বার্ষিক চুক্তিতে এ+ ক্যাটেগরিতে জায়গা করে নিলেন তাসকিন আহমেদ। বাংলাদেশের পেসারের আয় বাড়ল। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে ভারত এবং নিউ জ়িল্যান্ডের বিরুদ্ধে হেরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বৃষ্টিতে ভেস্তে গিয়েছিল একটি ম্যাচ। তার পরেও বাড়ল তাসকিনের আয়।
৩ ফেব্রুয়ারি ক্রিকেটারদের বার্ষিক চুক্তি নিয়ে একটি বৈঠক করেছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড। মোট পাঁচটি ক্যাটেগরিতে ভাগ করা হয়েছে ক্রিকেটারদের। সবচেয়ে বেশি টাকা দেওয়া হয় এ+ ক্যাটেগরিতে থাকা ক্রিকেটারেরা। এ ছাড়াও এ, বি, সি এবং ডি ক্যাটেগরি রয়েছে। আগে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডে এই ভাবে ভাগ করা হত না। একমাত্র তাসকিনকেই এ+ ক্যাটেগরিতে রাখা হয়েছে।
আগে ক্রিকেটারদের ভাগ করা হত তারা কোন কোন ধরনের ক্রিকেট দেশের হয়ে খেলেন তা দেখে। টেস্ট, এক দিনের ক্রিকেট এবং টি-টোয়েন্টি, তিনটি ফরম্যাটে খেললে বেশি টাকা পেতেন ক্রিকেটারেরা। এখন আর সেই ভাবে ভাগ করা হচ্ছে না।
আরও পড়ুন:
কোন ক্যাটেগরিতে রয়েছেন কোন ক্রিকেটার—
এ+ ক্যাটেগরি- তাসকিন আহমেদ
এ ক্যাটেগরি- নাজমুল হোসেন শান্ত, মেহিদি হাসান মিরাজ, লিটন কুমার দাস এবং মুশফিকুর রহিম।
বি ক্যাটেগরি- মমিনুল হক, তাইজুল ইসলাম, মাহমুদুল্লা, মুস্তাফিজুর রহমান, তোহিদ হৃদয়, হাসান মেহমুদ এবং নাহিদ রানা।
সি ক্যাটেগরি- সাদমান ইসলাম, সৌম্য সরকার, জাকের আলি অনিক, তানজিদ হাসান তামিম, শোরিফুল ইসলাম, রিশাদ হোসেন, তানজিম হাসান শাকিব এবং মেহেদি হাসান।
ডি ক্যাটেগরি- নাসুম আহমেদ এবং খালেদ আহমেদ।
কোন ক্যাটেগরিতে কত টাকা দেওয়া হবে তা ঘোষণা করা হয়নি। তবে শোনা যাচ্ছে এ+ ক্যাটেগরিতে থাকা তাসকিন বাংলাদেশি মুদ্রায় ১০ লক্ষ টাকা (ভারতীয় মুদ্রায় প্রায় ৭ লক্ষ্য ১৭ হাজার টাকা) পেতে পারেন। আগে বার্ষিক চুক্তির মধ্যে থাকা বাংলাদেশের এক জন ক্রিকেটার সর্বোচ্চ ৮ লক্ষ টাকা পেতেন। তা এখন বেড়ে গিয়েছে। ডি ক্যাটেগরিতে থাকা ক্রিকেটারেরা এখন ২ লক্ষ টাকা (ভারতীয় মুদ্রায় ১ লক্ষ ৪৪ হাজার টাকা) পাবেন বলে জানা গিয়েছে। বার্ষিক চুক্তিতে থাকা ক্রিকেটারেরা বোনাস এবং ম্যাচ ফি-ও পান, যা বার্ষিক চুক্তির এই টাকার হিসাবের বাইরে।