চাপের মুখে অনবদ্য ব্যাটিং করলেন রুট। ছবি: টুইটার।
চতুর্থ ইনিংসে ইংল্যান্ডের সামনে জয়ের জন্য ৩৭৮ রানের লক্ষ্য রেখেও কিছুটা চাপে ভারত। জনি বেয়ারস্টো, জো রুটদের ইনিংসের উপর ভর করে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিল আয়োজকরা। টেস্টে শেষ দিন মঙ্গলবার ইংল্যান্ডের জয়ের জন্য দরকার ১১৯ রান। ভারতকে নিতে হবে ৭টি উইকেট। চতুর্থ দিনের শেষে ইংল্যান্ডের স্কোর ২৫৯-৩।
সোমবার ভারতের দ্বিতীয় ইনিংস শেষ হয় ২৪৫ রানে। আগের দিনের দুই অপরাজিত ব্যাটার চেতেশ্বর পুজারা এবং ঋষভ পন্থ সকালে ভালই শুরু করেছিলেন। কিন্তু তাঁরা আউট হওয়ার পর আর তেমন বড় জুটি তৈরি করতে পারেনি ভারত। পুজারা ৬৬ রান করে স্টুয়ার্ট ব্রডের বলে আউট হন। পন্থকে ব্যক্তিগত ৫৭ রান সাজঘরে ফেরান জ্যাক লিচ।
তাঁদের পর শ্রেয়স আয়ার, রবীন্দ্র জাডেজারা কেউই বড় রান পেলেন না। ফলে তৈরি হল না বড় জুটিও। শ্রেয়স (১৯) আউট হলেন ম্যাথু পটসের বলে। প্রথম ইনিংসে অনবদ্য শতরান করা জাডেজা ২৩ রান করে আউট হলেন বেন স্টোকসের বলে। জাডেজা প্রথম ইনিংসের মতোই উইকেটের এক দিক আগলে রাখার চেষ্টা করলেও বিশেষ লাভ হয়নি। ভারত মাত্র ৪৭ রানে শেষ ৫ উইকেট হারায়।
চতুর্থ ইনিংসে ৩৭৮ রানের লক্ষ্য আপাত ভাবে কঠিন মনে হলেও, উইকেট বাঁচিয়ে ইনিংস গড়লেন ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। চা বিরতির পর দ্রুত ৩ উইকেট হারিয়ে আয়োজকরা সাময়িক চাপে পড়ে যায় কিন্তু ভারতীয় দল সেই সুযোগ কাজে লাগাতে পারল না। বেয়ারস্টো এবং রুটের দায়িত্বশীল জুটি লড়াইয়ে ফিরিয়ে আনে ইংল্যান্ডকে। অধিনায়ক যশপ্রীত বুমরা এবং মহম্মদ শামি ছাড়া ভারতের কোনও বোলারই দ্বিতীয় ইনিংসে ইংরেজ ব্যাটারদের তেমন বিব্রত করতে পারলেন না।
আত্মবিশ্বাসের সঙ্গেই ইংল্যান্ডের ইনিংস শুরু করেন দুই ওপেনার অ্যালেক্স লিস এবং জ্যাক ক্রলি। প্রথম উইকেটের জুটিতে তাঁরা তুললেন ১০৭ রান। তাঁরাই ভারতকে কার্যত ব্যাকফুটে ঠেলে দেন। যদিও পর পর ৩ উইকেট হারিয়ে কিছুটা চাপে পড়ে যায় ইংল্যান্ড। বিনা উইকেটে ১০৭ রান থেকে ৩ উইকেটে ১০৯ রান হওয়ার পরেও ইংল্যান্ডকে লড়াইয়ে ফেরাল বেয়ারস্টো-রুটের জুটি। তাঁদের অবিচ্ছিন্ন জুটিতে উঠল ১৫০ রান। দিনের শেষে বেয়ারস্টো ৭২ রানে এবং রুট ৭৬ রানে অপরাজিত থাকলেন।
এজবাস্টন টেস্টে জয়ের জন্য শেষ দিন বুমরাদের ৭ উইকেট নিতে হবে ইংল্যান্ডের। স্টোকসরা আর ১১৯ রান করলেই পঞ্চম টেস্ট জিতে সিরিজে সমতা ফেরাবেন। খেলার যা পরিস্থিতি তাতে অনেকটাই সুবিধাজনক জায়গায় আয়োজকরা। শেষ দিন কার্যত হার বাঁচানোর লড়াই ভারতের সামনে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy