ভারতীয় দলের দুই ক্রিকেটার শুভমন গিল এবং অভিষেক শর্মাকে নিয়ে গর্বিত হরভজন সিংহ। তাঁর নেতৃত্বেই পঞ্জাবের হয়ে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে অভিষেক হয়েছিল তাঁদের। ভারতীয় দলের দুই টপ অর্ডার ব্যাটারকে তাঁদের ছোটবেলা থেকে দেখছেন তিনি। দু’জনের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত ভারতের প্রাক্তন অফস্পিনার।
ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজ়ে সূর্যকুমার যাদবদের দাপট দেখে খুশি হরভজন। তাঁর মতে ২০২৬ সালের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতের দল তৈরি। নিজের ইউটিউব চ্যানেলে তিনি বলেছেন, ‘‘আগে এবং পরে ব্যাট করে ইংল্যান্ডকে হারিয়ে ভারত। উভয় ক্ষেত্রেই দাপট নিয়ে জিতেছে। পরের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য ভারতের দল তৈরি। আমাদের এমন সব ক্রিকেটার রয়েছে, যারা প্রতিপক্ষকে তছনছ করে দিতে পারে। যেমন অভিষেক শর্মা এবং শুভমন গিল। অধিনায়ক থাকার সময় আমি ওদের দু’জনকে রঞ্জি ট্রফির দলে নেওয়ার কথা বলেছিলাম। ওদের সাফল্য দেখলে খুব ভাল লাগে।’’
অভিষেককে শুধু ব্যাটার হিসাবে দেখতে নারাজ হরভজন। তাঁর বক্তব্য, পঞ্জাবের তরুণের অলরাউন্ড দক্ষতা কাজে লাগানো উচিত ভারতীয় দলের। ভাজ্জি বলেছেন, ‘‘আমি চাই অভিষেক নিয়মিত বল করুক। নেটে প্রথম দিন দেখেই বুঝেছিলাম, বোলার হিসাবেও বেশ ভাল অভিষেক। ওর সিম পজিশন দারুণ। সমস্যা হল, ব্যাটিংয়ের জন্য যতটা পরিশ্রম করে, তার প্রায় কিছুই করে না বোলিং নিয়ে। ওকে সব সময় বলতাম, চেষ্টা করলে বোলার হিসাবেও অনেক উন্নতি করতে পারবে। ভাল বাঁহাতি স্পিনারের যা যা গুণ থাকা দরকার, ওর মধ্যে সব রয়েছে। এই জায়গায় আসার পিছনে ওর বাবার অবদান কম নয়। অভিষেক নিজের পরিবারকে গর্বিত করেছে। ৩৭ বলে ১০০ রান করা কখনও সহজ নয়।’’
হরভজন অভিষেকের ভয়ডরহীন ক্রিকেটেরও প্রশংসা করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘‘যে কোনও ধরনের ক্রিকেটেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে পারে অভিষেক। ওর উন্নতি দেখে সত্যিই ভাল লাগছে। শুভমনের কথাও বলব। পঞ্জাবের দুই তরুণকে নিয়ে খুব গর্ব হয় আমার। তবে ছোটবেলায় আমার সঙ্গে ওরা কিন্তু খুব একটা রসিকতা করত না। জানি না কেন আমাকে বেশ ভয় পেত দু’জনেই। এক সঙ্গে থাকলে মজা করত। কিন্তু আমাকে দেখলেই চুপ করে যেত। হয়তো সমীহ করত। অধিনায়ক হিসাবে চাইতাম, ওরা চাপহীন থাকুক। তাই সরে যেতাম।’’
আরও পড়ুন:
অভিষেক, শুভমন ছাড়া ভারতীয় দলের আরও এক তরুণ ব্যাটারকে নিয়ে আগ্রহী হরভজন। তিনি হলেন যশস্বী জয়সওয়াল। ভাজ্জি বলেছেন, ‘‘সাদা বলের ক্রিকেটে অভিষেক, শুভমন এবং যশস্বী উপরের দিকে ব্যাট করে। তিন জনই দুর্দান্ত। ওদের দিকে সব সময় আমার নজর থাকে। হয়তো ছ’মাসের মধ্যে ওদের তিন জনকে এক সঙ্গে খেলতে দেখব আমরা।’’