পরিবার নিয়ে শ্রীলঙ্কায় ঘুরতে আসতে চান ওয়ার্নার। ফাইল ছবি।
অশান্ত রাজনৈতিক পরিস্থিতির মধ্যেও সুষ্ঠু ভাবে ক্রিকেট সিরিজ আয়োজন করেছে শ্রীলঙ্কা। বিক্ষোভ, অস্থিরতার কোনও আঁচ অস্ট্রেলিয়া দলের কাছে পৌঁছতে দেননি আয়োজকরা। দেশে ফেরার আগে আতিথেয়তায় মুগ্ধ ডেভিড ওয়ার্নার ধন্যবাদ জানালেন শ্রীলঙ্কার মানুষকে।
বেহাল অর্থনীতি। অস্থির রাজনৈতিক পরিস্থিতি। সাধারণ মানুষের বিক্ষোভ-প্রতিবাদ। জনতার দখলে রাষ্ট্রপতির প্রাসাদ। ‘নিখোঁজ’ রাষ্ট্রপতি গোতাবায়া রাজাপক্ষে। গণবিক্ষোভে কার্যত জ্বলছে। গত কয়েক মাস ধরে শ্রীলঙ্কার পরিস্থিতি ক্রমশ খারাপ হয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে শ্রীলঙ্কা সফর নিয়ে এক সময় দ্বিধায় ছিল ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়া। নিরাপত্তা নিয়ে আশঙ্কায় ছিলেন ক্রিকেটারদের একাংশও। তাও শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট কর্তাদের আশ্বাসে শেষ পর্যন্ত সফরে আসতে রাজি হন প্যাট কামিন্স, অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নার, স্টিভ স্মিথরা। ক্রিকেটের দিক থেকে ধরলে শ্রীলঙ্কা সফর দারুণ কাটেনি অস্ট্রেলিয়ার। টি-টোয়েন্টি সিরিজ জিতলেও হারতে হয়েছে এক দিনের সিরিজ। অমীমাংসিত ভাবে শেষ হয়েছে টেস্ট সিরিজও। তবু শ্রীলঙ্কা সফরের শেষে খুশি অজি ক্রিকেটাররা। তীব্র সঙ্কটের মধ্যে শ্রীলঙ্কার মানুষের যত্নে, ভালবাসায় মুগ্ধ তাঁরা।
দেশের ফেরার আগে ওয়ার্নার নেটমাধ্যমে লিখেছেন, ‘‘খুবই কঠিন সময়ের মধ্যে দিয়ে যাচ্ছে শ্রীলঙ্কা। এই সঙ্কটের মধ্যেও আমাদের আতিথেয়তা দেওয়ার জন্য শ্রীলঙ্কাকে ধন্যবাদ। এই পরিস্থিতিতেও আমরা নিশ্চিন্তে ক্রিকেট খেলতে পেরেছি। আসার পর থেকে আমরা দারুণ সমর্থনও পেয়েছি শ্রীলঙ্কার মানুষদের কাছে।’’
৩৬ বছরের ব্যাটার আরও লিখেছেন, ‘‘আপনারা যে ভাবে দু’হাত বাড়িয়ে আমাদের আপন করে নিয়েছেন, তা ভোলার নয়। এই সফর আমরা কোনও দিন ভুলব না। পরিস্থিতি যেমনই হোক এই সুন্দর দেশটাকে আমি ভালবাসি। এত কঠিন পরিস্থিতিতেও এখানকার মানুষের মুখে সব সময় হাসি দেখেছি। এর পর ছুটিতে পরিবার নিয়ে এখানে ঘুরতে আসব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy