সচিন তেন্ডুলকরের সঙ্গে বিরাট কোহলি। ছবি: পিটিআই।
বিরাট কোহলি শতরান করতেই দেখা যায় তিনি সচিন তেন্ডুলকরকে প্রণাম জানাচ্ছেন। উঠে দাঁড়িয়ে হাততালি দিতে দেখা যায় সচিনকেও। ওয়াংখেড়ে সচিনের ঘরের মাঠ। সেই মাঠেই সচিনের ৪৯টি শতরানের রেকর্ড ভেঙে দিলেন বিরাট। পৌঁছে গেলেন এক দিনের ক্রিকেটে ৫০তম শতরানে।
আবেগে ভাসছেন সচিনও। তাঁর মনে পড়ে গিয়েছে বিরাটের সঙ্গে প্রথম সাক্ষাতের। বিরাটের ৫০তম শতরানের পর সমাজমাধ্যমে সচিন লেখেন, “ভারতের সাজঘরে তোমার সঙ্গে যখন প্রথম দেখা হয়েছিল, সতীর্থেরা তোমাকে মজা করে বলেছিল আমাকে প্রণাম করতে। তাতে নাকি কেরিয়ার ভাল হবে। এটাই নাকি ভারতীয় দলের সজঘরের নিয়ম। তুমি সেই ইয়ার্কি না বুঝে আমাকে প্রণাম করতে গিয়েছিলে। আমি হাসি থামাতে পারিনি। আজ তুমি আমার মন ছুঁয়ে নিলে। তোমার প্রতিভা এবং খেলার প্রতি আবেগ আমার মন ছুঁয়ে গিয়েছে। সেই বাচ্চা ছেলেটা আজ বিরাট হয়ে গিয়েছে। আমি প্রচণ্ড খুশি।”
সচিন আরও খুশি তাঁর রেকর্ড কোনও ভারতীয় ব্যাটার ভেঙেছেন বল। তিনি লেখেন, “আমি সব থেকে খুশি এক জন ভারতীয় আমার এই রেকর্ড ভেঙেছে। আর বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের মতো বড় মঞ্চে করার কৃতিত্বটাই আলাদা। আর আমার ঘরের মাঠে করাটা সত্যিই কেকের উপর রাখা চেরির মতো।”
একটা সময় রান পাচ্ছিলেন না বিরাট। বলা ভাল শতরান পাচ্ছিলেন না। সেই সময় সচিনের সঙ্গে দেখা করেছিলেন। তাঁর থেকে উপদেশ নিয়েছিলেন। আবার রানে ফিরেছিলেন বিরাট। সত্যিই বিরাটের গুরু সচিন। ইনিংস শেষে বিরাট বলেন, “আমার হিরো সচিন পাঁজি মাঠে রয়েছে। তাঁর সামনে এই ইনিংস খেলতে পারা স্বপ্নের মতো।”
স্বপ্ন সত্যি করে ফেলেছেন বিরাট। বুধবার ১১৩ বলে ১১৭ রানের ইনিংস খেললেন তিনি। মারলেন ন’টি চার এবং দু’টি ছক্কা। ৬৯ রান নিলেন দৌড়ে। ৩৫ বছরের বিরাটের দৌড় থামতে থামতে আরও অনেক রেকর্ড ভাঙবেন, আর সচিন তা তাড়িয়ে তাড়িয়ে উপভোগ করবেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy