দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট দল। — ফাইল চিত্র।
টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল ঘোষণা করে সমালোচনার মুখে ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা। ১৫ জনের দলে এক মাত্র কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার কাগিসো রাবাডা। তা নিয়েই সরগরম সে দেশের ক্রীড়ামহল। ক্রিকেট কর্তাদের প্রশ্নের মুখে দাঁড় করিয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রীড়ামন্ত্রী ফিকিল এমবালুলা। ক্রিকেট দক্ষিণ আফ্রিকা এবং আইসিসির প্রাক্তন সভাপতি রে মালিও ক্ষুব্ধ।
দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে সাদা-কালো সংঘাত নতুন নয়। এক সময় ব্রিটিশ শাসনে থাকা দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেটে শ্বেতাঙ্গদের দাপট ছিল একচেটিয়া। যোগ্য হলেও জাতীয় দলে সুযোগ দেওয়া হত না কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটারদের। বর্ণবৈষম্যের জন্য আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দীর্ঘ দিন নির্বাসিত ছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। এ বারের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল দেখে সে দেশের ক্রিকেটপ্রেমীদের একাংশের প্রশ্ন, দক্ষিণ আফ্রিকার ক্রিকেট কি আবার সেই অন্ধকার যুগে ফিরে যাচ্ছে?
দক্ষিণ আফ্রিকার নিয়ম অনুযায়ী, প্রথম একাদশে অন্তত দু’জন কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার রাখতে হয়। এ ছাড়া চার জন মিশ্রবর্ণ এবং পাঁচ জন শ্বেতাঙ্গ ক্রিকেটার নিয়ে দল সাজানোর নিয়ম। তবে সব ম্যাচেই এ ভাবে প্রথম একাদশ তৈরির বাধ্যবাধকতা নেই। কোনও ম্যাচে বা প্রতিযোগিতায় মানা না গেলে পরবর্তী সময় এই ভারসাম্য বজায় রাখার জন্য পদক্ষেপ করতে হয়। মরসুম শেষে ক্রিকেটারদের অংশগ্রহণের ২-৪-৫ অনুপাত হিসাব করা হয়। ২০১৬ সাল থেকে এই অলিখিত নিয়ম চলে আসছে। কিন্তু ১৫ জনের দলেই রাবাডা ছাড়া কেউ না থাকায় টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেই নিয়ম মানা সম্ভব হবে না।
বিশ্বকাপের দলে কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার শুধু রাবাডা। মিশ্রবর্ণের পাঁচ জন আছেন। তাঁরা হলেন রেজ়া হেনড্রিকস, বিয়র্ন ফোরটুইন, কেশব মহারাজ, তাবরেজ শামসি এবং ওটনিল বার্টম্যান। রিজার্ভ হিসাবে রয়েছেন আর এক কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার লুঙ্গি এনগিডি।
দল নিয়ে ক্ষুব্ধ এমবালুলা বলেছেন, ‘‘আমরা আবার পিছন দিকে হাঁটতে শুরু করেছি। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দল দক্ষিণ আফ্রিকার সব মানুষকে প্রতিনিধিত্ব করছে না।’’ সমালোচনা করেছেন মালিও। তিনি বলেছেন, ‘‘বিশ্বকাপের দল গ্রহণযোগ্য নয়। আমরা অনেক কিছুই অর্জন করেছি। শুধু ক্রিকেটের ক্ষেত্রে পিছিয়ে যাচ্ছি। বুঝতে পারছি না দলে কেন এক জনের বেশি কৃষ্ণাঙ্গ ক্রিকেটার নেই।’’
তীব্র সমালোচনার মধ্যে মুখ খুলেছেন দক্ষিণ আফ্রিকার সাদা বলের কোচ রব ওয়াল্টার। তিনি বলেছেন, ‘‘সময় পাল্টেছে। আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ হল একটা চ্যাম্পিয়ন দল তৈরি করা। যে দল দক্ষিণ আফ্রিকাকে গর্বিত করবে। লক্ষ্যে পৌঁছানোর জন্য আমাদের সেরা দল বেছে নিতে হয়েছে। যে দলের সম্ভাবনা বেশি, তেমন দলই নির্বাচন করা হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy