ইংল্যান্ডের জয় এল স্টোকসের (মাঝে) ব্যাটে ভর করে। ছবি: আইসিসি।
পায়ে গুরুতর চোট। বল করতে পারছেন না বিশ্বকাপে। দেশে ফিরেই পায়ের অস্ত্রোপচার করাতে হবে বেন স্টোকসকে। তা সামলেই বিশ্বকাপে শতরান করলেন ইংল্যান্ডের টেস্ট অধিনায়ক। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে স্টোকসের শতরান এমন সময় এল, যার আগেই বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে গিয়েছে ইংল্যান্ড। পাঁচ ম্যাচ পর জয়ের মুখ দেখল ইংল্যান্ড।
স্টোকসের ৮৪ বলে ১০৮ রানের ইনিংসের সুবাদে প্রথমে ব্যাট করে ইংল্যান্ড করে ৯ উইকেটে ৩৩৯ রান। জবাবে ৩৭.২ ওভারে নেদারল্যান্ডসের ইনিংস শেষ হল ১৭৯ রানে। বিশ্বকাপের দ্বিতীয় জয় পেলেন জস বাটলারেরা। বুধবারের ১৬০ রানে জয়ের ফলে ২০২৫ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে গত বারের বিশ্বজয়ীদের খেলার সম্ভাবনা কিছুটা বৃদ্ধি পেল।
টস জিতে প্রথম ব্যাট করার সিদ্ধান্ত নেন বাটলার। তুলনায় দুর্বল নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করলেন ইংরেজরা। জনি বেয়ারস্টো (১৫) রান না পেলেও অন্য ওপেনার দাউইদ মালান করলেন ৭৪ বলে ৮৭ রান। তাঁর ব্যাট থেকে এল ১০টি চার এবং ২টি ছয়। তবে তিন নম্বরে নেমে রান পেলেন না জো রুট (২৮)। নিজের দোষেই আউট হলেন তিনি। এর পর ইংল্যান্ডের ইনিংসের হাল ধরেন স্টোকস। টেস্ট অধিনায়কের ইনিংসের সুবাদেই বেশ কিছু দিন পর ইংল্যান্ডকে কিছুটা চেনা রূপে দেখা গেল। দলকে পৌঁছে দিলেন ভাল জায়গায়। তাঁর ৮৪ বলের ইনিংসে রয়েছে ৬টি চার এবং ৬টি ছক্কা। চোটের জন্য বিশ্বকাপের প্রথম কয়েকটা ম্যাচ খেলতে পারেননি স্টোকস। তাঁকে ইনহেলার নিতেও দেখা গিয়েছে। তবু বাটলারের দলের বড় ভরসা অর্ধেক ফিট স্টোকস। তাঁর পর অবশ্য আবার ইংল্যান্ডের আর কোনও ব্যাটার রান পেলেন না। নেদারল্যান্ডসের বিরুদ্ধেও ইংল্যান্ড ব্যাটিং লাইন আপের দুর্দশা ঢাকা গেল না। শেষ দিকে ক্রিস ওকসের ৪৫ বলে ৫১ রানের ইনিংস গত বারের চ্যাম্পিয়নদের ইনিংসকে ভাল জায়গায় পৌঁছে দেয়। নেদারল্যান্ডসের সফলতম বোলার বাস ডি লিড ৭৪ রানে ৩ উইকেট নিলেন। ৬৭ রান দিয়ে ২ উইকেট আরিয়ান দত্তের। ৮৮ রানে ২ উইকেট লোগান ভ্যান বিকের।
জবাবে ব্যাট করতে নেমে কোনও সময়ই দানা বাঁধেনি নেদারল্যান্ডসের ইনিংস। পুণেের ২২ গজে প্রয়োজনীয় জুটি তৈরি করতে পারেননি স্টক এডওয়ার্ডেরা। ওপেনার ওয়েসলি বারেসি করেন ৬২ বলে ৩৭ রান। ৩টি চার এবং ১টি ছয়ের সাহায্যে তাঁর এই প্রচেষ্টা নেদারল্যান্ডসের ইনিংসকে প্রয়োজনীয় গতি দিতে পারেনি। উইকেটের অন্য প্রান্তে স্থায়ী সঙ্গীর অভাবে ভুগতে হয়েছে তাঁকে। নেদারল্যান্ডসের পক্ষে বলার মতো রান পেয়েছেন সিব্র্যান্ড এঙ্গেলব্রেখট (৩৩), এডওয়ার্ডস (৩৮) এবং তেজা নিদামানুরু (অপরাজিত ৪১)। কিন্তু কারও ইনিংসই নেদারল্যান্ডসের জয়ের সম্ভাবনা তৈরি করত পারেননি। ৩৪০ রান তাড়া করার মতো জুটি তৈরি করতে পারেননি তাঁরা। রান তোলার গতিও ছিল প্রয়োজনের তুলনায় অনেক কম।
ইংল্যান্ডের বোলারদের মধ্যে সফলতম মঈন আলি ৪২ রানে ৩ উইকেট নিয়েছেন। ৫৪ রানে ৩ উইকেট আদিল রশিদের। মূলত ইংল্যান্ডের দুই স্পিনারের সামনে সব সময়ই অস্বস্তিতে ছিলেন নেদারল্যান্ডসের ব্যাটারেরা। ১৯ রানে ২ উইকেট নেন ডেভিড উইলি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy