মুম্বই ইন্ডিয়ান্সের ছবিই চেন্নাই সুপার কিংসে। লখনউ সুপার জায়ান্টসের বিরুদ্ধে রান তাড়া করার সময় তিলক বর্মাকে রিটায়ার্ড আউট করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল মুম্বই। তার পরেও হারতে হয়েছিল তাদের। এই সিদ্ধান্ত নিয়ে সমালোচনা হয়েছিল হার্দিক পাণ্ড্যদের। মঙ্গলবার পঞ্জাব কিংসের বিরুদ্ধে রান তাড়া করার সময় ডেভন কনওয়েকে রিটায়ার্ড আউট করার সিদ্ধান্ত নেয় চেন্নাই সুপার কিংস। সেই সিদ্ধান্ত কাজে লাগেনি। চেন্নাইকে আরও একটি ম্যাচ হারতে হয়েছে। এই সিদ্ধান্তের নেপথ্যে কী কারণ ছিল? জানালেন চেন্নাইয়ের অধিনায়ক রুতুরাজ গায়কোয়াড়।
ম্যাচ শেষে রুতুরাজ জানিয়েছেন, কনওয়ে দ্রুত রান করতে পারছিলেন না বলেই তাঁকে তুলে নেওয়া হয়েছে। চেন্নাইয়ের অধিনায়ক বলেন, “কনওয়ে গায়ের জোরের বদলে টাইমিংয়ের সাহায্যে মারতে ভালবাসে। টপ অর্ডারে ও খুব ভাল ব্যাটার। কিন্তু যখন দলে রবীন্দ্র জাডেজার মতো ফিনিশার রয়েছে তখন এই সিদ্ধান্ত নেওয়া স্বাভাবিক। শুরুর দিকে কনওয়ে দ্রুত রান করছিল। কিন্তু শেষ দিকে ওর ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না। আমরা অপেক্ষা করছিলাম। কিন্তু কত আর অপেক্ষা করা যায়। তাই শেষ পর্যন্ত সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। ওকে রিটায়ার্ড আউট করা হয়েছে।”
চেন্নাইয়ের ইনিংসের ১৮তম ওভারের পঞ্চম বলের পর মাঠ ছেড়ে বেরিয়ে যেতে দেখা যায় কনওয়েকে। তখন ৪৯ বলে ৬৯ রান করে খেলছিলেন তিনি। মাঠে নামেন জাডেজা। সেই সময় চেন্নাইয়ের রান ছিল ১৭১। অর্থাৎ, পরের ১৩ বলে ৪৯ রান করতে হত। সেই কারণে দলের সেরা দুই ফিনিশারকে মাঠে রাখার পরিকল্পনা করেছিল চেন্নাই। ধোনির সঙ্গে জাডেজাকে জুড়ে দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন:
সেই সিদ্ধান্ত অবশ্য কাজে লাগেনি। পরের ১৩ বলে ৩০ রান করে চেন্নাই। ধোনি কয়েকটি বড় শট খেলেন। ১২ বলে ২৭ রান করে আউট হন তিনি। জাডেজা অবশ্য বিশেষ কিছু করতে পারেননি। পাঁচ বলে খেলে মাত্র ৯ রান করেছেন তিনি। একটিই ছক্কা মেরেছেন। জাডেজারও যে ব্যাটে-বলে হচ্ছিল না তা বোঝা যাচ্ছিল। যে পরিকল্পনা নিয়ে জাডেজাকে পাঠানো হয়েছিল, তা কাজে লাগেনি। ফলে সমালোচনা শুরু হয়েছে চেন্নাইয়ের এই সিদ্ধান্তের।

গ্রাফিক: আনন্দবাজার ডট কম।
এক জন ব্যাটার যত বেশি বল খেলেন, যত বেশি সময় কাটান তিনি তত থিতু হওয়ার সময় পান। ফলে বড় শট খেলতে সুবিধা হয় তাঁর। ক্রিকেটে প্রচলিত কথা, রান তাড়া করতে নেমে এক বার থিতু হয়ে গেলে খেলা শেষ করে ফেরা উচিত। বিরাট কোহলি তার জ্বলন্ত উদাহরণ। কত ম্যাচ যে তিনি শেষ পর্যন্ত খেলে জিতিয়েছেন তার হিসাব নেই। বিশেষ করে যে পিচে বোলারেরা কিছুটা হলেও সুবিধা পাচ্ছেন, সেখানে শুরু থেকেই বড় শট খেলা কঠিন। মুম্বই ও চেন্নাই দু’দলের ক্ষেত্রেই সেটা ঘটেছে। তিলক ও কনওয়ে দু’জনেই অনেক ক্ষণ ধরে খেলছিলেন। তাঁরা থাকলে কি জেতার সুযোগ বেশি থাকত না? দল হারার পর সেই প্রশ্ন আরও উঠছে।