চেতন সাকারিয়া। ছবি: আইপিএল
২০২১ সালের জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অভিষেক। ভারতের হয়ে একটি এক দিনের এবং দু’টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেললেও তেমন সুযোগ পাননি চেতন সাকারিয়া। আইপিএলেও অধিকাংশ ম্যাচেই প্রথম একাদশে সুযোগ হয়নি। সেই হতাশা থেকে ফিরে আসার কথা বলেছেন তিনি।
আইপিএল নিলামে সৌরাষ্ট্রের বাঁহাতি জোরে বোলারকে ৪.২ কোটি টাকা দিয়ে কিনেছিল দিল্লি ক্যাপিটালস। সাকারিয়ার আশা ছিল, আইপিএলে নিয়মিত খেলার সুযোগ পাবেন। কিন্তু বাস্তবে তা হয়নি। প্রতিযোগিতার প্রথম থেকেই ঋষভ পন্থদের প্রথম একাদশে সুযোগ হয়নি সাকারিয়ার।
নিলামে নিজের দাম দেখে মনে করেছিলেন খেলার সুযোগ পাবেন। তা না পাওয়ায় হতাশায় ডুবে যান সাকারিয়া। প্রতিযোগিতার প্রথম ১০-১২ দিন এতটাই হতাশ ছিলেন যে কারোর সঙ্গে কথাও বলতেন না। অনুশীলন ছাড়া বাকি সময় একাই থাকতেন। একটি সাক্ষাৎকারে সাকারিয়া বলেছেন, ‘‘দিল্লি কেনার পর ভেবেছিলাম খেলার সুযোগ পাব। সব ম্যাচ খেলব বলেই মনে হয়েছিল। প্রথম দিকে সুযোগ না পেয়ে হতাশ হইনি। কিন্তু টানা সুযোগ না পেয়ে আত্মবিশ্বাস কমতে শুরু করে। নিজেকে নিয়ে নিজেরই সংশয় তৈরি হয়। নিজেকে গুটিয়ে রাখতাম।’’
প্রতিযোগিতার শেষ দিকে তিনটি ম্যাচ খেলার সুযোগ পান সাকারিয়া। কলকাতা নাইট রাইডার্স, লখনউ সুপার জায়ান্টস এবং রাজস্থান রয়্যালসের বিরুদ্ধে খেলেন। কোচ রিকি পন্টিং এবং সহকারী কোচ শেন ওয়াটসনই তাঁর আত্মবিশ্বাস ফেরান বলে জানিয়েছেন সাকারিয়া। তরুণ জোরে বোলার বলেছেন, ‘‘রিকি স্যর সব জানতেন। উনি সব সময় নিজেই এসে আমার সঙ্গে কথা বলতেন। বার বার বোঝাতেন হতাশ হওয়ার কারণ নেই। সুযোগ আসবেই। বলেছিলেন, ‘তুমি যদি সত্যিই খেলোয়াড় হও, তা হলে সুযোগের অপেক্ষা কর। সুযোগ পেলেই নিজের সেরাটা দেবে।’ কোচ সব সময় আমাকে উৎসাহ দিতেন।’’
দিল্লির সহকারী কোচ ওয়াটসনের কথাও বলেছেন সাকারিয়া। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওয়াটসন স্যর বুঝতে পেরেছিলেন, আমার আত্মবিশ্বাসে ঘাটতি আছে। অনুশীলনে আমার দিকে বাড়তি খেয়াল রাখতেন। উনি এক দিন নিজের ঘরে ডেকে অনেক কথা বলেন। লেংথ-সহ বোলিংয়ের অনেক কিছু বোঝান। ওঁর কথা খুব কাজে দিয়েছে।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy