শিখর ধাওয়ান। —ফাইল চিত্র।
বিশ্বকাপ শুরুর আগে স্বস্তি পেলেন শিখর ধাওয়ান। ভারতীয় দলের বাইরে চলে যাওয়া ব্যাটারের ব্যক্তিগত জীবনের সমস্যা অনেকটাই মিটে গেল। দিল্লির পটীয়ালা হাউস কোর্টের পারিবারিক আদালত তাঁর বিবাহ বিচ্ছেদের আবেদন মঞ্জুর করেছে।
স্ত্রী আয়েশা মুখোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে মানসিক নির্যাতনের অভিযোগ করে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা করেছিলেন ধাওয়ান। তাঁর অভিযোগ ছিল, স্ত্রী তাঁর উপর মানসিক নির্যাতন করেন। একমাত্র সন্তানকেও দীর্ঘ দিন তাঁর সঙ্গে থাকতে দেন না। বিচারক হরিশ কুমার তাঁর পর্যবেক্ষণে আগেই জানিয়েছিলেন, ধাওয়ানের অভিযোগ যুক্তিপূর্ণ। আদালত বলেছে, ধাওয়ানের স্ত্রী তাঁর বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের প্রেক্ষিতে প্রতিদ্বন্দ্বিতা বা আত্মপক্ষ সমর্থন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। তাঁদের সন্তান কার কাছে থাকবে, তা নিয়ে কোনও নির্দেশ দেয়নি আদালত। তবে ধাওয়ান চাইলে ছেলের সঙ্গে দেখা করতে পারবেন। ভারত বা অস্ট্রেলিয়ায় (আয়েশা অধিকাংশ সময় অস্ট্রেলিয়ায় থাকেন) ভিডিয়ো কল করে ছেলের সঙ্গে কথা বলতে পারবেন তিনি। আদালত জানিয়েছে, ছেলের স্কুলের ছুটি থাকলে তাকে নিজের কাছে এনে রাখতে পারবেন ধাওয়ান। সে ক্ষেত্রে কোনও আপত্তি করতে পারবেন না আয়েশা। ধাওয়ান নিজের কাছে ছেলে সর্বোচ্চ কত দিন রাখতে পারবেন, তা নিয়ে কোনও মন্তব্য করেনি আদালত।
২০১২ সালের অক্টোবরে ধাওয়ানের সঙ্গে বিয়ে হয়েছিল আয়েশার। ধাওয়ান ছিলেন তাঁর দ্বিতীয় পক্ষের স্বামী। প্রথম পক্ষের দুই কন্যাসন্তানও রয়েছে আয়েশার। ২০২১ সালে প্রথম সমাজমাধ্যমে আয়েশা ধাওয়ানের সঙ্গে বিবাহবিচ্ছেদের ইচ্ছাপ্রকাশ করেছিলেন।
বেশ কিছু দিন ধরেই স্ত্রীর সঙ্গে বনিবনা হচ্ছিল না ধাওয়ানের। পারিবারিক অশান্তি কিছুটা হলেও প্রভাব ফেলছিল তাঁর ২২ গজের পারফরম্যান্সেও। যা নিয়ে ধাওয়ান এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, ‘‘আমি ব্যর্থ। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নির্ভর করে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির উপর। আমি কারও দিকে অভিযোগের আঙুল তুলতে চাই না। আমিও এই ধরনের সম্পর্ক নিয়ে যথেষ্ট সচেতন ছিলাম না। ঠিক যেমন ২০ বছর আগে জানতাম না, ক্রিকেটে নিয়ে কখনও কথা বলব। আসলে মানুষ অভিজ্ঞতা থেকে শেখে।’’ তিনি আরও বলেছিলেন, ‘‘আমার বিবাহবিচ্ছেদের মামলা চলছে। আগামী দিনে আবার যদি বিয়ে করি, তখন এই ধরনের সম্পর্ক নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা থাকবে। বুঝতে পারব, কেমন মহিলা আমার জীবনসঙ্গী হিসাবে সঠিক। যাঁর সঙ্গে আমি সারা জীবন কাটাতে পারব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy