শাকিবদের সঙ্গে কি অস্ট্রেলিয়া যাবেন মাহমুদুল্লাহ। ফাইল ছবি।
বাংলাদেশের অন্যতম অভিজ্ঞ ক্রিকেটার মহম্মদ মাহমুদুল্লাহ। জাতীয় দলের প্রাক্তন অধিনায়কও। বেশ কিছু দিন ধরে ছন্দে নেই মাহমুদুল্লাহ। তাই আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁকে দলে রাখা নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত বাংলাদেশের নির্বাচকরা। যা পরিস্থিতি, তাতে হয়তো এই একটি জায়গা নিয়েই চিন্তায় রয়েছেন নির্বাচকরা।
জিম্বাবোয়ে সফরে মাহমুদুল্লাহকে বিশ্রাম দিয়েছিল বাংলাদেশ। লিটন দাস এবং নুরুল হাসানের চোটের জন্য শেষ ম্যাচে তাঁকে মাঠে নামাতে বাধ্য হন শাকিব আল হাসানরা। এশিয়া কাপের দলেও ছিলেন অভিজ্ঞ অলরাউন্ডার। তেমন পারফরম্যান্স করতে পারেননি। এর পর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের দলে কি দেখা যাবে মাহমুদুল্লাহকে?
বাংলাদেশের নির্বাচকদের একাংশ প্রাক্তন অধিনায়ককে দলে রাখতে চান না। তাঁর বদলে ছন্দে থাকা কোনও ব্যাটারকে অস্ট্রেলিয়ায় পাঠাতে চান তাঁরা। নির্বাচকদের অন্য অংশের মতে বিশ্বকাপের দলে রাখা উচিত তাঁকে। কারণ, টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তিনিই বাংলাদেশের সব থেকে অভিজ্ঞ ক্রিকেটার। অস্ট্রেলিয়ার মাটিতে তাঁর অভিজ্ঞতা শাকিবদের সাহায্য করবে। বাংলাদেশের হয়ে ১২১টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচ খেলে মাহমুদুল্লাহর রান ২১২২। গড় ২৩.৫৭। গত এক বছরে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে তাঁর গড় ২০-র কম। এই পরিসংখ্যান, বয়স এবং ছন্দ তাঁর বিপক্ষে। পক্ষে রয়েছে কেবল অভিজ্ঞতা।
মাহমুদুল্লা কি বিশ্বকাপের দলে থাকবেন? বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ বলেছেন, ‘‘মাহমুদুল্লাহ ক্রিকেট চালিয়ে যেতে খুবই আগ্রহী। কিন্তু ও আমাদের প্রত্যাশা পূরণ করতে পারছে না। জানি ও ম্যাচ জেতাতে পারে। মাহমুদুল্লাহকে আমরা ভুলে যেতে পারি না। ওর মতো ক্রিকেটারকে নিয়ে যা হোক মন্তব্য করে দেওয়া যায় না।’’
সূত্রের খবর, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের জন্য বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড যে পরিকল্পনা নিয়েছে, তার সঙ্গে খাপ খাচ্ছেন না মাহমুদুল্লাহ। খালেদ বলেছেন, ‘‘আমরা এখন ব্যক্তি ক্রিকেটারের থেকে দলকে বেশি গুরুত্ব দিতে চাইছি। বাংলাদেশ ক্রিকেট দলের জন্য যেটা বেশি কার্যকর মনে হবে, সেটাই করা হবে। আবেগের বশে বা তাড়াহুড়ো করে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে চাই না। মাহমুদুল্লাহ জাতীয় দলের হয়ে দীর্ঘ দিন খেলছে। বাংলাদেশের ক্রিকেটে ওর অবদান কম নয়। কেউ সারা জীবন দেশের হয়ে খেলতে পারে না। তাই বলে আমরা কারও অবদান অস্বীকার করতে পারি না।’’
মাহমুদুল্লাকে নিয়ে খালেদ আরও বলেছেন, ‘‘ও এখনও টি-টোয়েন্টি ক্রিকেট খেলছে। আমরা ওকে অন্য ক্রিকেটারদের মতোই দেখছি। ওর প্রচুর অভিজ্ঞতা আছে। শুধু এই কারণে বাড়তি গুরুত্ব দেওয়ার কথা ভাবছি না আমরা। আমাদের কাছে মাহমুদুল্লা অবশ্যই গুরুত্বপূর্ণ। যেমন গুরুত্বপূর্ণ ইয়াসির আলি বা অন্যরা। সকলেই জাতীয় দলের চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার। টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের আগে আমাদের হাতে দু’দিন সময় রয়েছে। ওর সম্ভাবনা নিয়ে আগাম মন্তব্য করা অনুচিত হবে। মাহমুদুল্লাহ এখন শিবিরে রয়েছে। সাদা বলের ক্রিকেটে আমাদের কাছে ও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy