ম্যাচের আগে ফাঁকা মোদী স্টেডিয়াম। ছবি: পিটিআই।
বৃহস্পতিবার ইংল্যান্ড বনাম নিউ জ়িল্যান্ড ম্যাচ দিয়ে শুরু হয়েছে বিশ্বকাপ। আয়োজক দেশ ভারত না খেললেও বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচ ঘিরে মানুষের যে আগ্রহ থাকবে সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বৃহস্পতিবার নরেন্দ্র মোদী স্টেডিয়ামে সম্পূর্ণ উল্টো চিত্র। ম্যাচ শুরু হওয়ার আগে দেখা গেল প্রায় পুরো স্টেডিয়ামই ফাঁকা। এক লাখ ৩০ হাজারের স্টেডিয়ামে মেরেকেটে হাজার বিশেক দর্শক এসেছেন। এর আগে কোনও বিশ্বকাপের উদ্বোধনী ম্যাচে এ রকম শূন্যস্থান দেখা গিয়েছে কি না তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতেই পারে। স্বাভাবিক ভাবেই আলোচনা শুরু হয়েছে, ভারত যেখানে খেলবে না, সেখানে এত বড় স্টেডিয়ামে উদ্বোধনী ম্যাচ দেওয়া উচিত হয়েছে কি?
মোতেরা স্টেডিয়াম নতুন করে তৈরি হওয়ার পর থেকেই দেশের সবচেয়ে ভাল ম্যাচগুলি সেখানেই দেওয়া হয়েছে। আইপিএলের ফাইনাল, এ বারের বিশ্বকাপের প্রথম ম্যাচ এবং ফাইনাল, ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ-সহ শ্রেষ্ঠ ম্যাচগুলি পেয়েছে তারা। কিন্তু ফাইনাল বা ভারত-পাক ম্যাচ নিয়ে যে কাড়াকাড়ি, তার ছিটেফোঁটাও দেখা গেল না বৃহস্পতিবার। ফাঁকা স্টেডিয়াম বিশ্বকাপের উদ্বোধনের পক্ষে যে ভাল বিজ্ঞাপন নয়, সেটা অনেকেই মানছেন।
সমর্থকেরা ভেবেছিলেন বিশ্বকাপের আগে জমকালো উদ্বোধনী অনুষ্ঠান হতে পারে। তাই উৎসাহ বাড়ছিল। যে মুহূর্তে জানা গেল উদ্বোধনী অনুষ্ঠান থাকছে না, তখনই উৎসাহে ভাটা পড়ে। মহিলাদের সংরক্ষণ বিলের সাফল্য উদ্যাপন করতে ৩৩ হাজার মহিলাকে বিনামূল্যে টিকিট দিয়েছিলেন স্থানীয় বিজেপি নেতারা। তাঁদের জন্যে ছিল খাবার এবং পানীয় জলের ব্যবস্থাও। কিন্তু সেই আকর্ষণও কাউকে বিচলিত করতে পারেননি। ৩৩ হাজার মহিলা সমর্থকের অন্তত অর্ধেক এলেও মাঠের অবস্থা এত খারাপ থাকত না।
সমর্থকেরা ইতিমধ্যেই ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন সমাজমাধ্যমে। তাঁদের দাবি, কেন প্রথম ম্যাচে ভারতকে রাখা হল না? অনেকেই আইসিসি এবং বিসিসিআইয়ের মুণ্ডপাত করেছেন। টিকিট বণ্টন নিয়ে আগেই ঝামেলা হয়েছে। বিভিন্ন রাজ্য সংস্থাতে ঝামেলা চলছে। গুজরাতও তার ব্যতিক্রম নয়। ফলে সবার কাছে টিকিট পৌঁছেছে কি না সেটাও একটা ব্যাপার।
অনলাইনে টিকিট কাটতে গিয়ে সমর্থকদের নাজেহাল হতে হয়েছে। টিকিট বিক্রি শুরু হওয়ার সময়েই ওয়েবসাইটে ঢুকে পড়লেও ‘লাইনে’ দাঁড় করিয়ে দেওয়া হয়েছে। শুধু তাই নয়, ইলেকট্রনিক টিকিট গ্রাহ্য হবে না বলে বোর্ড আগেই জানিয়েছিল। ফলে কাগজের টিকিট হাতে পেতেও কালঘাম পোয়াতে হয়েছে সমর্থকদের। এতেই এক শ্রেণির সমর্থক মুখ ফিরিয়েছেন কি না, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy