পরের বছর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, দক্ষিণ আফ্রিকাতেও টি-টোয়েন্টি লিগ হবে। —ফাইল চিত্র
বিভিন্ন দেশে টি-টোয়েন্টি লিগ শুরু হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়া, ভারত, ইংল্যান্ডে আগেই টি-টোয়েন্টি লিগ ছিল, পরের বছর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরশাহি, দক্ষিণ আফ্রিকাতেও টি-টোয়েন্টি লিগ হবে। কিন্তু অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক ইয়ান চ্যাপেল মনে করছেন গাঁজার মতো লিগ বাড়ছে বিভিন্ন দেশে।
কিছু দিন আগে অস্ট্রেলিয়া প্রাক্তন অধিনায়ক স্টিভ ওয় ক্রিকেটের সূচি নিয়ে অভিযোগ করেছিলেন। তিনি মনে করছিলেন, মানুষ প্রচুর ক্রিকেট দেখছে। এত বেশি ক্রিকেট না-ও পছন্দ হতে পারে মানুষের। প্রায় একই সুর চ্যাপেলের মুখে। তিনি বলেন, “ক্রিকেট যে ভাবে চলছে, তা নিয়ে ভাবনাচিন্তা করা উচিত। বিশেষ করে সূচি নিয়ে ভাবা উচিত। না হলে ভবিষ্যতে ক্রিকেটের উপর প্রভাব পড়বে। ক্রিকেটার এবং প্রশাসনিক কর্তাদের মধ্যে ব্যবধান রয়েছে। সেটা উচিত নয়। কর্তারা যদি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটারদের কথা না শুনে কোনও পরিকল্পনা করেন তা ঠিক হবে না।”
চ্যাপেল মনে করেন, ক্রিকেটারদের সঙ্গে কথা বলে সূচি তৈরি করা হোক। অস্ট্রেলিয়ার প্রাক্তন অধিনায়ক বলেন, “আন্তর্জাতিক সূচি যদি ক্রিকেটারদের মত নিয়ে হয়, তা হলে সেটা অনেক বেশি কার্যকর হয়। অন্তত এখনকার থেকে তা অনেক বেশি লাভ হবে। টি-টোয়েন্টি লিগ ছড়িয়ে পড়ছে গাঁজার মতো। যা মেনে নেওয়া কঠিন।”
একই সময় বিভিন্ন টি-টোয়েন্টি লিগ হলে তা ক্রিকেটারদের জন্যেও খুব ভাল হবে না বলে মত চ্যাপেলের। তিনি বলেন, “একই সময় একাধিক দেশে টি-টোয়েন্টি লিগ। বড় ক্রিকেটাররা আইপিএলের ক্লাবগুলির সঙ্গে লম্বা চুক্তি করছে। এইগুলো সমস্যা তৈরি করতে পারে। একাধিক ক্রিকেটার উঠে আসবে না এমন হলে। বাজার তৈরি হবে না। কিছু লিগ বড় ক্রিকেটারদের পাবে না। এটা আর্থিক ভাবে ওই লিগকে ক্ষতি করবে। এই বিষয়গুলোতে নজর দেওয়া প্রয়োজন।”
সব দলের টেস্ট খেলার প্রয়োজন আছে বলে মনে করছেন না চ্যাপেল। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে ৭৫টি টেস্ট খেলা প্রাক্তন ক্রিকেটার বলেন, “টেস্ট খেলা কঠিন। কিন্তু ক্রিকেটাররা এই সুযোগ পাওয়ার দাবি রাখেন। টেস্ট ক্রিকেট খেলতে খুবই কঠিন সংস্কৃতি প্রয়োজন। এর জন্য ঘরের মাঠে প্রথম শ্রেণির ক্রিকেট সেই পর্যায়ের হতে হবে। সব দেশে সেটা নেই। এর জন্য টাকা প্রয়োজন। সে জায়গায় টি-টোয়েন্টি লিগ করা অনেক দেশের কাছেই লাভজনক। আফগানিস্তান এবং আয়ারল্যান্ডকে টেস্ট খেলতে দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়া কোনও মানে নেই। এদের দেশে না আছে টেস্ট খেলার পরিবেশ না পরিকাঠামো। এটা খুবই দুঃখের যে টেস্ট খেলে মাত্র আটটি দেশ। টেস্ট খেলার আগে আফগানিস্তান এবং আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা খেলা উচিত।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy