শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে প্রথম ম্য়াচে দুরন্ত ইনিংস খেললেন দীপক হুডা। সুযোগ কাজে লাগালেন তিনি। —ফাইল চিত্র
গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে ছিলেন। বিশ্বকাপের আগে ভারতের হয়ে কুড়ি-বিশের ক্রিকেটে শতরানও করেছিলেন। কিন্তু তার পরেও বিশ্বকাপে মাত্র একটি ম্যাচে প্রথম একাদশে সুযোগ পেয়েছিলেন দীপক হুডা। সেই অবহেলারই কি জবাব দিলেন তিনি! শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ফিনিশারের ভূমিকায় দেখা গেল হুডাকে। তাঁর ব্যাটে ধুঁকতে থাকা ভারতীয় ইনিংস ভাল জায়গায় গেল। বিশ্বকাপ থেকে ছিটকে যাওয়ার ৫৪ দিন পরে হয়তো আক্ষেপ করছেন হার্দিক পাণ্ড্যরা।
ওয়াংখেড়েতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং বিপর্যয়ে পড়ে ভারত। ঈশান কিশন ছাড়া টপ অর্ডারের কোনও ব্যাটার রান পাননি। ৭৭ রানে ৪ উইকেট পড়ে যাওয়ার পরে ব্যাট করতে নামেন হুডা। তার পরে মাত্র ২৩ বলে ৪১ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। প্রথমে অধিনায়ক হার্দিক পাণ্ড্য ও পরে অক্ষর পটেলকে সঙ্গে নিয়ে ভারতকে ১৬২ রান পর্যন্ত নিয়ে গেলেন তিনি।
শুরুতে কিছুটা ধীরে খেলছিলেন হুডা। কিন্তু হার্দিক আউট হওয়ার পরে হাত খুললেন তিনি। শেষ দিকে বেশ কয়েকটি বড় শট মারলেন। কোনও বল মারতে না পারলে নিজের উপর রাগ করছিলেন তিনি। বোঝা যাচ্ছিল, রান করতে কতটা মুখিয়ে রয়েছেন। ইনিংসে ১টি চার ও ৪টি ছক্কা মারলেন হুডা। তার মধ্যে একটা সময় ৬ বলের মধ্যে ৩টি ছক্কা মারেন তিনি। শেষ পর্যন্ত অপরাজিত থাকলেন হুডা। তাঁর জন্যই ১৬০ রানের গণ্ডি পার করল ভারত।
ভারতের হয়ে ১৬টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলেছেন হুডা। ৩৮.১১ গড়ে ৩৪৩ রান করেছেন। ১৫৩.১২ স্ট্রাইক রেটে রান করেছেন তিনি। সর্বোচ্চ ১০৪ রান। কিন্তু তার পরেও প্রথম একাদশে নিয়মিত সুযোগ পান না হুডা। কোনও ক্রিকেটার আহত হলে বা বিশ্রামে থাকলে পরিবর্ত হিসাবে সুযোগ পান তিনি।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ভারতীয় দলে ফিনিশারের ভূমিকায় খেলছিলেন দীনেশ কার্তিক। কিন্তু ভাল খেলতে পারেননি তিনি। তার ফল ভুগতে হয়েছে ভারতকে। সেমিফাইনাল থেকেই বাদ যেতে হয়েছে। ছোট কেরিয়ারে বেশির ভাগ সময় টপ বা মিডল অর্ডারে খেলেছেন হুডা। কিন্তু শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে ফিনিশারের ভূমিকায় খেললেন তিনি। রান করলেন। তা হলে কি এ বার সাদা বলের ক্রিকেটে ফিনিশারের ভূমিকায় পাকাপাকি ভাবে দেখা যেতে পারে হুডাকে! নিশ্চয় ভাবনা-চিন্তা করবে বিসিসিআই।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy