হুমকি দিয়েছিল আইসিস কাশ্মীর। তদন্ত করতে গিয়ে উঠে এল গুজরাতের এক ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়ার নাম। পহেলগাঁও কাণ্ডের প্রতিবাদ করায় খুনের হুমকি দেওয়া হয়েছিল গৌতম গম্ভীরকে। সেই ঘটনায় ওই ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়াকে আটক করেছে পুলিশ। নেপথ্যে জঙ্গি যোগ রয়েছে কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
গুজরাতের বাসিন্দা জিগ্নেশ পারমারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট পুলিশ। তাঁর কথায় অসঙ্গতি ধরা পড়ায় তাঁকে আটক করা হয়েছে। সেন্ট্রাল ডিস্ট্রিক্ট পুলিশের ডেপুটি কমিশনার এম হর্ষবর্ধন বলেন, “তদন্ত করতে গিয়ে জিগ্নেশের নাম উঠে আসে। উনি ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া। আপাতত ওঁকে আটক করা হয়েছে। জিগ্নেশের পরিবার জানিয়েছে, ওঁর মানসিক সমস্যা রয়েছে। তদন্ত এখনও চলছে।” এই ঘটনার নেপথ্যে জঙ্গি যোগ রয়েছে কি না, তা জিগ্নেশকে জেরা করে খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
২২ এপ্রিল পহেলগাঁওয়ে জঙ্গি হামলার পরেই প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন গম্ভীর। সমাজমাধ্যমে নিন্দা করেছিলেন। লিখেছিলেন, “মৃতদের পরিবারের প্রতি আমাদের সমবেদনা। যারা এই কাজের জন্য দায়ী তাদের মূল্য চোকাতেই হবে। ভারত পাল্টা আঘাত হানবেই।” পর দিনই হুমকি পান ভারতীয় দলের প্রধান কোচ। তাঁকে ইমেলে হুমকিবার্তা পাঠায় ‘আইসিস কাশ্মীর’।
আরও পড়ুন:
বুধবার দুপুরে প্রথম ইমেল পান গম্ভীর। দ্বিতীয়টি পান বিকেলে। দু’টি ইমেলেই লেখা ছিল, ‘আইকিলইউ’। যার অর্থ, আমি তোমায় মেরে ফেলব। গম্ভীর দেরি করেননি। সঙ্গে সঙ্গে রাজেন্দ্র নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করেন। ঘটনার কথা জানিয়েছেন মধ্য দিল্লির ডিসিপিকেও। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করেছেন তিনি। তাঁর পরিবার যাতে সুরক্ষিত এবং নিরাপদে থাকে তার জন্যও পুলিশকে উদ্যোগী হতে বলেছেন তিনি। সেই ঘটনারই তদন্ত করতে গিয়ে জিগ্নেশকে আটক করেছে পুলিশ। গম্ভীর ও তাঁর পরিবারের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, গম্ভীর বিজেপির প্রাক্তন সাংসদ। পূর্ব দিল্লি কেন্দ্রে ২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে জয়ী হয়েছিলেন তিনি। তবে গত বারের নির্বাচনে দাঁড়াননি। তখন তিনি কেকেআর দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। গত বছরই কেকেআর দল ছেড়ে ভারতীয় দলের কোচ হন।