শাকিব আল হাসান। —ফাইল চিত্র।
সমস্যার মাঝেও দলকে পাশে পাচ্ছেন শাকিব আল হাসান। তাঁর বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে সিরিজ়ের মাঝে তাঁকে দেশে ফেরত পাঠানোর জন্য আইনি নোটিস পাঠানো হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে শাকিবের পাশে দাঁড়িয়েছেন সতীর্থেরা। মুখ খুলেছেন দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত ও অভিজ্ঞ ব্যাটার মুশফিকুর রহিম।
পাকিস্তানকে প্রথম টেস্টে হারানোর পরে শান্ত সমাজমাধ্যমে লেখেন, “১৭ বছর ধরে শাকিব ভাই গোটা বিশ্বে বাংলাদেশের ক্রিকেটকে তুলে ধরেছে। ওর বিরুদ্ধে এই ধরনের অভিযোগ দুর্ভাগ্যজনক। নতুন বাংলাদেশে আমরা এই ধরনের ঘটনা দেখতে চাই না। আশা করছি দ্রুত এই অন্ধকার কেটে যাবে।”
শাকিব পাশে পেয়েছেন তাঁর দীর্ঘ দিনের সতীর্থ মুশফিকুরকেও। তিনি সমাজমাধ্যমে লিখেছেন, “সতীর্থ ও ভাই হিসাবে এই কঠিন পরিস্থিতিতে আমি তোমার পাশে রয়েছি। আমি জানি শাকিব কোনও দিন অমানবিক কিছু করতে পারে না। তাই ওর বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠছে তা অসত্য।”
বৃহস্পতিবার একটি খুনের মামলায় অভিযুক্ত হিসাবে নাম উঠে আসার পরে শনিবার শাকিবকে দেশে ফেরানোর নির্দেশ দিয়ে বাংলাদেশ বোর্ডকে একটি আইনি নোটিস পাঠিয়েছিলেন সে দেশের সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মহম্মদ রাফিনুর রহমান। সেই নোটিসের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বোর্ডের সভাপতি ফারুক আহমেদ বলেছিলেন, “আপনারা জানেন একটা মামলা হয়েছে। আইনি নোটিস এখনও পাইনি আমরা। ওটার ব্যাপারে বলতে পারব না। এফআইআর হয়েছে। এর পরে তদন্ত হবে। এই মুহূর্তে প্রথম টেস্ট চলছে। রবিবার টেস্টের পঞ্চম দিন। এই মুহূর্তে আমরা কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়ার চিন্তাভাবনা করিনি। কালকের ম্যাচ শেষ হলে বসে একটা সিদ্ধান্ত নেব।” সেই বিষয়ে এখনও বোর্ড কিছু জানায়নি।
এই পরিস্থিতিতে পরের টেস্টেও শাকিবকে দলে চান শান্ত। প্রথম টেস্টে জেতার পর শান্ত বলেন, “শাকিবের মতো দায়বদ্ধ ক্রিকেটার খুব কমই রয়েছে। দলের জিততে যা দরকার ঠিক সেটাই করে ও। শাকিব ভাল করেই জানে যে ব্যক্তিগত জীবন দূরে সরিয়ে কী ভাবে শুধু ক্রিকেটে মনোযোগ দেওয়া যায়। ও জানে দল এবং জুনিয়রদের কী ভাবে সাহায্য করতে হয়।” শান্ত যোগ করেন, “এ রকম অবস্থায় থাকার পরেও এত ভাল খেলা, বিশেষ করে বোলিংয়ের ক্ষেত্রে বার বার নিজের মতামত জানানো, এটা ও-ই পারে। আশা করি পরের ম্যাচে ও আরও ভাল খেলবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy