ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে সুযোগ পেয়েছেন অ্যালেক্স হেলস। —ফাইল চিত্র
জাতীয় দলের হয়ে আর কোনও দিন সুযোগ পাবেন ভাবেননি। তাই বান্ধবীর সঙ্গে ছুটি কাটানোর পরিকল্পনা করেছিলেন অ্যালেক্স হেলস। কিন্তু হঠাৎই তিনি জানতে পারেন, পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজে ইংল্যান্ডের দলে সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তড়িঘড়ি সব ছেড়ে পাকিস্তানগামী বিমানে ওঠেন হেলস। শুধু পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজে নয়, অস্ট্রেলিয়ায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলেও সুযোগ পেয়েছেন তিনি। তিন বছর পরে আবার জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে নিজেই অবাক আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্সের হয়ে খেলা ক্রিকেটার।
করাচিতে বসে সংবাদমাধ্যমে হেলস বলেন, ‘‘বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ডের ম্যানেজিং ডিরেক্টরকে ফোন করেছিলাম। জানতে চেয়েছিলাম, আমার কি দলে সুযোগ পাওয়ার কোনও সম্ভাবনা আছে। কারণ, গত তিন বছরে আমি খুব ভাল ক্রিকেট খেলেছি। তার পরেও সুযোগ পাচ্ছিলাম না। তাই ভেবেছিলাম, এক বার শেষ চেষ্টা করে দেখি। তাই ফোন করেছিলাম।’’
সেই ফোনের কয়েক দিন পরেই হেলস জানতে পারেন আবার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন তিনি। পাকিস্তানে সিরিজ খেলে সেখান থেকেই সরাসরি চলে যাবেন অস্ট্রেলিয়া। নিজের উপর তাঁর আস্থা ছিল বলে জানিয়েছেন হেলস। তিনি বলেন, ‘‘আমি জানতাম, অস্ট্রেলিয়ার উইকেটে আমি খেলার যোগ্য। বিগ ব্যাশে অনেক রান করেছি। নিজের যোগ্যতায় আবার জাতীয় দলে ফিরেছি। এখান থেকে আর পিছনে ফিরে তাকাব না। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের হয়ে ভাল খেলার চেষ্টা করব।’’
অইন মর্গ্যান ইংল্যান্ডের অধিনায়ক হওয়ার পরে তাঁর সঙ্গে হেলসের সম্পর্ক ভাল ছিল না। ২০১৯ সালের এক দিনের বিশ্বকাপের দলে জায়গা পাওয়ার পরে প্রতিযোগিতার ঠিক আগে দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। সেই বিষয়ে অবশ্য কোনও অভিযোগ নেই হেলসের। উল্টে নিজেকেই দায়ী করেছেন তিনি। হেলস বলেন, ‘‘আমি কাউকে দোষ দেব না। আমার নিজের ভুলের খেসারত দিতে হয়েছিল। যে দল বিশ্বকাপ জিতেছিল সেই দল থেকে বাদ পড়া খুব কষ্টের। ভেবেছিলাম, আর কোনও দিন হয়তো সুযোগ পাব না। কিন্তু পেরেছি। সুযোগ কাজে লাগাতে চাই।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy