ইংল্যান্ড ক্রিকেট দল। ছবি: পিটিআই।
উৎসবের মাঝেই ভারতের বিভিন্ন শহরে চলছে বিশ্বকাপের ম্যাচ। দিল্লি এবং মুম্বইয়ে বায়ুদূষণের কারণে ইতিমধ্যেই আতশবাজির প্রদর্শন বন্ধ করেছে বিসিসিআই। এর মধ্যেই জানা গেল, দূষণ থেকে নিজেদের বাঁচাতে ‘ইনহেলার’ ব্যবহার করছেন ইংল্যান্ডের ক্রিকেটারেরা। একটি ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমে এই খবর প্রকাশ করা হয়েছে।
সাধারণত ‘অ্যাজ়মা’ রোগীদের চিকিৎসার কারণে ইনহেলার ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। কিন্তু ভারতের দূষণ থেকে বাঁচতে ক্রিকেটারেরাও এর সাহায্য নিচ্ছেন। ইংল্যান্ড-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগে ইনহেলার নিতে দেখা গিয়েছিল স্টোকসকে। দলের আরও অনেক ক্রিকেটার তা ব্যবহার করেছেন বলে খবর। দিল্লির দূষণের মাত্রা এখনও ৪০০ ছাড়িয়েছে, যা গুরুতর। তবে এখন ইংল্যান্ড রয়েছে আমদাবাদে। সেখানে দূষণের মাত্রা কম বলে ইনহেলার নিতে হচ্ছে না।
মুম্বইয়ে দক্ষিণ আফ্রিকার কাছে হারের পর দূষণ নিয়ে প্রশ্ন করা হয়েছিল জো রুটকে। তিনি জানান, দলের হারের পিছনে সেটি কোনও ভাবেই দায়ী নয়। রুট বলেন, “মাঝেমাঝে একটু শ্বাস নিতে কষ্ট হচ্ছিল। সেটা বায়ুদূষণের কারণে কি না বোঝা সম্ভব নয়। তবে দিনটা ধোঁয়াটে ছিল। মাঠের একধারে দাঁড়িয়ে সূর্যের দিকে তাকালে সেটা বোঝাও যাচ্ছিল।”
মুম্বইয়ে ভারত-শ্রীলঙ্কা ম্যাচের আগের দিন দূষণ নিয়ে কথা বলেন রোহিতও। ভারত অধিনায়কের কথায়, “এই পরিস্থিতি মোটেও ভাল নয়। আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্ম, আমার-আপনার সন্তানদের জন্য কী রেখে যাচ্ছি আমরা? ওরা যেন কোনও ভাবে আতঙ্কে না বাঁচে। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচাতে হবে আমাদের।’’ তবে সেই সঙ্গে রোহিত আশাবাদী যে সমস্যার দ্রুত সমাধান হবে। তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি নিশ্চিত যে অনেকেই এই পরিস্থিতি নিয়ে চিন্তা করছেন। কী ভাবে সমস্যার সমাধান করতে হবে সেই চেষ্টা করছেন তাঁরা। আশা করি, দ্রুত আগের পরিস্থিতি দেখতে পাব।’’
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের সচিব জয় শাহ নিজে আইসিসির সঙ্গে কথা বলেছেন। তিনি বলেন, ‘‘মুম্বই ও দিল্লির পরিবেশ নিয়ে বিসিসিআই চিন্তিত। আমি বোর্ডের তরফ থেকে এই বিষয়টা আইসিসিকে জানাই। ওরা সিদ্ধান্ত নিয়েছে এই দুই মাঠে খেলার সময় আতশবাজির প্রদর্শনী হবে না। পরিবেশে দূষণ যাতে আর না বাড়ে তার জন্য এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy