গত বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপজয়ী ইংল্যান্ড দল। — ফাইল চিত্র।
অবশেষে স্বস্তি। লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্সে ফিরছে ক্রিকেট। ১২৮ বছর পর অলিম্পিক্সের মঞ্চে ক্রিকেটের প্রত্যাবর্তন হচ্ছে। লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্সের আয়োজক কমিটি সোমবারই আন্তর্জাতিক অলিম্পিক্স সংস্থার (আইওসি) কাছে ক্রিকেটকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দিয়েছে। মুম্বইয়ে ১৪ এবং ১৫ অক্টোবর আইওসি-র কার্যকরী কমিটির সভা বসছে। সেখানেই আনুষ্ঠানিক ভাবে ক্রিকেটে অন্তর্ভুক্তির কথা ঘোষণা হতে পারে।
গত কয়েক বছর ধরেই অলিম্পিক্সে ক্রিকেটের অন্তর্ভুক্তি নিয়ে জোর জল্পনা চলেছে। ক্রিকেটকে এই বিশ্বজনীন প্রতিযোগিতার অংশ করে তুলতে কম খাটেনি আইসিসি-ও। সেটাই অবশেষে সফল হতে চলেছে। পূর্ব ঘোষণামতোই টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ক্রিকেট হবে। শুধু ক্রিকেটই নয়, সফ্ট বল/বেসবল, ফ্ল্যাগ ফুটবল, ল্যাক্রসে এবং স্কোয়াশেরও অলিম্পিক্সের অংশ হওয়া কার্যত নিশ্চিত।
লস অ্যাঞ্জেলেস অলিম্পিক্সের চেয়ারপার্সন কেসি ওয়াসেরম্যান বলেছেন, “যে খেলাগুলিকে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে তা বিশ্বজনীন। পাড়ার মাঠ, স্কুল, কমিউনিটি সেন্টার, স্টেডিয়াম, পার্কে বহু বছর ধরে খেলাগুলি হয়ে আসছে। এই খেলাগুলির ফলে গেমস পাবে নতুন ক্রীড়াবিদদের। নতুন সমর্থকদের আগমন হবে এবং অলিম্পিক্স আরও অনেক দেশে ছড়িয়ে পড়বে।”
আইসিসি-র চেয়ারম্যান গ্রেগ বার্কলে এই খবরে উচ্ছ্বসিত। তিনি বলেছেন, “অলিম্পিক্স কমিটির প্রস্তাবে অত্যন্ত আনন্দিত। চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত না হলেও, আমাদের কাছে এটা বিরাট তাৎপর্যের। এক শতক পর ক্রিকেট অলিম্পিক্সে জায়গা পেতে চলেছে।”
অলিম্পিক্স কমিটিকে আইসিসি জানিয়েছে, মহিলা এবং পুরুষ দুই বিভাগে মোট ছ’টি করে দল থাকবে। একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর র্যাঙ্কিংয়ে প্রথম ছয়ে যারা থাকবে তারাই অলিম্পিক্সে খেলবে। তবে পরিকাঠামো-সহ আরও কিছু বিষয় নিয়ে এখনও আলোচনা চালাচ্ছে আইসিসি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy