ইংল্যান্ডের জয়ের আশায় আকাই জল ঢেলে দিলেন মেয়ার্স। ছবি: এএফপি
অ্যাশেজের দুঃস্বপ্ন কিছুতেই পিছু ছাড়ছে না ইংল্যান্ডকে। অস্ট্রেলিয়ায় গিয়ে সিরিজে হারের পর এ বার ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধেও হেরে গেল তারা। রবিবার তৃতীয় টেস্ট দশ উইকেটে জিতে ম্যাচ এবং সিরিজ জিতে নিল ক্যারিবিয়ানরা।
১০৩ রানে ৮ উইকেট নিয়ে খেলা শুরু করেছিল ইংল্যান্ড। ১২০ রানে তাদের বাকি দু’টি উইকেট পড়ে যায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের সামনে জয়ের জন্য দরকার ছিল ২৮ রান। কোনও উইকেট না হারিয়েই সেই রান তুলে নেয় তারা।
শনিবার তৃতীয় দিনে ব্যাটিং বিপর্যয়ের মুখোমুখি হন জো রুটরা। ঘাতকের নাম কাইল মেয়ার্স। মাত্র ৯ রানে ৫ উইকেট নিয়ে ইংরেজ শিবিরে আতঙ্কের ঠান্ডা স্রোত বইয়ে দিয়েছিলেন এই ফাস্ট বোলার। তবে পঞ্চম দিনে আর কোনও উইকেট পাননি তিনি।
ইংল্যান্ডের প্রথম ইনিংসে ২০৪ রানের জবাবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ করে ২৯৭ রান। ৯৩ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামে সফরকারীরা। কিন্তু প্রতিপক্ষ শিবিরে চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দেওয়া তো দূরস্থান, উইকেটে থিতুই হতে পারেননি ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা।
ওপেনার অ্যালেক্স লিস (৩১) এবং জনি বেয়ারস্টো (২২) ছাড়া সফরকারীদের কোনও ব্যাটারই দু’অঙ্কের রান করতে পারেননি। তৃতীয় দিনের খেলা শেষ হওয়ার সময় ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসের তৃতীয় সর্বোচ্চ অতিরিক্ত ২০। জ্যাক ক্রলি (৮), জো রুট (৫), ড্যান লরেন্স (০), বেন স্টোকস (৪), বেন ফোকস (২), ক্রেগ ওভারটনরা (১) এক রকম মিছিল করে বাইশ গজে এলেন এবং সাজঘরে ফিরলেন।
শুরু থেকেই নিয়মিত ব্যবধানে উইকেট হারিয়েছে ইংল্যান্ড। পঞ্চম উইকেটে বেয়ারস্টো এবং ওপেনার লিস ৪১ রান যোগ করেন। এটাই ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় ইনিংসে সব থেকে বড় জুটি। লিস যখন সাজঘরে মেয়ার্সের বলে সাজঘরে ফেরেন তখন দলের রান ৭ উইকেটে ৯৭। তিনি উইকেটের এক দিক আগলে রাখার চেষ্টা করলেও বেয়ারস্টো ছাড়া কারওর থেকেই ন্যুনতম সাহায্য পেলেন না।
৫ উইকেট নেওয়া মেয়ার্সের শিকারের তালিকায় রয়েছেন লিস, রুট, লরেন্স, স্টোকস এবং ওভারটন। টেস্ট ক্রিকেটে প্রথম বার ইনিংসে পাঁচ উইকেট নেওয়ার কৃতিত্ব দেখালেন তিনি। তাঁর বোলিংয়ের কোনও জবাব দিতে পারেননি ইংল্যান্ডের ব্যাটাররা। একটি করে উইকেট নিয়েছেন আলজারি জোশেফ এবং জেডেন সিলস।
খেলার এখনও বাকি দু’দিন। ইংল্যান্ডের হাতে রয়েছে ২ উইকেট। ক্যারিবিয়ানদের থেকে তারা এগিয়ে মাত্র ১০ রানে। এই জায়গা থেকে ইংল্যান্ডের ম্যাচ বাঁচানোর আশা নেই বললেই চলে। এক মাত্র প্রাকৃতিক দুর্যোগ রক্ষা করতে পারে রুটদের। ফলে অ্যাশেজের পর আরও একটি টেস্ট সিরিজ পরাজয় নিশ্চিত তাঁদের।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy