণ্ড্যকে খেলানো হবে কি হবে না? অশ্বিন খেলবেন নাকি বিস্ময় স্পিনার সিভি বরুণ? ছন্দে না থাকা ভুবনেশ্বর কুমারকে নিয়ে কী করা হবে? ঈশান কিশানকে কি খেলানো হবে?
অন্য দেশের প্রাক্তনরাও এই আলোচনায় জড়িয়ে পড়েছেন। মুথাইয়া মুরলীধরন যেমন বলছেন, ভারতকে সঠিক প্রথম একাদশ বাছতেই হবে। তাঁর মতে, ভারতীয় বোলিং বড্ড বেশি যশপ্রীত বুমরা-নির্ভর। এক জনের উপরে এই নির্ভরতা থেকে বেরোতে হবে।
শ্রীলঙ্কার স্পিন কিংবদন্তি আইসিসি ওয়েবসাইটে কলামে লিখেছেন, ‘‘বুমরা দুর্দান্ত ম্যাচউইনার। কিন্তু ভারতীয় বোলিং খুব বেশি করে ওর উপরে নির্ভর করে থাকছে।’’ পাকিস্তানের বিরুদ্ধে প্রথম ম্যাচে তিন পেসার, বরুণ ও রবীন্দ্র জাডেজাকে নিয়ে নেমেছিলেন কোহালিরা। ষষ্ঠ বোলার ছিল না কারণ হার্দিক পাণ্ড্য বল করতে পারছিলেন না।
মুরলী মনে করেন, বোলিং বিভাগে পরিবর্তন আনা দরকার ভারতের। তাঁর পরামর্শ, ‘‘দলে এক জন লেগস্পিনার আনা যেতে পারে। অথবা অশ্বিনকে খেলানো যেতে পারে। দুই পেসারে খেলে হার্দিকের কাছ থেকে কয়েকটা ওভার আশা করতে পারে ভারত। যে করেই হোক ঠিক ভারসাম্যটা পেতে হবে। একা বুমরার উপরে নির্ভর করে থাকলে চলবে না।’’
অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন ফাস্ট বোলার ব্রেট লি-ও মনে করছেন, অশ্বিনকে খেলানোর কথা ভাবা যেতে পারে। ‘‘অশ্বিন খুবই ভাল ক্রিকেটার। অনেক রকম ভাবেই অবদান রাখতে পারে ও। আমি ওর বড় ভক্ত এবং মনে করি, প্রত্যেকটা ম্যাচেই ওকে খেলানো যায়। ভারতীয় টিম ম্যানেজমেন্ট অশ্বিনকে খেলাচ্ছে না। সেটা ওদের সিদ্ধান্ত।’’ নিউজ়িল্যান্ড পেস বোলিং নিয়েও সাবধান করে দিচ্ছেন লি, ‘‘ওরা কিন্তু বল সুইং করাতে পারে এবং শুরুতে দু’তিনটে উইকেট তুলে আঘাত হানতে পারে।’’
৮০০ টেস্ট এবং ৫৩৪ ওয়ান ডে উইকেটের মালিকের মতে, পাকিস্তান এখন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জেতার ব্যাপারে এক নম্বর ফেভারিট। তাঁর কথায়, ‘‘পাকিস্তান দু’টো শক্তিশালী দলকে হারিয়ে দিয়েছে। ওদের দলে প্রচুর প্রতিভা রয়েছে। সব সময়ই সেটা ছিল। কিন্তু ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো অনেক সময় নিজেরা খারাপ খেলায় ওরা সফল হয়নি। এই দলটাকে দেখে অন্য রকম মনে হচ্ছে।’’ যোগ করেছেন, ‘‘পাকিস্তানের ব্যাটিংয়ে প্রধান স্তম্ভ বাবর আজ়ম, যে এথন বিশ্বমানের ব্যাটার। শোয়েব মালিক আর মহম্মদ হাফিজ়ের মতো অভিজ্ঞরা রয়েছে। তার সঙ্গে আছে দারুণ কিছু তরুণ ক্রিকেটার। পাকিস্তানের ফিল্ডিং খুব ভাল ছিল না, সেটাও এখন অনেক পাল্টে গিয়েছে।’’
মুরলী মনে করেন, ব্যাটিং কোচ হিসেবে ম্যাথু হেডেনের যোগদান বাবরদের খুবই উপকারে এসেছে। ‘‘হেডেনের ক্রিকেটীয় বুদ্ধি অসাধারণ। পাকিস্তান দারুণ এক পরামর্শদাতাকে পেয়েছে,’’ লিখেছেন মুরলী, ‘‘হ্যারিস রউফ আর শাহিন শাহ আফ্রিদির গতির জন্যও পাকিস্তানকে বিপজ্জনক দেখাচ্ছে। ওরা ঘণ্টায় ১৪০ কিলোমিটার উপরের গতিতে বল করে, নিখুঁত ইয়র্কার করতে পারে, হাতে ভাল স্লোয়ার বলও রয়েছে।’’
আফগানিস্তানের স্পিন জুটি রশিদ খান এবং মুজিব-উর-রহমানকে দেখেও মুগ্ধ মুরলী। ‘‘আফগানিস্তানের দুই স্পিনারই এখনও পর্যন্ত প্রতিযোগিতার সেরা বোলার। হতে পারে ওরা স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে খেলছিল। কিন্তু যে ভাবে ব্যাটারদের বিভ্রান্ত করছিল, অসাধারণ!’’
আফগানিস্তান দলটাকে দেখে তাঁদের ১৯৯৬ বিশ্বকাপজয়ী শ্রীলঙ্কাকে মনে পড়ে যাচ্ছে মুরলীর। তাঁর বিশ্লেষণ, ‘‘আমাদের ১৯৯৬ দলে খুব ভাল ব্যাটার ছিল। আর ছিল ভাল তরুণ বোলার। পরিবেশ আমাদের সাহায্য করছিল। ঘরের মাঠে আমরা খুব শক্তিশালী ছিলাম। আমাদের দলে প্রতিভা ছিল, বিশ্বকাপ জয় কোনও অঘটন ছিল না।’’ যোগ করছেন, ‘‘একই কথা এই আফগানিস্তানকে নিয়েও বলা যেতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy