বাবর আজ়ম। —ফাইল চিত্র।
সব ধরনের ক্রিকেট থেকে নেতৃত্ব ছেড়ে দিলেন বাবর আজ়ম। সমাজমাধ্যমে পোস্ট করে জানালেন তিনি। বিশ্বকাপে খারাপ ফলের পরেই নেতৃত্ব ছেড়ে দিলেন বাবর। এ বারের বিশ্বকাপে খেলতে আসার আগে একটা সময় এক দিনের ক্রিকেটে এক নম্বর দল ছিল পাকিস্তান। সেই দল বিশ্বকাপের সেমিফাইনালেই উঠতে পারেনি। ব্যাটিং, বোলিং এবং ফিল্ডিং, তিনটি বিভাগেই ব্যর্থ হয়েছেন বাবরেরা। দেশে ফিরেই তাই নেতৃত্ব ছেড়ে দিলেন তিনি।
বুধবার বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের ম্যাচ ভারত-নিউ জ়িল্যান্ডের মধ্যে। সেই ম্যাচে বিরাট কোহলি এক দিনের ক্রিকেটে ৫০তম শতরান করেছেন। সেই ঘটনার কিছু ক্ষণের মধ্যেই সমাজমাধ্যমে নেতৃত্ব ছাড়ার সিদ্ধান্ত জানান বাবর। তিনি লেখেন, “তিন ফরম্যাটের ক্রিকেটে পাকিস্তানের নেতৃত্ব ছাড়ছি। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া খুব কঠিন ছিল কিন্তু আমার মনে হয় এটাই সঠিক সময়। নেতৃত্ব ছাড়লেও আমি পাকিস্তানের হয়ে তিন ফরম্যাটেই ক্রিকেট খেলব। নতুন অধিনায়ককে সব রকম সাহায্য করব। আমার সব অভিজ্ঞতা ভাগ করে নেব তাঁর সঙ্গে।”
২০১৯ সালে বাবরকে অধিনায়ক করা হয়েছিল। সেই ঘটনার কথাও নিজের পোস্টে উল্লেখ করেছেন তিনি। বাবর লেখেন, “২০১৯ সালে পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডের তরফে আমাকে ফোন করা হয়। সেই ঘটনা আমার স্পষ্ট মনে আছে। আমাকে অধিনায় করা হয়। চার বছর ধরে আমি নেতৃত্ব দিয়েছি। মাঠে এবং মাঠের বাইরে অনেক ভাল এবং খারাপ সময়ের মধ্যে দিয়ে গিয়েছি। সব সময় চেষ্টা করেছি ক্রিকেট বিশ্বে পাকিস্তানকে গর্বিত করতে।”
বাবর তাঁর পোস্টে পাকিস্তানের সমর্থকদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন। মনে করিয়ে দিয়েছেন তাঁর নেতৃত্বেই পাকিস্তান সাদা বলের ক্রিকেটে এক নম্বর হয়েছিল। তাঁকে নেতৃত্বের দায়িত্ব দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানিয়েছেন পাকিস্তান ক্রিকেট বোর্ডকেও।
অধিনায়ক বাবর শেষ ম্যাচ খেলেছিলেন ইডেনে। ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেই ম্যাচেও হেরে যায় পাকিস্তান। সেই ম্যাচের আগেই বাবরের নেতৃত্ব ছাড়ার জল্পনা শুরু হয়ে গিয়েছিল। জানা গিয়েছিল যে, বাবর আর নেতৃত্ব দিতে চাইছেন না। পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম ‘দ্য নিউজ় ইন্টারন্যাশনাল’ জানিয়েছিল, ইডেনের ম্যাচের পরেই পদত্যাগপত্র বোর্ডকে পাঠিয়ে দিতে পারেন বাবর। প্রাক্তন পাক ক্রিকেটার এবং বোর্ডের কর্তাদের ব্যবহারে বাবর হতাশ বলে জানিয়েছিল ওই সংবাদমাধ্যম।
পাকিস্তান এ বারের বিশ্বকাপে ভাল খেলতে পারেনি। কিছু দিন আগেও যে দল এক দিনের ক্রিকেটে এক নম্বর ছিল, তাদের হারতে হয়েছে আফগানিস্তানের বিরুদ্ধে। সেই সঙ্গে ভারত, অস্ট্রেলিয়া, দক্ষিণ আফ্রিকার মতো শক্তিশালী দলের বিরুদ্ধেও হেরেছেন বাবরেরা। সেমিফাইনালে উঠতেই পারেনি পাকিস্তান।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy