ডেভিড ওয়ার্নার। —ফাইল চিত্র
পাকিস্তানের তরুণ পেসার আমের জামালের বলটা থার্ডম্যান অঞ্চলে ঠেলে দিয়ে দৌড়ে একটা লাফ দিলেন ডেভিড ওয়ার্নার। সেই পরিচিত লাফ। শতরানের লাফ। তবে এ বারের লাফ বাকি সব বারের থেকে আলাদা। এই লাফে মিশে রয়েছে জবাব। সমালোচকদের পার্থের বাউন্ডারির বাইরে ফেললেন ওয়ার্নার। বুঝিয়ে দিলেন, এখনও তাঁর কব্জির জোর কমেনি।
পার্থে শুরু থেকেই আক্রমণাত্মক ছিলেন ওয়ার্নার। উসমান খোয়াজা নিজের স্বাভাবিক ছন্দে খেলায় ওয়ার্নার হাত খোলা শুরু করেন। বিশেষ করে পাকিস্তানের পেসারদের বিরুদ্ধে উইকেটের সামনের দিকে বেশ কয়েকটি শট খেলেন তিনি। ১০০-র বেশি স্ট্রাইক রেটে অর্ধশতরান করেন ওয়ার্নার। একটা সময় দেখে মনে হচ্ছিল, মধ্যাহ্নভোজের বিরতির আগেই শতরান করে ফেলবেন ওয়ার্নার। সেটা অবশ্য হয়নি।
তার মাঝেই খোয়াজা ও মার্নাশ লাবুশেনের উইকেট হারায় অস্ট্রেলিয়া। কিন্তু ওয়ার্নারকে থামানো যায়নি। ১২৬ বলে শতরান করেন তিনি। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে টেস্টে এটি তাঁর ২৬তম শতরান। বিদায়ী সিরিজ়েও নিজের জাত চেনাচ্ছেন ওয়ার্নার।
পাকিস্তানের বিরুদ্ধে অস্ট্রেলিয়া দলে ওয়ার্নারকে দেখে ক্ষোভ প্রকাশ করেছিলেন এক সময়ে তাঁর সতীর্থ মিচেল জনসন। তিনি বলেছিলেন, ‘‘শেষ ৩৬ টেস্ট ইনিংসে ২৬ গড়ে ব্যাট করেছে ওয়ার্নার। এক জন ওপেনার যদি এত খারাপ ফর্মে থাকে তা হলে কেন তাকে খেলানো হবে। শুধুমাত্র বিদায়ী সিরিজ় বলে। এর কোনও মানে হয় না। বেইলির সেটা বোঝা উচিত ছিল। ব্যক্তিগত সম্পর্ক নয়, ফর্ম দেখে দল গড়া উচিত ছিল। গত পাঁচ বছরে ওয়ার্নার শুধুমাত্র বল বিকৃত করেছে। অস্ট্রেলিয়ার সম্মানহানি করেছে। আর সেই ক্রিকেটারকেই কিনা সম্মান দেওয়া হচ্ছে। এটা হাস্যকর।” ওয়ার্নারের ব্যাটকে চুপ করিয়ে রাখার হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন পাকিস্তানের অধিনায়ক শাহিন আফ্রিদি। সেই সব সমালোচনার জবাব দিলেন ওয়ার্নার।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy